Call

 আল-হাদিসে হালাল রিজিক অন্বেষণ প্রসঙ্গে  ইবনে মাসউদ [রা.] থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, আল্লাহর নির্ধারিত রিজিক পূর্ণমাত্রায় লাভ না করা পর্যন্ত কোনো জীবজন্তুই মারা যায় না। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর এবং বৈধ পন্থায় আয়-উপার্জনের চেষ্টা কর। রিজিক প্রাপ্তিতে বিলম্ব যেন তোমাদের তা উপার্জনে অবৈধ পন্থা অবলম্বনে প্ররোচিত না করে। কেননা আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা কেবল তার আনুগত্যের মাধ্যমেই লাভ করা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

আল্লাহতায়ালা রিজিক অন্বেষণের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, ‘তারপর যখন নামাজ শেষ হয়ে যায়, তখন ভূ-পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো এবং অধিক মাত্রায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে। -সূরা আল জুমুআ: ১০

অধিকাংশ কাজ যার মাধ্যমে রিজিক অর্জন করা যায়, তা আল্লাহতায়ালা সহজ করেছেন, কঠিন করেননি। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তিনিই তো সেই মহান সত্তা যিনি ভূপৃষ্ঠকে তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। তোমরা এর বুকের ওপর চলাফেরা করো এবং আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও। আবার জীবিত হয়ে তোমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে।’ -সূরা আল মুলক: ১৫

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Tareq Abrar

Call

রাসুল (স.) বলেন, “হালাল উপায়ে জীবিকা অন্বেষণ করা ফরজের পর আরও একটি ফরজ কাজ।” (বায়হাকি)  

রাসুল (স.) আরো বলেন, “নিজ হাতে উপার্জিত রিজিকের চেয়ে উত্তম রিজিক কেউ কোনোদিন খায়নি।” (সহিহ বুখারী)  

ইমাম মুসলিম আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন :  “সে ব্যক্তিই সফলকাম, যে ইসলামের হিদায়াত ও পরিমাণ মত রিযিক আহরণ করেছে, আর সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ”(মুসলিম)  

আল্লাহ বলেন, “সালাত শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) সংগ্রহ কর।” (সূরা জুমুআ, আয়াত ১০)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নবী আকরাম [সা.] একটি হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের রুজি রোজগারের জন্য কাজ করে এবং সে কাজে লক্ষ্য থেকে আল্লাহর সন্তুটি অর্জন, তার দৃষ্টান্ত হজরত মুসা আ:-এর মায়ের মতো। তিনি নিজেরই সন্তানকে দুধ পান করান আবার তার বিনিময় লাভ করেন।    

রাসুলে করিম [সা.] হাদিসে পাকে ইরশাদ করেন, ‘হালাল রিজিক অন্বেষণ করা ফরজ আদায়ের পর আরেক ফরজ। [তিবরানি ও বায়হাকি শরিফ]   

রিজিক অন্বেষণে শ্রম ব্যয়ের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে নবিজি [সা.] বলেছেন, ‘নিজ হাতে উপার্জিত খাদ্য সর্বোত্তম খাদ্য’।    

মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে মানুষ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। ধনসম্পদ সংগ্রহে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা কেউ তার রিজিক পরিপূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না, যদিও তা অর্জনে বিলম্ব হোক না কেন।’ (ইবনে মাজাহ)    

বান্দা তার কৃত পাপের কারণে রিযক থেকে মাহরুম হয়। (মুসনাদ)    

তুমি তাকওয়া অবলম্বন কর, তাহলে তুমি অধিক ইবাদতকারী হয়ে যাবে, অল্পে তুষ্টি থাক তাহলে সবচেয়ে শোকর আদায়কারী হয়ে যাবে, আর তোমার নিজের জন্য যা পছন্দ কর, মানুষের জন্য তাই পছন্দ কর, তাহলে তুমি পরিপূর্ণ মুমিন হবে, আর তোমার যে প্রতিবেশী হয় তুমি তার সাথে সদ্ব্যবহার কর, তাহলে তুমি পরিপূর্ণ মুসলিম হবে। আর হাসা কমিয়ে দাও, কারণ অধিক হাসি অন্তর নির্জীব করে দেয়। [ইবনে মাজাহ, আল-বানি হাদিসটি সহিহ বলেছেন।]    

ইবনে মাসউদ [রা.] থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, আল্লাহর নির্ধারিত রিজিক পূর্ণমাত্রায় লাভ না করা পর্যন্ত কোনো জীবজন্তুই মারা যায় না। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর এবং বৈধ পন্থায় আয়-উপার্জনের চেষ্টা কর। রিজিক প্রাপ্তিতে বিলম্ব যেন তোমাদের তা উপার্জনে অবৈধ পন্থা অবলম্বনে প্ররোচিত না করে। কেননা আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা কেবল তার আনুগত্যের মাধ্যমেই লাভ করা যায়। [ইবনে মাজা]    

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রা.] থেকে বর্ণিত,নবী [সা.] ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে, তা থেকে দান-খয়রাত করলে তা কবুল করা হবে না এবং সে তার এ সম্পদে বরকত প্রাপ্ত হবে এরূপ কখনো হতে পারে না। তার পরিত্যক্ত হারাম মাল কেবল তার জন্য দোজখের পাথেয় হতে পারে (তা দিয়ে আখেরাতের সৌভাগ্য ও সাফল্য অর্জন করা যায় না)। আল্লাহতায়ালার নিয়ম হচ্ছে, তিনি মন্দের দ্বারা মন্দকে নিশ্চিহ্ন করেন না (হারাম মালের দান দ্বারা গুনাহ মাফ করেন না)। বরং ভালো দ্বারা মন্দ নিশ্চিহ্ন করেন (হালাল মালের দান দ্বারা গুনাহ মাফ করেন। নাপাক দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যায় না। (মুসনাদে আহমাদ)।    

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ