ডিভোর্স বা তালাক কিভাবে দিতে হয়? 


ডিভোর্স শব্দের অর্থ হচ্ছে তালাক বা বিবাহ-বিচ্ছেদ। যখন কোনো দম্পতির ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন কারণে একে অপরের সাথে কথিত সংসার নামীয় কারাগারে বাস করা বিষময় হয়ে ওঠে, তখন পরস্পর বিবাহ-বিচ্ছেদ কিংবা আলাদা বসবাসের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 



ইসলাম ধর্মাবলম্বী কিভাবে তালাক দিতে পারে?

ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোনো দম্পতি একে অপরকে তালাক দিতে চাইলে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ৭ ধারার বিধান মোতাবেক তালাকের নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে তালাক দিতে পারে। স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদানের ক্ষেত্রে মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭ ধারা এবং স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষেত্রে ৭(১) ধারা অনুসারে তালাক নোটিশ প্রদান করতে হয়। আইন-আদালত চর্চায় দেখা যায় যে, তালাক নোটিশ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিবাহ-বিচ্ছেদের কারণ উল্লেখ করে একটি বিবাহ-বিচ্ছেদের এফিডেভিড সম্পাদন পূর্বক নোটারী করে তার একটি কপি নোটিশের সাথে সংযুক্ত করে এ/ডি সহ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রেরণ করা। উল্লেখ্য যে, তালাক নোটিশের একটি কপি তালাক গ্রহীতার স্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় অথবা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয় বরাবর প্রেরণ করতে হবে। আইনানুসারে বিবাহ-বিচ্ছেদ কার্যকর অর্থাৎ ইদ্দতকাল অতিবাহিত না হওয়া অব্দি তালাক দাতা কিংবা গ্রহীতা কেউই তৃতীয় কোনো নারী কিংবা পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না।



 হিন্দু ধর্মাবলম্বী কিভাবে ডিভোর্স দিতে পারে?

 হিন্দু ধর্মাবলম্বীর ক্ষেত্রে ডিভোর্স প্রসংগে আইনে কিছুই স্পষ্ট করে বলা নেই। এরপরেও বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে বিবাহ-বিচ্ছেদের হলফনামা সম্পাদন পূর্বক আইনী নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ডিভোর্স প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে আদালত চর্চায় সনাতন নিয়ম হচ্ছে ফ্যামিলি কোর্টে সেপারেশন তথা পৃথক বসবাসের মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতের আদেশ মোতাবেক পরস্পর ডিভোর্স দিতে পারে। 


~ Russell Biswas 

Advocate, 

Chittagong Judges’ Court. 

Mo – 01746022550


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে