শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

১।পেট খারাপ হলে তুলসীর ১০ টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার খান ৷ হাগু একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে!!! মানে পায়খানার ওই সমস্যাটা আর কি!

২।জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন ৷ অথবা তিনটি দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান ৷ জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে ৷

৩। কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান৷ এতে উপকার পাবেন৷

৪। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪/৫ বার তুলসী পাতা চেবান৷

৫। ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান কমে যাবে৷

৬।শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান এতে জ্বালা কমবে৷ পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে৷ সেখানে কোন দাগ থাকবে না৷

৭। ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য এছাড়া ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান৷

৮। চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।

৯। ডায়রিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।

১০। শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।

১১। যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

১২। সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।

১৩। নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।

১৪। চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।

১৫।মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ৷

১৬।ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান, কমে যাবে ৷

১৭। ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য, এছাড়াও ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান ৷

১৮। বুদ্ধি এবং স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ৫-৭ টা তুলসী পাতা চিবান ৷

১৯। প্রস্রাবে জ্বালা হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন ৷ উপকার পাবেন ৷

২০। ত্বকের সমস্যা দূর করতে তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগান ৷

২১। তুলসী মূল শুক্র গাঢ় কারক। তুলসী পাতার ক্বাথ, এলাচ গুঁড়া এবং এক তোলা পরিমাণ মিছরী পান করলে ধাতুপুষ্টি সাধিত হয় যতদিন সম্ভব খাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত ইন্দ্রিয় উত্তেজক। প্রতিদিন এক ইঞ্চি পরিমাণ তুলসী গাছের শিকড় পানের সাথে খেলে যৌনদূর্বলতা রোগ সেরে যায়।

২২।কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসিপাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়। শ্লেষ্মার জন্য নাক বন্ধ হয়ে কোনো গন্ধ পাওয়া না গেলে সে সময় শুষ্ক পাতা চূর্ণের নস্যি নিলে সেরে যায়। পাতাচূর্ণ দুই আঙ্গুলের চিমটি দিয়ে ধরে নাক দিয়ে টানতে হয়, সেটাই নস্যি।

২৩। তুলসী পাতা দিয়ে চায়ের মত করে খেলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা যায়। তুলসী চা হিসাবে এটি বেশ জনপ্রিয়।

২৪ তুলসি পাতার রসে লবন মিশিয়ে দাদে লাগালে উপশম হয়।

২৫। তুলসীর বীজ পানিতে ভিজালে পিচ্ছিল হয়।এই পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবতের মত করে খেলে প্রস্রাবজনিত জ্বালা যন্ত্রনায় বিশেষ উপকার হয়।এছাড়াও তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন ।

২৬।মুখে বসন্তের কাল দাগে তুলসীর রস মাখলে ঐ দাগ মিলিয়ে যায়। হামের পর যে সব শিশুর শরীরে কালো দাগ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস মাখলে গায়ে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।

 

» চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।

» উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।  

» হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে।

» ঠাণ্ডা মরসুমে ছোট বাচ্চাদের তুলসির পাতা খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী।

» জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন ৷ অথবা উপরিউক্ত তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা পানি দিয়ে সেবন করুণ । জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।

» কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসাথে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান ৷ এতে উপকার পাবেন ৷

» ডাইরিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।

» মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ।

» আপনার শরীরে যদি কোনরকম ঘা যদি থাকে তাহলে তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান।

» শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।

» ত্বকের রোশনি বাড়ানোর জন্য, ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান।

» প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন । তুলসি গাছের বীজও যথেষ্ট উপকারী। এর বীজ শুকিয়ে মিহি করে খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ভালো হয়। পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে এই পাতার অবদান অপরিহার্য।

» যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

» সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।

» নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।

» চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।

» তুলসীতে Eugenol অধিক পরিমাণে থাকায় তা Cox-2 Inhibitor রূপে কাজ করে বলে তা ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

» Hypoglycemic drugs এর সাথে তুলসী খেলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।

» তেজস্ক্রিয়তার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমুহকে মেরামত করে।

» চর্বিজনিত হৃদরোগে এন্টি অক্সিডেন্টের ভুমিকা পালন করে।

» তুলসী একশেরও বেশি Phytochemicals (যেমন oleanolic acid, beta caryophyllene ইত্যাদি)বহন করে বলে ক্যান্সার চিকিত্সারয় ব্যবহৃত হয়।

» তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস Immune system এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।

» তুলসী স্নায়ুটনিক ও স্মৃতিবর্ধক।

» শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্নরোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।

» সর্দি, কাশি, জ্বর, বমি, ডায়ারিয়া, কলেরা, কিডনির পাথর, মুখের আলসারসহ চোখের বিভিন্ন রোগে ইহা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

» দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

সাদা তুলসী গাছটাই সাধারণত চোখে পড়ে তবে কালো তুলসী গাছ ও দেখা যায়, যাকে বলা হয় কৃষ্ণ তুলসী। জুলাই আগস্ট বা নভেম্বর ডিসেম্বরে এতে মঞ্জুরি দেখা যায়। ভারতে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করা হয়।

 

তুলসী বিভিন্ন রকম ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও ফাংগাস থেকে শরীরকে রক্ষা করে। পাতা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যায়। অনেকে বেটে রসটা খান। তুলসী পাতার চা বেশ সুস্বাদু। আসুন জেনে নেয়া যাক শরীরের জন্য তুলসী পাতার উপকারীতা।

১. তুলসী গাছের পাতাতে বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল বিদ্যামান। যা শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

২. তুলসী গাছের পাতাতে বিভিন্ন পলিফেনলিক উপাদান যেমন- অরিএন্টিন এবং ভিচেনিন রয়েছে। এই যৌগগুলোকে ইন-ভিট্রো পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। তুলসীতে সম্ভাব্য কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা যকৃতের জারণ বিকিরণ জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

৩. তুলসী পাতায় তেলজাতীয় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিছু উপাদান রয়েছে। যেমন- ইউজেনল, চিত্রনেল্লল, লিনালল, চিত্রাল, লিমনেন এবং তারপিনিওল। এসকল তেল রঙ স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এ সকল যৌগ প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

৪. তুলসী পাতায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে এবং কোন কোলেস্টেরল থাকে না। কিন্তু এতে অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয় পুষ্টি, খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

৫. তুলসী পাতায় ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও তুলসী পাতায় বি-ক্যারোটিন, লুটিয়ান, জিয়া-জান্থিন এবং ক্রিপ্টক্সান্থিন এর মত ফ্লাভেনয়েড বিদ্যামান। ভিটামিন এ এর কারনে শ্লেষ্মা ঝিল্লি সুস্থ থাকে এবং ত্বক অনেক ভাল থাকে। ভিটামিন এ সুস্থ দৃষ্টির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।

তুলসী পাতায় যে সকল যৌগ রয়েছে তাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরকে বিভিন্ন রোগের সংক্রামণ হতে রক্ষা করে। এর মৌলে প্রাপ্ত উপাদান প্রতিরক্ষামূলক কাজ করতে সাহায্য করে।

৬. জিয়া-জান্থিন একটি হলুদ ফ্লাভানয়েড ক্যারোটিনয়েড। যা, রেটিনাকে সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি হতে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে জিয়া-জান্থিন যে সকল ফলমূল ও শাকসবজিতে রয়েছে, সে সকল খাবার শরীরের বার্ধক্যজনিত সমস্যা রোধে সহায়তা করে। বিশেষ করে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।

৭. ১০০ গ্রাম তাজা তুলসী পাতায় ৫২৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে। যা আমাদের শরীরের দৈনিক প্রয়োজনের ১৭৫ শতাংশ। এছাড়াও তুলসী পাতায় ভিটামিন কে বিদ্যামান। যা আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করে।

সর্দি-কাশির মহাষৌধ

শিশুদের সর্দি-কাশির জন্য তুলসী পাতা মহাষৌধ হলেও যেকোনো বয়সের মানুষই এ থেকে উপকার পেয়ে থাকে। শিশুর সর্দি-কাশি থাকলে শিশুকে আদা চা চামচ মধু এবং তুলসী পাতার রস খাওয়ালে কাশি কিছুটা কমবে।

হার্টের অসুখ

তুলসী পাতায় আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। তুলসী পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

মানসিক চাপ

তুলসীর ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো নার্ভকে শান্ত করে। এছাড়াও তুলসী পাতার রস শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মাথা ব্যাথা

মাথা ব্যাথা ও শরীর ব্যাথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংশপেশীর খিচুনী রোধ করতে সহায়তা করে।

বয়স রোধ করা

তুলসী পাতার ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েলগুলো চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হিসেবে কাজ করে; যা বয়সজনিত সমস্যা কমায়। তুলসী পাতাকে যৌবন ধরে রাখার টনিকও মনে করেন কেউ কেউ।

রোগ নিরাময় ক্ষমতা

তুলসীকে নার্ভের টনিক বলা হয় এবং এটা স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী। এটি শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মাঘটিত সমস্যা দূর করে। তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

পোকার কামড়

তুলসী পাতা হলো প্রোফাইল্যাক্টিভ যা, পোকামাকড় কামড় দিলে উপসম করতে সক্ষম। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার তাজা রস লাগিয়ে রাখলেকামড়ের ব্যথা ও জ্বলা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।

ত্বকের সমস্যা

তুলসী পাতার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তুলসী পাতা বেটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়। এছাড়াও তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগালে ত্বকের যেকোনো সমস্যায় বেশ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া ত্বকের কোনো অংশ পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে জ্বালা কমবে এবং সেখানে কোনো দাগ থাকবে না ৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Srabany

Call

তুলসি পাতার রসে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ছোট-বড় নানা রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয়, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে তুলসি গাছের পাতা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে নানা ধরনের সংক্রমণ হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ছোট-বড় সব রোগই দুরে পালায়। সেই কারণেই তো নিয়মিত তুলসি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন তুলসি পাতা খেলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়, যেমন ধরুন... ১. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে: ১. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত তুলসি পাতা খাওয়া শুরু করলে লিভারের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে লিভার সংক্রান্ত কোনও রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ২. স্টমাক সম্পর্কিত রোগ কমায়: ২. স্টমাক সম্পর্কিত রোগ কমায়: গত কয়েক বছরে আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বে গ্য়াসট্রিক প্রবলেম, আলসার, ব্লটিং প্রভৃতি রোগের প্রকোপ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। আর তুলসি পাতা এইসব রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে। প্রতিদিন এক চামচ তুলসির জুসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে নানা রকমের পেটের রোগ একেবারে দূরে পালায়। ৩. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়: ৩. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়: একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত তুলসি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে অথবা তুলসি পাতার পেস্ট মুখে লাগালে রক্ত এত মাত্রায় পরিশুদ্ধ হয় যে স্কিন ইনফেকশনের আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। আসলে তুলসি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৪. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়: ৪. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়: নানা ধরনের ছোট-বড় চোখের রোগ সারাতে তুলসি পাতার কোনও বিকল্প নেই। প্রসঙ্গত, ভিটামিন- এ-র ঘাটতির কারণে যে যে চোখের রোগ হয়, সেগুলির প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে আসে তুলসি পাতা। ৫. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে: ৫. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে: প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রপাটিজ এবং অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট থাকায় তুলসি পাতা খেলে ক্যান্সার রোগও দূরে পালায়। একাধিক গবেষণা অনুসারে, রোজ যদি তুলসি পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে ব্রেস্ট এবং ওরাল ক্যান্সার কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে তুলসি পাতার রস খেলে পরিবেশে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরকে নষ্ট করতে পারে না। ফলে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। ৬. ওজন কমে চোখে পরার মতো: ৬. ওজন কমে চোখে পরার মতো: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন খালি পেটে তুলসি পাতা খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে অতিরিক্ত মেদ ঝরে যেতে সময় লাগে না। তাই চটজলদি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে নিয়মিত তুলসি পাতা খেতে ভুলবেন না যেন! ৭. ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়: ৭. ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়: বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে তুলসি পাতায় উপস্থিত ক্যাম্পেইনে, ইগোয়েনাল এবং সিনেওল নামক উপাদান, ফুসফুস সংক্রান্ত রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি লাং-এর কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের চিকিৎসাতেও তুলসি পাতা দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে। ৮. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: ৮. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: সকাল সকাল কয়েকটি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের ভেতর জন্ম নেওয়া নানান ক্ষতিকর ব্য়াকটেরিয়া মারা যায়। ফলে মুখ থেকে আর বাজে গন্ধ বেরয় না। প্রসঙ্গত, দাঁতকে নানা জীবাণুর হাত থেকে বাঁচাতেও তুলসি পাতা দারুন কাজে দেয়। ৯. জ্বর ও ঠান্ডা লাগা কমায়: ৯. জ্বর ও ঠান্ডা লাগা কমায়: সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসা কথাটা বাস্তবিকই ঠিক যে জ্বর এবং ঠান্ডা লাগা কমাতে তুলসির কোনও বিকল্প নেই। আসলে তুলসি পাতা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও জোরাল করে দেয়। ফলে রোগ-ভোগ কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয় এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটি নানা ধরনের সংক্রমণ থেকেও আমাদের দূরে রাখে। ১০. ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: ১০. ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুগারের সবথেকে বড় যম। আর এই উপাদানটি বিপুল পরিমাণে রয়েছে তুলসি পাতায়। তাই তো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কয়েকটি তুলসি পাতা যদি চেবানো যায়, তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করে। তবে এক সঙ্গে অনেক চুলসি পাতা খেয়ে নিলে কিন্তু হঠাৎ করে শর্করারা মাত্রা কমে গিয়ে অন্য় বিপদ হতে পারে। তাই অল্প করে তুলসি পাতা খাওয়া উচিত। ১১. স্ট্রেস কমায়: ১১. স্ট্রেস কমায়: শরীরে অ্যান্টি-স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে তুলসি পাতা দারুন কাজে দেয়। ফলে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। আসলে তুলসি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি স্ট্রেস এজেন্ট রয়েছে, যা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর উপাদানের শক্তি কমতে থাকে, সেই সঙ্গে কমতে শুরু করে স্ট্রেসও। ১২. কিডনি স্টোন: ১২. কিডনি স্টোন: তুলসি পতায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা কমায়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন যদি মধু দিয়ে তৈরি চুলসি পাতার রস খাওয়া যায়, তাহলে কিডনি স্টোন গলে তো যায়ই, সেই সঙ্গে শরীর থেকে তা বেরিয়েও যায়। প্রসঙ্গত, তুলসি পাতায় যে ডিটক্সিফাইং এজেন্ট রয়েছে তা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে দেয় না। ফেল কিডিনতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। ১৩.হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: ১৩.হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: ইউজেনল নামে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে তুলসি পাতায়, যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টরলের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে। আর একথা তো সকলেরই জানা যে এই দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের স্বাস্থ্য়ও ভালো থাকে। আপনি কি কোনও রকমের হার্টের রোগে ভুগছেন? তাহলে রোজ সকালে খালি পেটে কয়েকটি তুলসি পাতা চিবিয়ে খান। দেখবেন অল্প দিনেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। ১৪. মাথা যন্ত্রণা কমায়: ১৪. মাথা যন্ত্রণা কমায়: একটা বড় পাত্রে জল নিয়ে তাতে কয়েকটা তুলসি পাতা ফেলে দিন। তরপর সেই জলটা ফুটিয়ে নিন। এবার মাথা টাওয়ালে ঢেকে সেই জলের ভাব নিলে দেখবেন মাথা যন্ত্রণা কমে যাবে। আসলে তুলসি পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে য নিমেষে মাথা যন্ত্রণা কমিয়ে ফেলতে কার্যকরি ভূমিকা নেয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ