বাংলাদেশের সংবিধানে জুয়াখেলা’কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ-১৮’তে বলা হয়েছে যে, জুয়া খেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৮৬৭ অনুসারে জুয়া খেলা বা বাজি ধরাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। উক্ত আইনের সংজ্ঞানুসারে কেবলমাত্র ঘোরদৌড়ে বাজি ধরা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না।
১৮৬৭ সনের এই জুয়া আইন অনুসারে, “ঘর, তাঁবু, কক্ষ, প্রাঙ্গণ বা প্রাচীরবেষ্টিত স্থানের মালিক বা রক্ষণাবেক্ষণকারী বা ব্যবহারকারী হিসাবে যেকোনো ব্যক্তি জ্ঞাতসারে বা স্বেচ্ছায় অন্য লোককে, উক্ত স্থানকে সাধারণ জুয়ার স্থান হিসাবে ব্যবহার করতে দিলে, জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে অর্থ প্রদান বা নিয়োজিত করলে অনূর্ধ্ব ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং অনূর্ধ্ব ৩ মাস পর্যন্ত কারাদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে”। কোন ব্যক্তি একবার দন্ডিত হওয়ার পর পুনরায় অপরাধ করলে দ্বিগুণ দন্ডে দন্ডিত হবে।
এমনকি যেকোন ব্যক্তিকে ক্রীড়ারত অবস্থায় পাওয়া গেলে অথবা বিপরীত প্রমাণিত না হলে জুয়া খেলা চলাকালে কোনো লোক উপস্থিত থাকলেও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু সাধারণ জুয়ার আখড়া রক্ষণাবেক্ষণ বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কোন ব্যক্তিকে দন্ডিত করার জন্য তাকে জুয়া খেলারত অবস্থায় দেখার প্রয়োজন হবে না।
এই আইনে কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রকাশ্য রাস্তায়, বাজারে, মেলায় বা প্রকাশ্য স্থানে পশু বা পাখির লড়াইয়ের খেলা দেখানোকেও অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়ে পুলিশ উক্ত ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন। কিন্তু এই আইনে দৈহিক কসরতের খেলা দেখানোতে কোনো নিষেধ নেই।
~ Russell Biswas
Advocate
Judges’ Court, Chittagong
Mo - 01746-022550
#Public_Gambling #Gambling #Bangladesh #Law #জুয়া_খেলা #জুয়া #বাংলাদেশ #আইন