কোটা বলতে হচ্ছে কোনো নিয়োগের নির্দিষ্ট পরিমাণ বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্যধারীদের জন্য বরাদ্দ থাকা। মনে করুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০% হলে উক্ত নিয়োগে কমপক্ষে ৩০% মানুষ মুক্তিযোদ্ধা কোটার হতে নিতে হবে। এই বিষয়টাকেই বলে কোটা। কোটার প্রয়োজনীয়তা পূর্বে ছিল। তখন মানুষ ততটা শিক্ষিত ছিল না, প্রগতিশীল ছিল না। মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী এবং ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীদের জন্য কোটা থাকার কারণে সমতা বজায় থাকত। কিন্তু বর্তমানের যুগে কোটার তেমন প্রয়োজনীয়তা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান পর্যন্ত বিষয়টা ঠিক থাকলেও হয়। কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কারণে তাদের স্বীকৃতি স্বরূপ সন্তানদের সামান্য সম্মান। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনী তাদের বাচ্চা এরকম কোটা থাকা নিরর্থক।অপর দিকে প্রতিবন্ধী কোটা কিছু অংশ বরাদ্দ থাকা যায়। যেহেতু তারা অসহায়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্যও কোটা বেশি প্রয়োজন হয় না। কারণ তারাও বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বেশ প্রগতিশীল হয়ে উঠেছে। এভাবে এই কোটা সেই কোটা করে করে কোটা এত বেশি হয়ে যায় যে শেষে মেধার আর কোনো দাম থাকে না। একারণে বর্তমানে কোটার পরিমাণ আরো কমিয়ে আনা হয়েছে। যদিও এ সম্পর্ক আমি নিশ্চিত নই যে কমানো হয়েছে কি না। কিন্তু এত বেশি অংশ কোটা থাকা মানেই মেধার অবমূল্যায়ন।