Aponhut.com

Aponhut.com

0 Views
Rated 5 / 5 based on 0 reviews

Aponhut.com

AponHut.com is the only free classifieds marketplace in Bangladesh. By registering here for free, you can often buy and sell a wide range of things. For example, you can buy and sell cell phones, electronic accessories, autos, fashion items, and other types of furniture, as well as rent and sell real estate and vehicles. Apanhat has various categories, like electronics. This includes laptops, TVs, cameras, desktop computers, etc. Vehicles is another option (here you can buy and sell new and used bikes, cyc

  • 2023 – Present at Dhaka
  • Male | Married |

Chamber

Services

Work Experience

Skills

Language

Training

Education

প্রশ্ন-উত্তর সমূহ 0 বার দেখা হয়েছে | এই মাসে 0 বার
0 টি প্রশ্ন দেখা হয়েছে 0 বার
0 টি উত্তর দেখা হয়েছে 0 বার
0 টি ব্লগ | 0 টি মন্তব্য | 0 টি প্রিয়

Recent Q&A

আমি কিভাবে বিডিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ খুঁজে পেতে পারি?

আপনি বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবহৃত ল্যাপটপগুলি খুঁজে পেতে পারেন:


অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন আপনহাট , দারাজ বা পিকাবু

স্থানীয় শ্রেণীবদ্ধ ওয়েবসাইট যেমন aponhut - Electronics, Cars, Property and Jobs in Bangladesh

কম্পিউটারের দোকান বা ইলেকট্রনিক্সের দোকান
2. ফেসবুক মার্কেটপ্লেস বা গ্রুপ

3. সংবাদপত্রে স্থানীয় শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন।

একটি কেনাকাটা করার আগে ল্যাপটপটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করতে ভুলবেন না, কোনও শারীরিক ক্ষতি পরীক্ষা করুন এবং এর সমস্ত কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন।

0 likes | 7 views

দ্রুত কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর সহজ উপায়

আমরা জানি যে আপনার বেশিরভাগই সম্ভবত ব্যস্ত এবং একটি ধীর কম্পিউটার নিয়ে কাজ করার সময় নেই, তাই এই সহজ পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন এবং আপনি আপনার কম্পিউটারের গতিতে একটি লক্ষণীয় উন্নতি দেখতে পাবেন!
আপনার কম্পিউটারকে দ্রুত চালানোর জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:


আপনার হার্ড ড্রাইভ ডিফ্র্যাগমেন্ট করুন: আপনার কম্পিউটারকে দ্রুত চালাতে সাহায্য করার একটি উপায় হল আপনার হার্ড ড্রাইভকে ডিফ্র্যাগমেন্ট করা। এটার আসল অর্থ কী? আপনি যখন আপনার কম্পিউটারে ফাইলগুলি সংরক্ষণ করেন, তখন সেগুলি একটি সুন্দর জায়গায় সংরক্ষণ করা হয় না বরং, সেগুলি আপনার হার্ড ড্রাইভে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে৷ এটি আপনার কম্পিউটারকে ধীর করে দিতে পারে কারণ সিস্টেমটি বিভিন্ন ফাইল খুঁজে পেতে এবং অ্যাক্সেস করতে বেশি সময় নেয়।
আপনার হার্ড ড্রাইভ ডিফ্র্যাগমেন্ট করার অর্থ সেই ফাইলগুলিকে পুনরায় সাজানো যাতে সেগুলি আরও সংগঠিত ফ্যাশনে সংরক্ষণ করা হয়। এটি কর্মক্ষমতা উন্নত করতে এবং আপনার কম্পিউটারকে মসৃণ করতে সাহায্য করতে পারে। আপনি হয় ম্যানুয়ালি এটি করতে পারেন বা প্রক্রিয়াটি স্বয়ংক্রিয় করতে CCleaner এর মতো একটি টুল ব্যবহার করতে পারেন।


আপনি যে প্রোগ্রামগুলি ব্যবহার করেন না তা থেকে মুক্তি পান: আপনার কম্পিউটারে যত বেশি প্রোগ্রাম চলবে, এটি তত ধীর গতিতে চলবে। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রাম মূল্যবান সম্পদ ব্যবহার করে, যেমন প্রসেসিং পাওয়ার, মেমরি এবং হার্ড ড্রাইভ স্পেস। আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হল আপনি যে প্রোগ্রামগুলি ব্যবহার করেন না তা থেকে পরিত্রাণ পেতে এটি করার একটি উপায় হল নিয়ন্ত্রণ প্যানেলে যান এবং ম্যানুয়ালি সেগুলি আনইনস্টল করুন৷ যাইহোক, একটি ভাল উপায় হল CCleaner এর মতো একটি টুল ব্যবহার করা, যা আপনি যখন এটিকে বলবেন তখন একটি প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত সমস্ত ফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুঁজে পাবে এবং মুছে ফেলবে। সুতরাং, যদি আপনার কম্পিউটার ধীর বা অলস মনে হয়, আপনার প্রোগ্রামগুলি দেখার জন্য কিছু সময় নিন এবং আপনার প্রয়োজন নেই এমনগুলি আনইনস্টল করুন৷ এতে কতটা পার্থক্য হবে তা দেখে আপনি অবাক হবেন।


ভাইরাস এবং ম্যালওয়ারের জন্য স্ক্যান করুন: আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হল নিশ্চিত করা যে এটি মসৃণভাবে চলছে এবং এর অর্থ হল ভাইরাস এবং ম্যালওয়ারের জন্য স্ক্যান করা৷ এগুলি আপনার কম্পিউটারকে উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর করে দিতে পারে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেগুলি সরানো গুরুত্বপূর্ণ৷ ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার জন্য স্ক্যান করার বিভিন্ন উপায় আছে। সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা, যা আপনি বিনামূল্যে অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়াও কিছু ফ্রি ম্যালওয়্যার রিমুভাল টুল রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার যদি ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস অপসারণ করতে সমস্যা হয়, বা আপনার কম্পিউটার যদি বিশেষভাবে ধীর গতিতে চলতে থাকে, তাহলে আপনাকে এটি একজন পেশাদারের কাছে নিতে হতে পারে। তারা আপনাকে সমস্যা সৃষ্টি করছে এমন কোনো দূষিত সফ্টওয়্যার সনাক্ত করতে এবং সরাতে সাহায্য করতে পারে৷


এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পরতে ক্লিক করুন । 

0 likes | 21 views

খুব সহজেই কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় ! আপনিও পারবেন এবার

আমরা সবাই ফেসবুক ব্যবহারটা জানি। এখানের আর কিছু বিষয় জেনে নিলে ফেসবুক থেকে মাসে ভাল একটা ইনকাম করা সম্ভব। মাসে ১০,০০০টাকা – ১লাখ টাকা ইনকাম সম্ভব। ত জেনে নেই ফেসবুক ব্যবহার কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন !

ফেসবুক দিয়ে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি পদ্ধতি আলোচনা করা হলো ।


Facebook Advertising:
আপনার যদি বিক্রি করার জন্য কোনো পণ্য বা পরিষেবা থাকে, তাহলে আপনি Facebook-এর বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন যাতে বৃহৎ দর্শকদের কাছে পৌঁছানো যায়। আপনার ব্যবসার জন্য সঠিক লোকেদের কাছে পৌঁছানো সহজ করে, আপনি নির্দিষ্ট জনসংখ্যা এবং আগ্রহকে লক্ষ্য করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি অন্য কোম্পানি যেমন আপনহাট এর পণ্যগুলিকে অ্যাফিলিয়েট হিসাবে প্রচার করে ফেসবুকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এতে তাদের প্রোডাক্ট যতজন আপনার প্রচার থেকে ক্রয় করবে আপনি তার থেকে কিছু পারসেন্টিজ আপনি পাবেন । এতে করে আপনি চাইলে দৈনিক বড় সর একটা এমাউন্ট পেতে পারেন ।

স্পনসর্ড পোস্ট: আপনার যদি কোন জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ থাকে , তাহলে আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে স্পনসর করা পোস্ট গ্রহণ করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এর মধ্যে অর্থ প্রদানের বিনিময়ে একটি কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করা । এতে যদি বেশ সারা পান তাহলে অন্যান্য কোম্পানি গুলো আপনাকে স্পন্সর করতে আসতে পারে । এতেও কয়েকটি স্পন্সর থেকে আপনি বেশ ভালো একটা এমাউন্ত পাবেন । 

আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রি:
Facebook মার্কেটপ্লেস, Facebook শপ, এবং Instagram শপিং হল Facebook-এ আপনার পণ্য বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন । এছাড়াও ই- কমার্স সাইট যেমন আপনহাট  ওয়েবসাইট থেকে পণ্য গুলো সেল করে দিতে পারেন । প্রতি প্রোডাক্ট এ আপনি বেশ ভালো পারসেন্টিজ পাবেন । এছারা আপনি চাইলে কম দামে পুরাতন  আসবাবপত্র কিনে ফেসবুক মার্কেট প্লেস এ ভালো দামে সেল করতে পারেন। 

ফেসবুক গ্রুপ: আপনার যদি কোন বড় ফেসবুক গ্রুপ থাকে তাহলে অই গ্রুপ থেকেও আপনি আয় করতে পারেন । যেমন আপনি গ্রুপ টি রেন্ট এ দিতে পারেন । তাছারা প্রমশন পোস্ট করেও আয় করতে পারেন । বর্তমানে গ্রুপ এর চাহিদা বেশ ভালো রয়েছে আপনি চাইলে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চেস্টা করতে পারেন । 


ফেসবুক পেজ: বর্তমানে ফেসবুক পেজ দিয়ে মানুষ ব্যাপক পরিমানে আয় করছে । ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করে এটা  সম্ভব হচ্ছে । ফেসবুক মনিটাইজ করার জন্য ১০ হাজার ফলোয়ার এবং ৬লাখ মিনিট ওয়াচ টাইম লাগে । যার জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে । পেজ থেকে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আয় করা জাচ্ছে ।

 

লোকাল চাকুরি: যে কোন ব্যবসাতে যেহেতু ফেসবুক মার্কেটিং এখন বড় একটি ফ্যাক্ট। সুতরাং প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে একাজটি করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিংয়ের এক্সপার্ট লোকদের চাকুরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমি এখন পযন্ত এ সেক্টরে এক্সপার্ট যে কয়জনকে চাকুরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি, তাদের বেতন ১২,০০০টাকা - ৪০,০০০টাকা পযন্ত ছিল।


প্রোডাক্ট: সার্ভিস, ট্রেনিং, প্রোডাক্ট ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ: রিয়েল কাজের অভিজ্ঞতা, ব্যবসাতে প্রফিট বৃদ্ধি করা


সাইটে ট্রাফিক আর সেখান হতে অ্যাডসেন্স:  একটা সাইটে যত বেশি ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন, তত সাইটের অ্যাডভার্টাইজ হতে ইনকাম বৃদ্ধি পাবে। ইনকাম ৫০০০ টাকা – ১লাখ হতে পারে। প্রোডাক্ট: একটা ব্লগ সাইট চ্যালেঞ্জ: নিশ সিলেকশ, সাইট প্রস্তুত, কনটেন্ট ডেভেলপ, মার্কেটিং


নিজের দক্ষতাকে ব্রান্ডিং: আপনি যদি নিজেকে দক্ষ মনে করেন, কিন্তু কোথাও তারপরও চাকুরি হচ্ছেনা, তাহলে সেক্ষেত্রে বলব, আপনি আপনার দক্ষতাকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রমোশন চালান। তাহলে ফেসবুকের মাধ্যমেই অনেকে দক্ষতার ব্যপারে জানতে পারলে আপনার কাজের অভাব হবেনা। কাজ আপনাকে খুজে বের করবে। তখন কাজ করে শেষ করতে পারবেননা।


এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে Facebook-এ অর্থ উপার্জন করতে সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে৷ এটি একটি ধনী-দ্রুত স্কিম না. একটি অনুসরণ তৈরি করা এবং আপনার শ্রোতাদের সাথে বিশ্বাস স্থাপন করা এই পদ্ধতিগুলির যেকোনও সাফল্যের চাবিকাঠি।

আপনার অ্যাকাউন্ট বা পৃষ্ঠা নিষিদ্ধ বা স্থগিত হওয়া এড়াতে Facebook-এর নির্দেশিকা এবং পরিষেবার শর্তাবলী অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।

0 likes | 23 views

ঈদে শহরের বাসা-বাড়ির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে করনীয়

ঈদে শহরের বাসা-বাড়ির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে করনীয়
বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দাদের প্রতি পুলিশ আহ্বান জানিয়েছে যেন ঈদের ছুটির সময় বাসা-বাড়ির নিরাপত্তায় তারা বাড়তি সতর্কতা নেন। পুলিশের কর্মকর্তা বলেছেন, ঈদের সময় বহু ঢাকাবাসী নগর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে বা বেড়াতে যান। এই সময় ঘরবাড়ি ফাঁকায় থাকায় চুরি-ডাকাতির সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই পুলিশ সদস্যদের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নগরবাসীকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কর্মকর্তারা।


বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চুরি বা ছিনতাই বিরল কোন ঘটনা নয়। কিন্তু ঈদের সময় রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায় বলে এই সময় এ ধরণের অপরাধের প্রবণতা বেড়ে যায় বলে পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন।
সেজন্য নগরবাসীকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

ঈদের ছুটিতে চুরি-ডাকাতির পরিস্থিতি আসলে কতটা গুরুতর?
ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহার সময় রাজধানীতে চুরি-ডাকাতি কতটা হয়, সেই পরিসংখ্যান পুলিশের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন একজন মুখপাত্র। কারণ তারা মাসওয়ারি পরিসংখ্যান রাখলেও শুধুমাত্র বিশেষ উৎসবের সময়ের কোন পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করেন না।

তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রধান কয়েকদিন আগে নগরবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন, ঈদের সময় ফাঁকা থাকায় বাসা-বাড়িতে চুরি ডাকাতি বেড়ে যায়। ফলে নগরবাসী যেন-গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আগে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালঙ্কার আত্মীয়-স্বজনের বাসায় রেখে যান। সেরকম কোন স্বজন না থাকলে প্রয়োজনে নিকটস্থ থানায় জমা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

থানা মামলা না নেয়া পর্যন্ত 'থামবেন না' পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজং
থানায় মামলা নিতে অনীহা, ফেসবুকে ভাইরাল হলে পুলিশও তৎপর হয়
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মোঃ ফারুক হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''ছুটিতে বাসা-বাড়ি ফাঁকা থাকলে অপরাধীরা সেই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। যেহেতু ঈদের মতো বড় উৎসবে অনেকে গ্রামের বাড়িতে যান, এই সুযোগে চোররা ফাঁকা বাসায় চুরি করার চেষ্টা চালাতে পারে।''

''আমরা এই সময় অতিরিক্ত সতর্কতা, প্রহরার ব্যবস্থা করি। সব থানাকে বাড়তি টহল দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ঢাকা শহরের সব বাড়িঘর তো তো আর সবসময় পাহারা দিয়ে রাখা সম্ভব না। তাই নাগরিকের কাছেও আমরা অনুরোধ করি, তারাও যেন নিজেরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।'' তিনি বলছেন।

গত দুই বছরের সংবাদপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় ঢাকায় মে মাস ও জুলাই মাসে বাসা-বাড়িতে চুরি, ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তুলনামূলক বেশি মামলা বা সাধারণ ডায়রি দায়ের করা হয়েছে।

২০১৯ সালে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন সোহানা ইয়াসমিন। ঢাকায় ফিরে দেখতে পান, বাসার গ্রিল কেটে কাপড়-চোপড়, দামী জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। ''সব কিছু ভালো করে তালা দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেও জানালার গ্রিল কেটে নিয়ে গেছে। দারোয়ানরাও নাকি টের পায়নি।'' সেই বছরই তিনি বাসা বদলে ফেলেন। ক্ষয়ক্ষতি কম বলে আর থানায় মামলা বা জিডিও করেননি।

পুলিশের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কয়েকটি নির্দিষ্ট গ্রুপই ঘুরেফিরে এ ধরনের চুরি ডাকাতিতে জড়িত থাকে।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতিবছর ঈদ বা বড় ছুটির সময় অনেক বাসা ফাঁকা হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে চোররা আগে থেকে রেকি করে এসব বাসা চিহ্নিত করে। বিশেষ করে দোতলা বা তিনতলার বাসাগুলো টার্গেট করা হয় বেশি। তদন্তে দেখা গেছে, অনেক সময় বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীরাও এসব চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে থাকে।

তবে অনেক ক্ষেত্রে বড় ধরনের চুরি না হলে ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করতে চান না। ফলে পুলিশও এসব ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয় না।

পুলিশের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ - কেন অপরাধে জড়ায় তারা?পুলিশের সামনেই কুপিয়ে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, পুলিশ কী করলো?মুচলেকা দিয়ে মধ্যরাতে ছাড়া পেলেন মা-ছেলে গত বছরের জুলাই মাসে আট জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। যাদের কাজই ছিল বাসাবাড়ির গ্রিল কেটে চুরি করা। এই চক্রের বিরুদ্ধে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, পিরোজপুরেও মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছিল।

কিন্তু চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধেও কেন পুলিশ আগেভাগে ব্যবস্থা নিতে পারে না?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার ফারজানা রহমান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''চুরি-ডাকাতির অপরাধগুলো কিন্তু জামিন যোগ্য অপরাধ। অর্থাৎ এই অপরাধীরা গ্রেপ্তার হলেও তারা পরবর্তীতে আবার জামিনে বেরিয়ে এসে অপরাধ শুরু করে।''

''কিন্তু আমাদের দেশে সমস্যা হলো, একবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর পর আর তাদের ওপর নজরদারি বা ফলোআপ করা হয় না। ফলে সেই অপরাধী ঘুরেফিরে আবার অপরাধ করে, বারবার অপরাধ করার সুযোগ পেয়ে যায়। এ কারণে ক্রাইমটা পুরোপুরি বন্ধ হয় না।''

অপরাধ ঠেকাতে কমিউনিটি পুলিশিং-
অধ্যাপক ফারজানা রহমান বলছেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় এখনো পুলিশের সংখ্যা কম। এক্ষেত্রে অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

সমাজের নানা পেশার মানুষজনকে নিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা তৈরি হলে, তারাই নিজেদের চারপাশের এলাকায় নজরদারির ব্যবস্থা করবেন। ফলে অপরাধীরা কোন অপরাধ ঘটানোর সাহস পাবে না। সেখানে প্রয়োজনে নিয়মিত পুলিশ সদস্যরা তাদের সহায়তা করবেন।

"এই ফোরামগুলোকে যদি স্ট্রং করতে পারি, তাহলে কিন্তু অনেকাংশেই অপরাধ কমে আসবে। তবে এসব ফোরামে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সেখানে কোন অপরাধের আভাস পেলেই তারা নিয়মিত পুলিশের সহায়তায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে, '' বলছেন অধ্যাপক রহমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার ফারজানা রহমান বলছেন, নাগরিকদের সবরকমের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। একজন নাগরিককে তার মূল্যবান সম্পদের নিরাপত্তার জন্য অন্য কোথাও সরিয়ে রাখতে হবে, সেটা কোন যুক্তি হতে পারে না।

তিনি বলছেন, ''নাগরিকদেরও সতর্ক থাকতে হবে, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবশ্যই তার পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দিতে হবে। সেখানে তাদের দায়িত্ব এড়ানোর কোন সুযোগ নেই।''

''আমি মনে করি, এটা পারস্পরিক একটা বিষয়। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নাগরিক- উভয়ে মিলেই সতর্কতা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে,'' তিনি বলছেন।

পুলিশের কিছু পরামর্শ-
বাসাবাড়িতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

আপনার বাসা/অফিসে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করুন
বাসা/ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটো লক ব্যবহার করুন
বাসা/বাড়ি ত্যাগের পূর্বে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবন্ধ করুন। যে সমস্ত দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় আছে তা এখনই মেরামত করে নিন এবং যথাসম্ভব সুরক্ষিত করে নিন। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করুন
রাতে আপনার বাসার চারপাশ আলোকিত করে রাখুন
আপনার বাসা বা ফ্ল্যাটে সিসিটিভি স্থাপন করুন। সিসিটিভিসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকার বিষয়টি নিয়মিত নিশ্চিত করুন
দরজায় নিরাপত্তা এলার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করুন
মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ হেফাজতে রাখুন এবং তালাবন্ধ করুন। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নিতে পারেন
বাসা/বাড়ি ত্যাগের পূর্বে যে সমস্ত প্রতিবেশী/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন তাদেরকে আপনার বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করুন এবং ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন
ভাড়াটিয়াগণ পূর্বেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি অবহিত করুন
মহল্লা ও বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে/দুষ্কৃতিকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করুন
ঈদে আপনার মহল্লা/বাসায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশ/থানা/ফাঁড়িকে অবহিত করুন
বাসার গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত করুন
বাসার জানালা/দরজার পাশে কোন গাছ থাকলে শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলুন যাতে অপরাধীরা শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।

এই রকম আরও দরকারি টিপস পেতে এখানে ক্লিক করুন

0 likes | 20 views

পানির অপচয় রোধ করার কিছু ঘরোয়া টিপস

পানির অপর নাম জীবন। পানির অস্তিত্বের উপর টিকে আছে এই পৃথিবীর সমগ্র প্রাণী এবং উদ্ভিদকুল। প্রতিনিয়ত ভূগর্ভস্থ পানির অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের ফলে পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানির ব্যবহার অপরিহার্য। যার অধিকাংশ অপচয় হয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই একটু সচেতন হলে পানির এই অপচয় রোধ করতে পারি।

পানির অপচয় রোধ করার কিছু ঘরোয়া টিপসঃ 


১. সকালে যখন দাঁত ব্রাশ করবেন তখন পানির কল বন্ধ রাখুন। অনেকে পানির কল চালু রেখে দাঁত পরিষ্কার করেন। দাঁত পরিষ্কার করার সময় পানির কল বন্ধ রাখলে প্রতি মিনিটে আপনি ৬ লিটার পানির অপচয় রোধ করতে পারবেন।

২. দীর্ঘ সময় ধরে গোসলের ফলে পানির অপচয় হতে পারে। গোসলের সময় ভেদে একজন মানুষ প্রতি-মিনিটে ৬ থেকে ৪৫ লিটার পানি ব্যবহার করে। গোসলের সময় যেন পানির অপচয় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩. পানির কল শক্ত করে না লাগানোর ফলে কল থেকে ফোটা ফোঁটা পানি পড়তে থাকে। এই ফোঁটা ফোঁটা পানির হিসেব করলে দেখা যায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ লিটার এবং বছরে ৫৫০০ লিটার পানি এভাবে অপচয় হয়।



৪. পানির কল চালু করে অন্য কোন কাজে মনোনিবেশ করবেন না। পানির প্রয়োজনীয় কাজটি শেষ করে পানির কলটি বন্ধ করে অন্য কাজে মনোনিবেশ করুন।


৫. রান্নাঘরের ব্যবহৃত পানি সংরক্ষণ করে আপনি আপনার বাগানের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ব্যবহৃত পানি ফিল্টার করে গাড়ী ধোয়া অথবা জানালার কাঁচ পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

৬. বাগানে হোসপাইপ দিয়ে পানি দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ১০০০ লিটার পর্যন্ত পানি খরচ হতে পারে। যদি বাগানে পর্যাপ্ত পরিমাণ জৈব সার দেয়া যায় এবং খুব সকালে এবং বিকেল বেলা পানি সেচ দেয়া যায় তাহলে পানি বাষ্পীভবন অনেকটাই কমে যায়। ফলে পানির প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমে যায়।


0 likes | 18 views