সেবরিক কেরাটোসিস কি?
সেবোরিহিক কেরোটোসিস হ'ল এক ধরণের ত্বকের রোগ, যা ত্বকের পৃষ্ঠের উপরে আঁচিলের মতো বৃদ্ধি পায়। এটি একটি সাধারণ, ক্যান্সার বিহীন ত্বকের বৃদ্ধি, যা সাধারণত বৃদ্ধ ব্যক্তিদের দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকারক নয় কিন্তু এটিকে দেখতে অপ্রিয় বা কুৎসিত লাগে। সেবরিক কেরাটোসিস সাধারণত বেদনাদায়ক নয় এবং বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে, যদি এটি বিরক্তবোধ করে তবে রোগীরা একটি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে পারেন যাতে তারা উপযুক্ত চিকিৎসা করতে পারেন।

সেবরিক কেরাটোসিসের প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গ গুলো কি কি?

  • এই ধরনের বৃদ্ধি মুখে, পিঠে, কাঁধে বা বুকে দেখা যেতে পারে। এটা সাধারণত মাথায় কম হয়।
  • পিণ্ডের পৃষ্ঠ দেখতে মোমের মতো, উঁচু হয় এবং এর বৃদ্ধি সাধারণত কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়।
  • আঁচিলের মতো রুক্ষ পৃষ্ঠ রয়েছে।
  • ওই বৃত্তাকার বা ডিম্বাকৃতির বৃদ্ধির রঙ হলদেটে বা গাঢ় বাদামী, কখনও কখনও কালোও হতে পারে।
  • সেবরিক কেরাটোসিসের বৃদ্ধি সাধারণত একটি "চ্যাপ্টা" চেহারার বৃদ্ধি হিসাবে বর্ণনা করা হয়।
  • এটি ব্যথা সৃষ্টি করে না তবে এতে চুলকানি হতে পারে, বিশেষ করে যখন তারা পোশাক বা অন্য কিছুর সংস্পর্শে আসে।
  • চেহারার উপর ভিত্তি করে, এগুলোকে বিভিন্ন অঙ্গসংস্থানসংক্রান্ত ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।


সেবরিক কেরাটোসিসের প্রধান কারণ গুলি কি কি?

  • এই বিরল অবস্থার কোন সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা নেই। তবে এই রোগে বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি প্রভাবিত হয়।
  • সেবরিক কেরাটোসিসের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে, তা ঝুঁকির একটি পরিচিত কারণ হয়।
  • অপর্যাপ্ত প্রমাণ থেকে বোঝা যায় যে ঘন ঘন সূর্যের আলো গায়ে লাগলে এই বৃদ্ধি প্রদর্শিত হতে পারে।
  • গায়ের রঙ। সাদা মানুষদের সেবরিক কেরোটোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • এই বৃদ্ধি সংক্রামক হয় না এবং তাই ছোঁয়াছুঁয়ির ফলে ছড়ায় না।


সেবরিক কেরাটোসিস কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
ডাক্তার ছোপগুলো দেখে অবস্থাটির নির্ণয় করতে পারেন। যদিও, মেলানোমা বা অন্য কোনও ম্যালিগন্যানসিকে বাদ দেওয়ার জন্য, টিস্যুর একটি বায়োপসি করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। সাধারণত, অন্যান্য ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না।

প্রচলিতভাবে, চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন হয় না। এটি খুব চুলকালে বা বেদনাদায়ক হয়ে থাকলে তা কেটে বাদ দিতে হতে পারে। কসমেটিক কারণের জন্য, সেবরিক কেরাটোসিসের অপসারণ করা হতে পারে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই বৃদ্ধির অপসারণ করার বিভিন্ন উপায় আছে।

  • এগুলো লেজারের সাহায্যে বা ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করে সরানো যেতে পারে।
  • ইলেক্ট্রোসার্জারি হলো আরেকটা পদ্ধতি যার সাহায্যে এই বৃদ্ধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে কেরাটোসিস মুছে ফেলার জন্য বিদ্যুৎপ্রবাহ ব্যবহার করা হয়।
  • আরেকটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি হলো কিউরেটেজ, যার মাধ্যমে ওই অংশটা কেটে বার করা হয়।

যদিও একই স্থানে পুনরাবৃত্তির বেশি সম্ভাবনা নেই তবে এটি সম্ভবত আপনার শরীরের অন্য কোনও অংশে আবার হতে পারে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে