মোঃশান্তমন্ডল

মোঃশান্তমন্ডল

0 Views
Rated 5 / 5 based on 0 reviews

মোঃশান্তমন্ডল

  • Not Specified | |

Chamber

Services

Work Experience

Skills

Language

Training

Education

প্রশ্ন-উত্তর সমূহ 1.29k বার দেখা হয়েছে | এই মাসে 1.29k বার
4 টি প্রশ্ন দেখা হয়েছে 1.29k বার
0 টি উত্তর দেখা হয়েছে 0 বার
0 টি ব্লগ | 0 টি মন্তব্য | 0 টি প্রিয়

Blogs

Recent Q&A

পাসওয়ার্ড ছাড়াই যেকোনো ওয়াইফাই কানেক্ট করবেন যেভাবে?

ফোনটাকে হতে হবে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। ফোনের প্রসেসর আর র‍্যাম ভালো হলেই ভালো। আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটা রুটেড হওয়াও আবশ্যক। আর যেই ওয়াইফাই আপনি ব্যাবহার করতে চান তার স্পিডে ভাল হওয়া প্রয়োজন।


ডাব্লিউপিএস অ্যাপ দিয়েই আপনি যে কারো ফোনের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে পারবেন। তার জন্য প্রথমে অ্যাপটিকে ডাউনলোড করুন। অ্যাপে দেখতে পাবেন ডাব্লিউপিএস সিকিউরিটি দেয়া অনেকগুলো ওয়াইফাই অপশন দেখাচ্ছে।

ডাব্লিউপিএস সাপোর্টেড বলে আপনাকে আলাদা করে আর পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হবে না। শুধু কানেক্ট করুন যেকোনো একটার সঙ্গে। তারপর, আপনার যা ইচ্ছে খুশি ইন্টারনেট ব্যবহার করুন।

0 likes | 1711 views

ন্যানো টেকনোলজি কি অকল্পনীয় ক্ষুদ্র অংশ থেকে আমরা কি পারবো এক নতুন দুনিয়া গড়তে?

image

এমন এক দুনিয়ার কথা স্বপ্নেও অনুমান করা দুষ্কর —যার বৈশিষ্ট্য আমরা কল্পনাও করে দেখি না। মুখ উঠিয়ে আপনার ঘরের চারপাশের দিকে একবার নজর বুলিয়ে নিন, কি দেখতে পাচ্ছেন? আপনার কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল, আপনার বিছানা? এবার নিজের আঁকার ২০ গুন ছোট মনে করুন —এখন কি দেখতে পাবেন? হয়তো এবার মেঝের এক কোনে পড়ে রয়েছেন এবং আপনার টেবিলকে দেখতে একটি দৈত্যাকার বিল্ডিং মনে হবে। কিন্তু এভাবেই আপনাকে যদি ১০০০ মিলিয়ন গুন ছোট করে দেওয়া হয় তবে কি দেখতে পাবেন? আপনার নজরে কি কোন চেয়ার বা টেবিল আশাকরিয়ে দিলেন, তাহলে কি ঘটবে? —তাহলে অসাধারণ সব উপকরণের উদ্ভব ঘটবে যা এই দুনিয়াই আগে কখনোই ছিলোনা। আজকের দিনে নতুন রোগের ঔষধ থেকে শুরু করে আপনার কম্পিউটারের সুপার ফাস্ট প্রসেসর এবং অসাধারণ সব উপকরণ তৈরির পেছনে অত্যন্ত ক্ষুদ্র এক প্রযুক্তি কাজে আসছে যা “ন্যানো টেকনোলজি” (Nanotechnology) নামে পরিচিত এবং এটি বর্তমান বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সবচাইতে আশ্চর্যকর নিদর্শন। তো চলুন আজ ন্যানো প্রযুক্তির সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক.....


কতো বড় এই “ন্যানো”?

আপনার স্মার্টফোন বা যেকোনো ক্যামেরা ব্যবহার করে একটি ফটো ক্যাপচার করুন এবং সেটাকে ফটোশপ দিয়ে ওপেন করুন। এবার ফটোটিকে জুম করতে থাকুন, দেখবেন জুম করতে করতে ফটোটি একসময় ঘোলা হয়ে যাবে এবং পরিশেষে শুধু চারকোনা ইটের দেওয়ালের মতো দেখতে পাওয়া যাবে। এই প্রত্যেকটি চারকোনা ব্লক গুলোকে এক একটি পিক্সেল বলা হয়, যা কোন ফটোর বর্ণনা ধারণ করে এবং একত্রে সকল পিক্সেল গুলো মিলে একটি সম্পূর্ণ ফটো তৈরি হয়। ঠিক একই ভাবে আপনার চারপাশের সমস্ত কিছু সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়েছে অতি ক্ষুদ্র উপাদান “পরমাণু” দ্বারা। চেয়ার টেবিল থেকে আরম্ভ করে আপনার শরীর পর্যন্ত পরমাণু নামক অতি ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত। প্রত্যেকটি পদার্থের পরমাণুতে তার গুনের এক একটি অংশ বর্ণিত থাকে, যেমনটা কোন ফটোর প্রত্যেকটি পিক্সেলে বিভিন্ন কালার থাকে এবং একত্রে একটি ফটো তৈরি হয়। ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্তু এর উপরই নির্ভর; তাহলো পদার্থর গঠন এবং এর অণু, পরমাণুর গঠন এবং বৈশিষ্ট্য—এ ব্যাপার নিয়ে আরো পরে আলোচনায় আসবো, এখন ন্যানো এর আঁকার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।

ন্যানো টেকনোলজি

দেখুন আমরা এমন এক পৃথিবীর সাথে পরিচিত যেখানে আমরা মিটার, কিলোমিটার ইত্যাদি পরিমাপের সাথে অভ্যস্ত। এমন কোন জিনিসের আঁকার সম্পর্কে কল্পনা করা সত্যি কষ্টের যেটা এতোটাই ছোট যে চোখে দেখা সম্ভব নয়।  তবে ন্যানো অনেক ছোট হলেও এটি কিন্তু একটি সিঙ্গেল অ্যাটমের তুলনায় বড়। একটি অ্যাটমের ব্যাসরেখা প্রায় ০.১ ন্যানো মিটার এবং একটি অ্যাটমের নিউক্লিয়াস (অ্যাটমের ঠিক মাঝখানের একটি ঘন এলাকা যেখানে প্রোটন এবং নিউট্রন থাকে) আরো ছোট আকারের হয়ে থাকে, যেটা প্রায় ০.০০০০১ ন্যানো মিটার। বিজ্ঞান বিভাগের পটু আর গনিতের তুখারেরা এতক্ষণে ন্যানো মিটার এবং এর আঁকার সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন, তবে সকলের বোঝার জন্য আরেকটি উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করি। মনে করুন আপনার হাতে একটি অ্যাপেল রয়েছে এবং ধরে নিন এটা ১ ন্যানো মিটার, তাহলে এটি কতো ছোট? ১ মিটারের সাথে ১ ন্যানো মিটারের তুলনা করতে গেলে, আপনার হাতের অ্যাপেলটি যদি এক ন্যানো মিটার হয় তবে এই সমস্ত পৃথিবী হবে এক মিটার, বুঝতে পাড়লেন?

আপনি হয়তো আপনার জীববিজ্ঞান বইয়ের অতি ক্ষুদ্র পরজীবী কীটবিশেষ এর ছবি দেখে আশ্চর্য হয়ে থাকেন, হয়তো ভাবেন এতো ছোট জিনিসের ছবি কীভাবে উঠানো সম্ভব হয়। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ(অতি ক্ষুদ্র বস্তু দেখার যন্ত্র) ব্যবহার করে এই ধরনের ফটোগ্রাফি করা হয়ে থাকে। এই অসাধারণ বিজ্ঞানের যন্ত্রটি এক মিটারের মিলিয়ন গুন ছোট বস্তু দেখতে পারে অর্থাৎ ১ মাইক্রোস্কোপিক মিটার সমান ১ মিটারের ১ মিলিয়ন (১০ লক্ষ) গুন ছোট ভার্সন। কিন্তু ন্যানো মানে হলো ১ মিটারের ১ বিলিয়ন (১, ০০০ মিলিয়ন) গুন ছোট। তো ন্যানো মিটার কতটা ক্ষুদ্র হতে পারে কল্পনা করতে পারছেন? আমার তো কল্পনার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। চলুন ন্যানো স্কেলকে আরো গভীর এবং বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য নিচের চার্টটি দেখে নেওয়া যাক।


ন্যানো স্কেল—

  • অ্যাটম; ~০.১ ন্যানোমিটার।
  • অনুতে পরমাণু; ~০.১৫ ন্যানোমিটার অংশ জুড়ে থাকে।
  • ডিএনএ ডাবল-হেলিক্স (ডিএনএ এর অণু); ২ ন্যানোমিটার ব্যাসরেখা বিশিষ্ট।
  • আদর্শ প্রোটিন; ~১০ ন্যানোমিটার লম্বা।
  • কম্পিউটার ট্র্যানজিস্টর (যা দ্বারা কম্পিউটার প্রসেসর বা মেমোরি তৈরি হয়); ~১০০-২০০ ন্যানোমিটার প্রশস্ত।
  • আদর্শ ব্যাকটেরিয়া; ~২০০ ন্যানোমিটার লম্বা।
  • মানুষের চুল; ৫০, ০০০-১০০, ০০০ ন্যানোমিটার ব্যাসরেখা বিশিষ্ট।
  • একটি কাগজ; ~১০০, ০০০ ন্যানোমিটার পাতলা।
  • একটি মেয়ে ১.২ মিটার (৪ ফুট) লম্বা; ~১, ২০০ মিলিয়ন ন্যানোমিটার লম্বা।
  • একটি ছেলে ২ মিটার (৬.৫ ফুট) লম্বা; ২, ০০০ মিলিয়ন ন্যানোমিটার লম্বা।
  • এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং; ৩৮১ মিটার (১, ২৫০ ফুট) লম্বা; ~৩৮১, ০০০ ন্যানোমিটার লম্বা।
0 likes | 1804 views

সিটিল ঘুমের বড়ির কায্যকারিতা?

যাদের একটু টেনশন বেশি তারা সিটিল বরি শেবন করতে পারেন।কিন্তু একসাথে (২টার) বেশি শেবন করা যাবে না। 0 likes | 2539 views

পিড়ামিড- জীবনানন্দ দাশ?

পিড়ামিড___
জীবনানন্দ দাশ  

বেলা বয়ে যায়

গোধূলির মেঘ-সীমানায়

ধূম্র মৌন সাঁঝে

নিত্য নব দিবসের মৃতু্যঘন্টা বাজে!

শতাব্দীর শবদেহে শ্মশানের ভষ্মবহ্নি জ্বলে!

পান্থ ম্লান চিতার কবলে

একে একে ডুবে যায় দেশ, জাতি,--সংসার, সমাজ,

কার লাগি হে সমাধি, তুমি একা বসে আছ আজ

কী এক বিক্ষুব্ধ প্রেতকায়ার মতন

অতীতের শোভাযাত্রা কোথায় কখন

চকিতে মিলায়ে গেছে-পাও নাই টের!

কোন দিবা অবসানে গৌরবের লক্ষ মুসাফের

দেউটি নিভায়ে গেছে,---চলে গেছে দেউল ত্যজিয়া,

চলে গেছে প্রিয়তম,---চলে গেছে প্রিয়া!

যুগান্ত্মের মণিময় গেহবাস ছাড়ি

চকিতে চলিয়া গেছে বাসনা-পসারী,

কবে কোন্ বেলাশেষে হায়

দূর অস্ত্মশেখরের গায়!

তোমারে যায়নি তারা শেষ অভিনন্দনের অর্ঘ্য সমর্পিয়া;

সাঁজের নীহারনীল সমুদ্য মথিয়া

মরমে পশেনি তব তাহাদের বিদায়ের বাণী!

তোরণে আসেনি তব লক্ষ লক্ষ মরণ-সন্ধানী

অশ্রু-ছলছল চোখে,---পাণ|ডুর বদনে!

---কুষ্ঞ যবনিকা করেব ফেলে তারা গেল দূর দ্বারে বাতায়নে

জানো নাই তুমি!

জানে না তো মিশরেরর মূক মরুভূমি

তাদের সন্ধান!

হে নির্বাক পিরামিড,---অতীতের স্ত্মব্ধ প্রেত-প্রাণ

অবিচল স্মৃতির মন্দির!

আকাশের পানে চেয়ে আজো তুমি বসে আছো স্থির!

নিষ্পলক যুগ্মভুরু তুলে

চেয়ে আছো অনাগত উদধির কূলে

মেঘ-রক্ত ময়ূখের পানে!

জ্বলিয়া যেতেছে নত্যি নিশি-অবসানে

নূতন ভাস্কার!

বেজে ওঠে অনাহত মেম্ননের স্বর

নিবেদিন অরুণের সনে

কোন্ আশা-দূরাশার ক্ষণস্থায়ী অঙ্গুলি-তাড়নে!

--পিরামিড-পাষাণের মর্ম ঘেরি নেচে যায় দুদণ্ডের

রুধির-ফোয়ারা

কি এক প্রগল্ভ উষ্ঞ উল্লাসের সাড়া!

থেমে যায় পান্থবীণা মুহূর্তে কখন!

শতাব্দীর বিরহীর মন

নিটল নিথর

সন্ত্মরি ফিরিয়া মনে গগনের রক্ত-পীত সাগরের পরে!

বালুকার স্ফীত পারাবারে

লোল মৃগতৃষ্ঞিকার দ্বারে

মিশরের অপহৃত অন্ত্মরের লাগি

মৌন ভিক্ষা মাগি!---

--খুলে যাবে কবে রুদ্ধ মায়ার দুয়ার!

মুখরিত প্রাণের সঞ্চার

ধ্বনিত হইবে করেব কলহীন নীলার বেলায়!---

--বিচ্ছেদের নিশি জেগে আজো তাই বসে আছে

পিরামিড হায়!

-- কত আগন্তুক-কাল,---অতিথি--সভ্যতা

তোমার দুয়ারে এসে কয়ে যায় অসম্বৃত অন্ত্মরের কথা!

তুলে যায় উচ্ছৃঙ্খল রুদ্র কোলাহল!

--তুমি রহ নিরুত্তর,---নির্বেদী,---নিশ্চল!

মৌন, অন্যমনা!

---প্রিয়ার বক্ষের পরের বসি একা নীরবে করিছ তুমি

শবের সাধনা

হে প্রেমিক---স্বতন্হত্র স্বরাট!

---কবে সুপ্ত উত্‌সবের স্ত্মব্ধ ভাঙা হাট

উঠিবে জাগিয়া!

সস্মিত নয়ন তুলি কবে তব প্রিয়া

আঁকিবে চুম্বন তব স্বেদ-কৃষ্ঞ, পাণ|ডু, চূর্ণ,

ব্যথিত কপোলে!

মিশর-অলিন্দে কবে গরিমার দীপ যাবে জ্বলে!

বসে আছো অশ্রুহীন স্পন্দহীন তাই!

---ওলটিপালটি যুগ-যুগন্ত্মের শ্মশানের ছাই

জাগিয়া রয়েছে তব প্রেত-আঁখি,--,প্রেমের প্রহরা!

---মোদের জীবনে যবে জাগে পাতা-ঝরা

হেমন্ত্মের বিদায়-কুহেলি,

অরুন্তুদ আঁখি দুটি মেলি

গড়ি মোরা স্মৃতির শ্মশান

দুদিনের তরে শুধু,---নবোত্‌ফুল্লা মাধবীর গান

মোদের ভুলায়ে নেয় বিচিত্র আকাশে

নিমেষে চকিতে!

---অতীতের হিমগর্ভ কবরের পাশে

ভুলে যাই দুই ফোঁটা অশ্রু ঢেলে দিতে!

          (ঝরা পালক কাব্যগ্রন্থ)

0 likes | 1684 views