রিকেট রোগ কি?
রিকেট হলো একটি রোগ যা ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে হয়। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর ভীষণ প্রভাব ফেলে, পাশাপাশি শিশুদের এবং বয়ঃসন্ধিদের মধ্যে বৃদ্ধি এবং বিকাশে, এমন কি বয়সকালেও মারাত্মক প্রমাণিত হয়েছে। কারণ এটি হাড়কে নরম, দুর্বল করে দেয় এবং হাড়ের বৃদ্ধি খুব বেদনাদায়ক হয় এবং এর ফলে অঙ্গবিকৃতিও হয়। এই অবস্থাকে শিশুদের মধ্যে হলে রিকেট এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হলে অষ্টিওমেলাসিয়া বলা হয়।
রিকেট রোগের লক্ষণ:
রিকেট রোগের লক্ষণগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল:
রিকেট রোগের জটিল উপসর্গ:
রিকেট রোগের প্রধান কারণগুলি কি কি?
রিকেট রোগের খুব সাধারণ কারণ হলো ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাব। নিচে উল্লেখ করা এই ঘাটতিগুলি সবচেয়ে সাধারণ কারণ:
রিকেট রোগ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এর মাত্রা, ক্ষারীয় ফসফাটেজ, ফসফরাস এবং প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়। যেখানে হাড়ের মধ্যের পরিবর্তন দেখা যায়, তার জন্য এক্স-রে পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাড়ের বায়োপসি প্রয়োজন হতে পারে এবং রিকেট বা অস্টিওম্যালাসিয়া নির্ণয়ের জন্য এটি হল সবচেয়ে সঠিক পদ্ধতি।
রিকেট রোগ এর চিকিৎসা:
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয়:
রিকেট রোগগ্রস্ত শিশুদের প্রায়ই হাড় ভেঙে যায়। যেটা অনেক সময় শিশু অপব্যবহারে অভিযুক্ত হয়। এই অবস্থাটা দুর্বল পুষ্টি এবং ভিটামন ডি সম্পূরক না-থাকা, শীতে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় একমাত্র কালো চামড়াযুক্ত মায়েদের শিশুপালনে সাধারণভাবে দেখা যায়। একই পরিমাণ সূর্যালোকে হালকা চামড়ার মানুষদের থেকে অপেক্ষাকৃত কালো চামড়ার মানুষদের শরীরে কম পরিমাণ ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
রিকেট রোগে ভিটামিনের ভূমিকা:
ভিটামিন মানব শরীরে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। এক ভিটামিন অন্য ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে পারে না। ভিটামিন-ডি মানব শরীরে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের প্রায় সকলেরই অজানা যে সূর্যালোক হচ্ছে ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস। মায়েরা ঠিকমতো শিশুদের গায়ে সূর্যালোক পড়তে দেন না। কিন্তু এই বিষয়টি মোটেও ঠিক নয়। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় শিশুদের গায়ে সূর্যালোকের তাপ লাগানো উচিত। যেমন শীতপ্রধান দেশে সারা বছরই সূর্যালোক তেমনভাবে পৌঁছায় না, সেই কারণে শীতপ্রধান দেশে শিশুদের সূর্যালোকের পরিবর্তে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়। মাছের তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। শিশুদেরকে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করার জন্য কড লিভার অয়েল খাওয়ানো হয়। ভিটামিন ডি পাওয়া যায় দুধ, মাখন, ডিম ও যকৃতে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
কয়েকটি সহজ ব্যবস্থা রিকেট রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পরে। আপনি অবশ্যই: