আজান হওয়ার পর মসজিদে নামাজের জামাআতে না আসা ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-‘আমি ইচ্ছা পোষণ করি যে, নামাজ শুরু করার আদেশ দেই, ফলে মুসল্লিগণ নামাজে দণ্ডায়মান হয়। আর তখন আমি একজনকে হুকুম দেই এবং সে এ নামাজের ইমামতির দায়িত্ব পালন করে। আর আমি সেই সব লোকদের কাছে যাই, যারা নামাজের জন্য (মসজিদে) উপস্থিত হয় নাই এবং (জামাআতে উপস্থিত না হওয়ার কারণে) তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেই।’ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওা সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শুনতে পেল এবং ন্যায়সঙ্গত ওজর ছাড়া মসজিদে আসল না, তার নামাজ সিদ্ধ হবে না।’ (ইবনে মাজাহ) হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি আগামীকাল আল্লাহর সঙ্গে মুসলিমরুপে সাক্ষাৎ করতে আনন্দ অনুভব করার ইচ্ছা পোষণ করে; তার উচিত যে-‘যখনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদ্দেশ্যে আজান দেয়া হয়, তখনই উহাতে (নামাজে) সাড়া দিয়ে (প্রত্যেক ওয়াক্তের) নামাজগুলোর হেফাজত করা জরুরি।’ (মুসলিম) পরিশেষে…মসজিদে গিয়ে জামাআতে নামাজ আদায় প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ। প্রিয়নবির নির্দেশ সুন্নাত তরিকায় পালন করা আবশ্যক কর্তব্য। যে ব্যক্তি এ সুন্নাত পালন থেকে বিরত থাকল সে পথভ্রষ্ট হলো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ