Md. Abdul Malek

Md. Abdul Malek

0 Views
Rated 5 / 5 based on 0 reviews

Md. Abdul Malek

  • 2021 – Present at Comilla
  • Male | Married | Islam

Chamber

Services

Work Experience

Skills

Language

Training

Education

প্রশ্ন-উত্তর সমূহ 15 বার দেখা হয়েছে | এই মাসে 15 বার
0 টি প্রশ্ন দেখা হয়েছে 3 বার
1 টি উত্তর দেখা হয়েছে 12 বার
1 টি ব্লগ | 0 টি মন্তব্য | 0 টি প্রিয়

Recent Q&A

ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর জীবনী | ইমাম শাফেয়ী (রঃ) কত হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন | ইমাম শাফেয়ীর হাদীস গ্রন্থের নাম কি | Biography of Imam Shafi'i

 ইসলামী শরীয়তের বিধি-বিধান সন্নিবেশিত করে ইলমুল ফিকহ সংকলন ও মাযহাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে চারজন মহাপুরুষ ও মুজতাহিদ মুসলিম জাহানের চির স্মরণীয়, বরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে আছেন। ইমাম শাফেয়ী রহঃ তাদের মধ্যে দ্বিতীয়।


 ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর নাম ও বংশপরিচয়ঃ-  তার নাম মোহাম্মদ। পিতার নাম ইদ্রিস। কুনিয়াত বা উপনাম আবু আব্দুল্লাহ। মায়ের নাম উম্মুল হাসান বিনতে হামজা। নিসবত আশ শাফেয়ী। পূর্ণ নাম আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস আশ শাফেয়ী। রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন ইমাম শাফেয়ী রহঃ ও সে বংশের সন্তান। ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর বংশের ঊর্ধ্বতন নবম পুরুষ আবদে মানাফ। যিনি রাসূল সাঃ এর ঊর্ধ্বতন চতুর্থ পুরুষ। 


শাফেয়ী বলার কারণঃ-   তার পূর্বপুরুষ স্বনামধন্য উসমান ইবনে শাফে এর নামানুসারে তাকে শাফেয়ী বলা হয়। ইমাম শাফেয়ী রঃ এর জন্মঃ-  ১৫০ হিজরী সনে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক গাজা বা  আসকালান শহরে ইমাম শাফির জন্মগ্রহণ করেন। কারো কারো মতে, তার জন্মস্থান হল মদিনাতুল মুনাওয়ারা। উল্লেখ্য তিনি যেদিন জন্মগ্রহণ করেন ইমাম আযম আবু হানিফা রঃ সেদিন ইন্তেকাল করেন। 


ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর শৈশবকালঃ-  ইমাম শাফেয়ী রঃ জন্মের দু'বছর পরে তার পিতাকে হারান। ফলে পিতৃহারা দুঃখ নিয়ে মায়ের কাছে লালিত পালিত হন। পবিত্র মক্কা নগরীতে তার শৈশব কাল অতিবাহিত হয়। 


ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মেধা ও প্রতিভাঃ-  আর তিনি ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধা ও বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। তিনি যখন ৭ বছরের শিশু তখন পবিত্র কোরআন হেফজ করেন। ১০ বছর বয়সে মুয়াত্তায়ে মালেক মুখস্ত করেন। এরপর মক্কার প্রখ্যাত ফকিহ মুসলিম ইবনে খালেদ এর নিকট ৫ বছর যাবত ইলমে ফিকাহ অধ্যয়ন করেন। ১৫ বছর বয়সেই তৎকালীন ফকিহগন তাকে ফতোয়াদানের অনুমতি দেন। এরপর তিনি মদিনার ইমাম মালেক রহঃ এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাকে মুয়াত্তায়ে মালেক কিতাব মুখস্থ শোনান এবং তার কাছে ইলমে ফিকাহ বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। সেখান থেকে শিক্ষা সমাপন করে তিনি ইরাকে পাড়ি জমান এবং ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর শ্রেষ্ঠ ছাত্র ইমাম মুহাম্মদের  নিকট হাদিস ও ফিকহুল হানাফিয়া অধ্যয়ন করেন। এছাড়াও তিনি ১৮০ জন মুহাদ্দিসগনের নিকট থেকে হাদিসের শিক্ষা গ্রহণ করেন। 


ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর কর্মজীবনঃ-  অধ্যাপনার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা হয়। শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে বাগদাদে দু'বছর অধ্যাপনা শেষ করে মক্কা শরীফ চলে আসেন। 


ইমাম শাফেয়ী রহঃ সরকারী পদে নিযুক্তঃ-  সেসময় বাগদাদের খলিফা হারুনুর রশিদ ইমাম শাফেয়ী রহঃ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন দেখে নাজরানের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। অবশ্য বেশিদিন তিনি এ পদে বহাল না থেকে ১৮৪ সালে বাগদাদ ত্যাগ করেন। 


ইমাম শাফেয়ী রহঃ মক্কায় আগমনঃ-  ইরাক থেকে ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহ আলাইহি পবিত্র মক্কায় গমন করেন। জ্ঞানের অনুসন্ধানে আগত মিসরীয়, স্পেনীয়, আফ্রিকান ওলামায়ে কেরাম থেকে জ্ঞান অনুসন্ধান করেন। পুনরায় ইরাক গমনঃ- ১৯৫ হিজরীতে তিনি মক্কা হতে পুনরায় আগমন করেন। ওলামায়ে কেরামের বিশাল একটি দল তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করে।


 ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মাযহাব প্রবর্তনঃ-  ইরাকে অবস্থানকালে তিনি হানাফি ও মালেকী মাযহাবের আলেমগণ এর সম্বন্ধে মধ্যপন্থী একটি মাযহাব প্রবর্তন করেন। এতে এটাকেই শাফেয়ী মাযহাব বলা হয়। 


মিশর গমন ও নতুন মাযহাব প্রতিষ্ঠাঃ-  ইরাকে স্বীয় মাজহাব প্রতিষ্ঠা করে তিনি ১৯৮ হিজরীতে মিশর চলে যান। এখানে পারিপার্শ্বিক অবস্থা লক্ষ করে তিনি তার মাযহাব ও গবেষণায় সংস্কার ও পরিবর্তন সাধন করে একটা সংশোধিত মাযহাব রচনা করেন। ইসলামী ইতিহাসে এটাকে শাফেয়ী মাযহাব বলা হয়। সুদীর্ঘ ৬ বছর কাল অবস্থানের মাধ্যমে তিনি তার মাযহাব কে প্রতিষ্ঠা করেন। 


ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর হাদীসে অবদানঃ-  ইমাম আহমদ রহঃ ছিলেন ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর সুযোগ্য ছাত্র। ওস্তাদের উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ইমাম আহমদ মুসনাদে আহমদ নামক গ্রন্থ প্রণয়ন করেন।


 ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর রচিত গ্রন্থাবলীঃ-  ইমাম শাফেয়ী রহঃ কিতাবুল উম্মাহ নামে ফিকাহ শাস্ত্রের মূলনীতির ওপর একটি প্রসিদ্ধ কিতাব রচনা করেন। এটাকে উসূলে ফিকহের প্রথম কিতাব হিসেবে গণ্য করা হয়। এতে অনেক হাদীসে বর্ণিত আছে। ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর রচিত কিতাবের সংখ্যা সর্বমোট ১১৪ খানা। 


ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর ইন্তেকালঃ-  জীবনভর জ্ঞান সাধনা ও জ্ঞানের বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠা করে, ইমাম শাফেয়ী রহঃ ২০৪ হিজরী মোতাবেক ৮২৬ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মিশরের মাটিতে ইন্তেকাল করেন।


আরো পড়ুন....

ইমাম মালেক রহঃ এর জীবনী 

ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর জীবনী 



0 likes | 138 views

ইমাম ইবনে মাজাহ রহঃ এর জীবনী | ইমাম ইবনে মাজাহর জীবনী | ইবনে মাজাহ এর জীবনী | ইবনে মাজাহ জীবনী | ইবনে মাজাহ এর জীবনী | সুনানে ইবনে মাজাহ জীবনী | the biography of imam ibn majah

হিজরী তৃতীয় শতক ছিল হাদীছ সংকলনের স্বর্ণযুগ। কুতুবুস সিত্তার সবগুলাে গ্রন্থই এ শতকে সংকলিত হয়েছে। আর এ কুতুবুস সিত্তার অন্যতম একটি গ্রন্থ হ’ল ‘সুনানু ইবনে মাজাহ। শুধু ইবনু মাজাহ নয়, বরং তিনি মহাগ্রন্থ আল- কুরআনের সুবিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ এবং তত্ব ও তথ্যনির্ভর ইতিহাসগ্রন্থ প্রণয়ন করে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন। আলােচ্য নিবন্ধে ইমাম ইবনু মাজাহ (রহঃ) -এর সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং ইলমে হাদীছে তাঁর অনন্য সংকলন সুনানে ইবনু মাজাহ সম্পর্কে আলােচনা করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।


নাম ও পরিচিতি: ইমাম ইবনে মাজাহ (রহঃ) - এর প্রকৃত নাম মুহাম্মাদ। পিতার নাম ইয়াযীদ, উপনাম আবু আব্দুল্লাহ, উপাধি  (আল- হাফিযুল কাবীর), নিসবতী নাম আর-রাবঈ, আল-কাযতীনী। তিনি ইবনু মাজাহ নামেই সমধিক পরিচিত। তাঁর পুরাে বংশপরিক্রমা হল- “আল-হাফিযুল কাবীর আল-মুফাসসির আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযীদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাজাহ আর-রাব আল-কাযতীনী। ইবনু মাজাহ-এর ‘মাজাহ’ নামটি তাঁর উপাধি, এ ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরােধ রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, মাজাহ তাঁর পিতার উপাধি, আবার কেউ বলেন, তাঁর দাদার উপাধি। এ মতবিরােধ নিরসনকল্পে ‘তাহযীবুল আসমা ওয়াল লুগাত ফিল কামূস’ গ্রন্থের প্রণেতা বলেন, ‘মাজাহ তাঁর পিতার উপাধি, দাদার নয়। আর বিশুদ্ধ অভিমত হ’ল প্রথমটি শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভী (রহঃ) বুসতানুল মুহাদ্দিছীন' গ্রন্থে লিখেছেন, মাজাহ ছিল তাঁর মায়ের নাম। তিনি আরাে বলেন, ইবনু মাজাহ মুহাম্মাদের ছিফাত, আব্দুল্লাহর ন্য। তিনি ২০৯ হিজরী মােতাবেক ৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে ইরাকের প্রসিদ্ধ শহর কাযতীনে জন্মগ্রহণ করেন। মুসলিম জাহানের তৃতীয় খলীফা ওছমান বিন আফফান (রাঃ)-এর খেলাফতকালে এ শহরটি বিজিত হয়। এ শহরের প্রথম গভর্ণর বা প্রশাসক ছিলেন বিশিষ্ট ছাহাবী বারা ইবনু আযেব (রাঃ)। 


 শিক্ষাজীবন: ইমাম ইবনু মাজাহ (রহ:) নিজ দেশেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করেন। এরপর তিনি কুরআনুল কারীম হিফয সম্পন্ন করেন। অতঃপর  উচ্চশিক্ষা অর্জন এবং হাদীছ সংগ্রহের জন্য তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ ও জনপদের যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছদের দ্বারস্থ হয়েছেন। ইমাম ইবনু মাজাহ ২৩০ হিজরী মােতাবেক ৮৪৪ খ্রীষ্টাব্দে ২২ বছর বয়সে হাদীছ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন শহরের মুহাদ্দিছগণের নিকটে গমন করেন। আল্লামা আবু যাহু ‘হাদীছ ওয়াল মুহাদ্দিদূন’ গ্রন্থে লিখেছেন, وارتحل الكتابية الحديث وتحصيله إلى الزي، والبصرة، والكوفة وبغداد، والی الشام ومصر والحجاز، وأخذ الحديث عن كثير من شيوخ الأمصار “ইমাম ইবনু মাজাহ (রহঃ) হাদীছ লিপিবদ্ধকরণ এবং শিক্ষার্জনের জন্য রায, বছরা, কূফা, বাগদাদ, সিরিয়া, মিসর, হেজায প্রভৃতি দেশ ও জনপদে ভ্রমণ করেন এবং বহু মনীষীর নিকট থেকে হাদীছ সংগ্রহ করেন। আল্লামা আব্দুর রহমান মুবারকপুরী ও নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান ভূপালী তাদের গ্রন্থে লিখেছেন, الكتابة الحديث، ارتحل إلى العراق والبصرة والكوفة وبغداد ومكة والشام ومصر والري অর্থাৎ ‘হাদীছ সংগ্রহের জন্য ইমাম ইবনু মাজাহ (রহঃ) ইরাক, বছরা, কূফা, বাগদাদ, মক্কা, সিরিয়া, মিসর, রায় প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন। ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন,  “তিনি (আল্লাসান, ইরাক, হেজায, মিসর, সিরিয়া প্রভৃতি দেশের মনীষীদের নিকট থেকে হাদীছ শুনেছেন'। হাদীছ সংগ্রহের জন্য কষ্টকর দেশ ভ্রমণের পরে তিনি ১৫ বছরের অধিক সময় ইলম চর্চায় নিমগ্ন থাকেন। 


শিক্ষকমন্ডলী : ইবনু মাজাহ (রহঃ) দেশ-বিদেশের অনেক মনীষীর নিকট শিক্ষাগ্রহণ ও হাদীছ সংগ্রহ করেছেন। তাঁর অসংখ্য উস্তাদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলেন- হাফেয আলী ইবনু মুহাম্মাদ আত-তানাফিসী, জুরারাহ ইবনুল মুয়াল্লিস, মুসয়াব ইবনু আব্দুল্লাহ আয- যুবাইরী, সুযাইদ ইবনে সাঈদ, আব্দুল্লাহ ইবনু মু'আবিয়া আল-জুমাহী, মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ, ইবরাহীম ইবনুল মুনযির আল-হিকমী, মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবলে নুমাইর, আবু বকর ইবনু আৰু শায়বা, হিশাম ইবনু আম্মার, ইয়াযীদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইয়ামামী, আৰু মুছ’আব আয-যুহরী, বিশর ইবনু মুআয আল-আকাদী, হুমাইদ ইবনু মাসয়াদা, আবু হুযাফা আস-সাহসী, দাউদ ইবনু রুনাইদ, আৰু যাযছামা, আব্দুল্লাহ ইবনু যাকওয়ান আল-মুকবেরী, আব্দুল্লাহ ইবনু আমের ইবনে বাররাদ, আবু সাঈদ, আল-আমাযা, আব্দুর রহমান ইবনু ইবরাহীম দুহাইম, আব্দুস সালাম ইবনু আছেম আল-হিসিনজানী, ওছমান ইবনু আবু শায়বা প্রমুখ। বহু মুহাদ্দিদ্বের নিকট থেকে হাদীছ শিক্ষাগ্রহণ ও সংগ্রহ করলেও ইমাম ইবনু মাজাহ (রহঃ) তাঁর সবচেয়ে প্রিয়তম উস্তাদ আবু বকর ইবনু আবু শায়বার নিকট থেকে সবচেয়ে বেশী উপকৃত হয়েছেন।  


ছাত্রবৃন্দ:-  ইমাম ইবনু মাজাহ (রহঃ) -এর অসংখ্য ছাত্রের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলেন ইবরাহীম ইবনু দীনার আল-হাওশাবী, আহমাদ ইবনু ইবরাহীম আল- কাযতীনী (তিনি হাফেয আবু ইযা'লা আল-খলীলীর দাদা), আবুত ভাইয়্যেব আহমাদ ইবনু রাওহিন আল-বাগদাদী আশ-শা'রানী, আবু আমর আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে হাকীম আল-মাদীনী আল-ইস্পাহানী, ইসহাক ইবনু মুহাম্মাদ আল-কাযভীনী, জাফর ইবনু ইদরীস, হােসাইন ইবনু আলী ইবনে ইয়াযদানিয়ার, সােলায়মান ইবনু ইয়াযীদ আল-কাযভীনী, আবুল হাসান আলী ইবনু ইবরাহীম ইবনে সালামা আল-কাযতীনী, আলী ইবনু সাঈদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল-আসকারী, মুহাম্মাদ ইবনু ঈসা আচ্ছ-ছাফফার প্রমুখ। 


ইবনু মাজাহ (রহঃ) রচিত গ্রন্থাবলী : ইমাম ইবনু মাজাহ (রহঃ) বহু সংখ্যক গ্রন্থ রচনা না করলেও যে তিনটি গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন তা খুবই মূল্যবান, কল্যাণকামী ও সুপ্রসিদ্ধ। ১. (সুনানু ইবলি মাজাহ) : এটি কুতুবুস সিত্তার অন্যতম একটি গ্রন্থ। মূলতঃ এ গ্রন্থ সংকলনের মাধ্যমেই তিনি মুসলিম জাতির হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। ২. (তাফসীরুল কুরআনিল কারীম) : হাদীছের ভিত্তিতে রচিত এটি ভাঁর একটি মূল্যবান তাফসীর গ্রন্থ।  ৩. (তারীখু মালীহ) : কোল কোন মনীষী এ গ্রন্থটিকে (তারীখু কামিল) বলে উল্লেখ করেছেন। এটি নির্ভরযােগ্য তথ্য ও ভদ্রে ভরপুর একটি প্রামাণ্য ইতিহাসগ্রন্থ। আল্লামা ইবনু কাছীর (রহঃ) এ গ্রন্থে লিখেছেন, ইবনু মাজাহ (রহঃ) -এর রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ ভাফসীর এবং পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসগ্রন্থ, যাতে ছাহাবায়ে কেরামের যুগ হ'তে তাঁর সময় পর্যন্ত বিস্তারিত ইতিহাস আলােচিত হয়েছে'। এতদ্ব্যতীত (ভারীখু কাযতীন) গ্রন্থটিকে আল্লামা ইসমাঈল পাশা আল- বাগদাদী স্বীয় নামক গ্রন্থে ইবনু মাজাহ (রহঃ) -এর গ্রন্থ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কোন কোন মনীষী এগ্রন্থটিকে আবুল কাসেম রাষ্ট্রের বলে অভিমত পােষণ করেন।  


 অনুসরণীয় মাযহাব : ইবনু মাজাহ (রহঃ) নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন কি-না এবং থাকলেও কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহঃ) বলেন, তিনি শাফেঈ মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। 


মৃত্যু : ইবনু মাজাহ (রহঃ) -এর মৃত্যু তারিখ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। ইবনু কাছীর ও জামালুদ্দীন ইউসুফ আল-মিযী তাঁর মৃত্যু তারিখ, জানাযা ও দাফনকার্য সম্পাদন সম্পর্কে বলেন, كانت وفاة ابن ماجة يوم الإثنين ونفين يوم الثلاثاء الثمان بقين من رمضان سنة ثلاث وسبعين ومائتين عن أربع وستين سنة ‘ইবনু মাজাহ (রহঃ) ২৭৩ হিজরী ২২ রামাযান মােতাবেক ২০ নভেম্বর ৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দে সােমবার মুত্যুবরণ করেন। পরের দিন মঙ্গলবার তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। কেউ কেউ বলেন, তিনি ২৭৫ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি ২৭৩ হিজরী রামাযান মাসে মৃত্যুবরণ করেন। তবে প্রথম অভিমতটিই অধিক বিশুদ্ধ। তাঁকে গােসল করান মুহাম্মাদ ইবনে আলী কেহেরমাল এবং ইবরাহীম ইবনে দীনার। জানাযায় ইমামতি করেন স্বীয় ভাই আবু বকর এবং কবরে লাশ নামান তার ভাই আবু বকর ও আবু আব্দুল্লাহ এবং স্বীয় পুত্র আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযীদ। আরো জানুন 

0 likes | 598 views

ইমাম তিরমিজির জীবনী চাই,?

0 likes | 9809 views

বিশ্বনবী (সা.) এর কবর খনন করেন কে?

0 likes | 8235 views