বর্তমান বিশ্বে অনেক মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। শরীরের মধ্যে যখন ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে এবং শরীরে যদি ইনসুলিন উৎপন্ন তৈরীতে ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তার ফলে যে রোগের সৃষ্টি হয় তা হলো 'ডায়াবেটিস' বা 'বহুমূত্র রোগ'। প্রতিদিন মাস এবং প্রতি বছরে ডায়াবেটিস রোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ডায়াবেটিস রোগ একটি মারাত্মক রোগ। ডায়াবেটিস রোগ হলে বেঁচে থাকার জন্য সারা জীবন সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। ডায়াবেটিস রোগ বয়স্কদের সহ অনেক কম বয়সের ছেলে-মেয়েদের হচ্ছে। শরীরের ইন্সুলিন এর পরিমাণ কমে গেলে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি হলে ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেয়। ডায়বেটিস হলে ডাক্তারদের পরামর্শ খাবার কম খেতে তবে ফাস্ট ফুড খাওয়া যাবে না, মান নিয়ন্ত্রিত খাবার, যে খাবারে ফ্যাট কম আছে, লবনের পরিমাণ কম। চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোনভাবেই নয়। হারবাল চা যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। এতে ডায়াবেটিস রোগীর শরীরকে সহজে হাইড্রেট করতে সহায়তা করবে। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিসে রোগীদের জন্য গ্রিন টি, আদা চা, তুলসি চা পান করতে করা প্রয়োজন। ডায়াবেটিস রোগ শরীরের মধ্যে একবার প্রবেশ করলে এ রোগ সঠিকভাবে নিরাময় হয় না। তবে নিময় মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যান্ত জরুরী। ডায়াবেটিস রোগীদের পুষ্টিকর খাদ্যের তালিকা লক্ষ্য করতে পারেন।



ডায়াবেটিস রোগীর সবজি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার সবজি প্রতিদিন তালিকায় রাখা জরুরী। সবুজ শাক সবজি সর্ষে শাক, মুলা শাক, পালং শাক সহ বিভিন্ন ধরণের সবুজ শাক ইত্যাদি। সবুজ শাক খায়াতে রক্তে সুগার মাত্রা কমাতে বিশেষ উপকারি। রাত্রে রুটির সঙ্গে হালকা পরিমাণে সবজি খেতে পারেন।



গাজর
গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার, ভিটামিন কে ১, ভিটামিন এ ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এ ছাড়াও গাজরে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে এর পরিমাণ অনেক কম, শুধমাত্র ১৬। সেক্ষেত্রে গাজর খেলে রক্তে শর্করার কমে যায়। এই সবজি টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি অনেক কমিয়ে ফেলে।



ডিম
ডাক্তারগণ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের খাদ্য তালিকায় ডিম যোগ করেছেন। ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি ও এ। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।




দুধ
দুধ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রুগীদের অনেক উপকারি খাবার। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে। সেহেতু ডায়াবেটিস রোগীদের চিনি খাওয়া সম্পুর্ণরূপে নিষেধ। সেজন্য ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদে চিনি ছাড়া প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিৎ।




টক দই
টক দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিড। টাক দই ডায়াবেটিস রুগীদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা সঠিকভাবে কমাতে সহায়তা করে।



বাদাম
বাদাম এক প্রকারের অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার। চীনা বাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ উপযোগি। তাই প্রতিদিন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের খাবারের তালিকায় বাদাম রাখা প্রয়োজন।




কমলালেবু
ডাক্তারদের মতে, ভিটামিন সি’র অভাব জনিত কারণে ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা যায়। কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন টক জাতীয় লেবু সহ বিভিন্ন টক জাতীয় খাদ্যের তালিকায় রাখা প্রয়োজন।




বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের গুণে বাঁধাকপি তুলনা নেই। বাঁধাকপি পটাশিয়াম যুক্ত হওয়ার কারণে রক্ত প্রবাহকে সতেজ রাখে এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনেক সাহায্য করে।




ওটস
ওটস প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমায়। যে কোন ধরনের খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে উপকার। এছাড়াও ওটস কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য পুষ্টিকর খাবারের তালিকা ওটস রাখা প্রয়োজন।


ডায়াবেটিস রোগীদের পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা প্রয়োজন। ব্যায়াম শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।





ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণের এই প্রতিবেদন পড়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হবে আশা করা যায়। ধন্যবাদ।



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে