বর্ষাকাল এসেছে.....
দুপুর ১২ টায় খাবার খেয়ে, ময়লা ফেলতে নিচে গিয়েছি। রাস্তার বিপরীতে একটি ডোবা আছে। কি যে বোধ হলো, তাই ডোবার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। হঠাৎ ডোবার পানিতে সাপের বাচ্চা দেখলাম। আমাদের ঢাকাইয়া ভাষায় মূলত এই সাপকে নামাজি সাপ বলা হয়। কারণ, এ বেশিরভাগ সময় নামাজ পড়ে। বাচ্চা সাপ, আর নামাজি সাপে বিষ থাকে নাহ। তাই ধরার ইচ্ছা হলো সাপটাকে। সাপটি পানির মধ্যে ই নামাজ পড়ছে। আমি ধরার চেষ্টা করব তখন ই সাপটা সেজদাহ্ রত অবস্থা থেকে পাথরের গর্তে ঢুকে গেছে।
তারপর ঐ সাপকে ধরতে নাহ পারার তাড়নায় উপরে এসে মোবাইল ঘাটতে থাকি বসে বসে। আমি জানি আমার ১ টায় ঘুম আসে, তো তখন সাপের ছবি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যাই।
ঘুমের মধ্যে সাপের আবিষ্কার। ঐ যে সাপকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়েছি। স্বপ্নে গিয়ে সাপকে ধরার স্বাদ মিটিয়েছি।
তো স্বপ্ন টি এমন ছিল একটা গোখরা আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে। আমি তাকাতেই দরজার আড়ালে যাচ্ছে। এ রকম কিছুক্ষণ করার পর হঠাৎ সাপটা আমার সামনে আসে। আমি দেখে সাপটাকে ধরতে যাই। সাপটা হঠাৎ কথা বলে ওঠে,
" আস্তে ধরো নয়তো ব্যথা পাবো। "
আমি তো অবাক! খুব কম সাপ কথা বুঝতে পারে জানি। তাই বলে বলতেও পারে আজ জানলাম।
আমি সাপটাকে ধরে আদর করতে যাবো আবার তখনই বলে ওঠে সাপটি,
" আমার বিষ নিজের শরীরে বহন করার শখ? "
তখন আমি বললাম, " কেন গো আমি কি চুমু খাবো? আমি তো আপনার শরীরের কোমলতা অনুভব করব। "
সাপ বলে উঠলো, " এতো ভালোবেসো নাহ। যখন আমায় ছেড়ে দিবে আমি কষ্ট পাবো। "
আমি বললাম, " একটু আগে নাহ বললেন আস্তে ধরতে কষ্ট পাবেন? এখন ছেড়ে দিলেও কষ্ট পাবেন? কি সাংঘাতিক কথা মাইরি ! আপনিও তো দেখি ছেলে মানুষের মতো দু মুখী কথা বলেন। "
সাপ বলল, " আরে অভিমান করো না আমরা আমরাই তো। "
আমি বললাম, " চলেন বিবাহ করি। "
সাপ বলল, " মানুষ বিয়ে করে পুষবে নাহ। "
আমি বললাম, " ভালোবাসায় পোষাপুষি নেই। "
সাপ বলল, " দেখি ছাড়ো তো আমায়। ভালোওবাসো আবার, বিবাহও করতে চাও অথচ আপনি বলো? এ কারণে ই তোমার মানুষ প্রেমিক ও হয় নি। আমি কি খাঁক তোমায় বিবাহ করব? আন রোমান্টিক মেয়ে। "
তারপর জেদে সাপকে ছেড়ে দিই। এরপর চিৎকার করে বলি, " আমি আপনাকে ভালোবাসব নাহ যান। "
সাপ বলে, " তাও আপনি বলা ছাড়বি নাহ। থাক তুই আমি গেলাম। "
ঘুম থেকে উঠে আফসোস করতে থাকি। আজ বিবাহ হতে গিয়েও হলো নাহ!
সমাপ্ত।