নঞ্ তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে?

পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি (কে, রে) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয় তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন:দুঃখকে প্রাপ্ত=দুঃখপ্রাপ্ত...

পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয় তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন :মন দিয়ে গড়া=মনগড়া শ্রম দ্বারা...

অলুক তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদের তৃতীয়া বিভক্তি দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি লোপ না হলে অলুক তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন: তেলে ভাজা=তেলে ভাজা।

পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি (কে, জন্য, নিমিত্ত ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয় তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন :গুরুকে ভক্তি=গুরুভক্তি...

পূর্বপদে পঞ্চমী বিভক্তি (হতে, থেকে ইত্যাদি) লোপে যে তৎপুরুষ সমাস হয় তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন:খাঁচা থেকে ছাড়া=খাঁচাছাড়া...

পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তির (র, এর) লোপ হয়ে যে সমাস হয় তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন :চায়ের বাগান=চাবাগান রাজার পুত্র=রাজপুত্র...

অলুক ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস : র/এর-বিভক্তি লোপ না পেয়ে যে সমাস হয় তাকে অলুক ষষ্ঠী সমাস বলে। যেমন: মাটির মানুষ=মাটির মানুষ।

পূর্বপদে সপ্তমী বিভক্তি (এ,য়, তে) লোপ হয়ে যে সমাস হয় তাকে সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন :গাছে পাকা= গাছপাকা দিবায় নিন্দ্রা=দিবানিদ্রাএরূপ: বাকপটু, গোলাভরা, তালকানা,...

যে পদের পরবর্তী ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎপ্রত্যয় যুক্ত হয় সে পদকে উপপদ বলে। কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদের যে সমাস হয় তাকে বলে উপপদ তৎপুরুষ সমাস। যেমন : জলে চরে যা=জলচর...

নঞ্ বহুব্রীহি : বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ্ (না অর্থবোধক) অব্যয় যোগ করে বহুব্রীহি সমাস করা হলে তাকে নঞ্ বহুব্রীহি বলে। যেমন: নাই জ্ঞান যার=অজ্ঞান।