আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সঠিকভাবে মিমাংসা এবং সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ২০০৬ সালে প্রণীত গ্রাম আদালত আইনের ৫ ধারা মোতাবেক গ্রাম আদালত গঠন করা হয়। ১জন চেয়ারম্যান ও উভয়পক্ষ কর্তৃক মনোনীত প্রতি পক্ষ থেকে ২জন করে সর্বমোট ৫জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। গ্রাম আদালতে সাধারণত ফৌজদারী ও দেওয়ানী উভয় ধরনের মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে। মূলত অত্র আইনের তফসিলে উল্লেখিত কতিপয় বিরোধ বা বিবাদ যা আপোষ বা মীমাংসার মাধ্যমে একটা সমাধান দেওয়া’ই হচ্ছে গ্রাম আদালতের প্রধান উদ্দেশ্য। গ্রাম আদালত দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে জরিমানা স্বরূপ তফসিলে উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের আদেশ, মূল মালিককে দখল পত্যার্পন করার আদেশ দিতে পারে। কিন্তু ফৌজদারী মামলায় দন্ড দেওয়া যায়না, কেবলমাত্র ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দেয়া যায় যার পরিমাণ ৭৫,০০০ টাকার অধিক নয়। আদালত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষেত্রে বিবাদী পক্ষকে নির্ধারিত কিস্তিতে অর্থ প্রদানেরও আদেশ প্রদান করতে পারে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত অর্থ প্রদান করা না হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ বকেয়া কর হিসেবে আদায়যোগ্য যা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করা হয়। গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ পক্ষ এখতিয়ারসম্পন্ন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট / সহকারী জজ আদালতে আপীল করতে পারে। গ্রাম আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের ও আদালত অবমাননার শাস্তিরও বিধান রাখা হয়েছে। অশালীন কথাবার্তা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, আক্রমণাত্মক আচরণ ইত্যাদিকে গ্রাম আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য করা হয়। গ্রাম আদালতে কোনো পক্ষের আইনজীবী নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। 


~ Russell Biswas 

Advocate,

Judges’ Court, Chittagong

Mo- 01746-022550


 #Village_Court #গ্রাম_আদালত #Law #আইন #Bangladesh #বাংলাদেশ


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে