হান্টিংটন ডিজিজ কি?
হান্টিংটন ডিজিজ হল একটি স্নায়বিক জেনেটিকভাবে বাবা-মা থেকে পাওয়া রোগ যা একটি একক ত্রুটিপূর্ণ জিন এইচটিটি দ্বারা সৃষ্ট যা নার্ভ কোষগুলির একটি প্রগতিশীল ভাঙ্গন সৃষ্টি করে। হান্টিংটন ডিজিজ রোগীর স্বাভাবিক ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় এবং এটি হাঁটাচলা, চিন্তাভাবনা এবং মানসিক ব্যাধির দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। প্রধানত, হান্টিংটনের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি প্রাপ্তবয়স্ককালে দেখা দেয়, যেমন ৩০ বা ৫০ বছর বয়সে।
হান্টিংটন ডিজিজের প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো কি কি?
হান্টিংটন ডিজিজের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির মধ্যে ৩টি মূল ক্ষেত্র রয়েছে:
হাঁটাচলার রোগ।
- অনৈচ্ছিক হেঁচকা।
- পেশীতে সমস্যা।
- চলাফেরা, অঙ্গবিন্যাস এবং ভারসাম্যে সমস্যা।
- হোঁচট খাওয়া।
জ্ঞানীয় (চিন্তাভাবনার) ব্যাধি।
- সঠিকভাবে চিন্তা করার এবং কোন কাজে মনোযোগ দেওয়ার অসুবিধা।
- একজনের নিজের আচরণ এবং ক্ষমতার সচেতনতার অভাব।
- নতুন তথ্যকে মেনে নিতে অসুবিধা হওয়া।
মানসিক ব্যাধি।
- বিরক্তি ভাব।
- ঘুমোতে সমস্যা।
- সমাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া।
- ঘন ঘন মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তা করা।
হান্টিংটন ডিজিজের প্রধান কারণগুলি কি কি?
হান্টিংটন ডিজিজ হল একটি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত মানসিক ব্যধি। পিতা বা মাতা কারোর কাছ থেকে পাওয়া একটি একক উত্তরাধিকারী ত্রুটিপূর্ণ জিন এইচটিটি থেকে শিশুটির এই ব্যাধি সৃষ্টি হয়।
রোগীদের সাধারণ বয়সসীমাঃ
যেকোন বয়সে হান্টিংটন এর রোগ হতে পারে।
যে লিঙ্গের মানুষদের মধ্যে এ রোগ বেশী হয়ঃ
যেকোন লিঙ্গের মানুষের হান্টিংটন এর রোগ হতে পারে
হান্টিংটন ডিজিজ কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
রোগশয্যা সম্পর্কিত লক্ষণ এবং উপসর্গের মাধ্যমে হান্টিংটন ডিজিজের নির্ণয় করা হয়। রোগীর একটি যথাযথ পারিবারিক ইতিহাস রোগ নির্ণয়ের নিশ্চিতকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সবচেয়ে সাম্প্রতিক নির্ণয়ের পদ্ধতিতে ডিএনএ-র নির্ধারণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা হান্টিংটন ডিজিজ নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
এইচডি-র জন্য চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে অ-থেরাপিউটিক এবং থেরাপিউটিক পদ্ধতি এবং অস্ত্রোপচার।
- অতিরিক্ত সক্রিয়তা কমানোর জন্য ওলানজাপাইন এবং পিমোজাইড ব্যবহার করা হয়।
- বিষণ্নতা কমাতে সিটালোপ্রাম এবং ফ্লাক্সিটিনের মত ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয়।
- জিন থেরাপি হল সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল চিকিৎসা এবং এই কৌশলটি এটির চিকিৎসার পরিবর্তে রোগটি এড়াতে সম্পূর্ণরূপে উন্নীত হয়।