আমরা শুনতে পাই যে চিংড়ি মাছ খাওয়া নাকি মাকরুহ্। এখন আমার প্রশ্ন হল যে সেটা খাওয়া কি জায়েজ? আমাকে কুরআন-হাদিস দিয়ে প্রমাণ দিন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কুঁচে, চিংড়ি, কচ্ছপ ও তার ডিম রুচি হ’লে খাওয়া যায়। কারণ এগুলো পানিতে বসবাস করা প্রাণী। আর পানির শিকার (যা হিংস্র নয়) হালাল। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য সাগরের শিকার হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৯৬)। তবে ব্যাঙ খাওয়া জায়েয নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ব্যাঙ মারতে নিষেধ করেছেন। আব্দুর রহমান ইবনে ওছমান (রাঃ) বলেন, একজন ডাক্তার ব্যাঙকে ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করার জন্য রাসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল। রাসূল (সাঃ) তাকে ব্যাঙ মারতে নিষেধ করলেন (আবুদাঊদ হা/৩৮৭১)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

¤¤ চিংড়ি মাছ খাওয়ার বেলায় ফোকাহায়ে কেরামের মাঝে বৈধ ও মাকরূহ হওয়ার ব্যাপারে কিছু মতানৈক্য থাকলেও অধিকাংশ হানাফী মাযহাবের মুহাক্কিক ফোকাহায়ে এজামের মতে চিংড়ি মাছ শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে মাছের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত । বিধায়, তা খাওয়া অবৈধ বা মাকরূহ নয় এবং এ মতই বিশুদ্ধতর ।

¤¤ আমাদের হানাফী মাযহাবের মতে মাছ ছাড়া কোন সামুদ্রিক বা জলজ প্রাণী খাওয়া হালাল নয় । তাই আমাদের হানাফী মাযহাব মতে কাঁকড়া খাওয়া নাজায়েয বা হারাম । কারণ সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে মাছ ছাড়া অন্যান্য প্রাণী নাপাক । তাই অন্যান্য প্রাণী নাপাক হওয়ার কারণে খাওয়াও হারাম ।

তথ্য সূত্র :: ( হেদায়া, কুদূরী ও হায়াতুল হায়ওয়ান ২য় খন্ড )

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ