মহাকর্ষ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা দ্বারা সকল বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে। প্রকৃতির চারটি মৌলিক বলের একটি হলো মহাকর্ষ । মহাকর্ষের কারণেই পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহগুলি সূর্যের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান থাকে। স্যার আইজাক নিউটন ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা গ্রন্থে এ বিষয়ে ধারণা প্রদান করেন।

মহাকর্ষের বিশেষ উদাহরণ হলো মাধ্যাকর্ষণ বা অভিকর্ষ যার কারণে ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ সকল বস্তু ভূকেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয়। মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবেই উপরিস্থিত বা ঝুলন্ত বস্তু মুক্ত হলে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ভরসম্পন্ন বস্তুসমূহে ওজন অনুভূত হয়। একটি বস্তুর ভর যত বেশি হয়, মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে তার ওজনও তত বেশি।

অতএব একটি গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ কিসের ওপর নির্ভর করে গ্রহের ভরের উপর, অন্য কথায় সেই গ্রহে কতগুলো পদার্থ আছে সেটার উপর।

একটি গ্রহের ভর যত বেশি হবে, গ্রহটি স্পেস কে তত বেশি বেন্ড করবে (উপরে দেয়া ছবিটির মত)। আর আমরা জানি কোন বস্তুর ভরের করনে স্পেস যখন কার্ভ হয় সেটাই মূলত গ্রাভিটি। তাই একটি গ্রহের ভর যত বেশি হবে সেই গ্রহটির মহাকর্ষীয় টান ও তত বেশি হবে।

যেমনঃ চাঁদের ভর পৃথিবীর ভরের চেয়ে অনেক কম তাই তার মাধ্যাকর্ষণ বল ও পৃথিবীর ৬ ভাগের এক ভাগ। আর সূর্যের ভর পৃথিবীর ভরের ৩,৩৩,০০০ গুন বেশি হওায় এর মাধ্যাকর্ষণ বল ও পৃথিবীর থেকে অনেক বেশি।

আশা করি ব্যাপারটা পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ