বিতর নামাজ ওয়াজিব। এটি পালন করা সর্বাধিক উত্তম। এছাড়াও, রাসূল (সঃ) লোকদেরকে বিতর নামাজ আদায় করার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। "হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন - রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, হে কুরআনের ধারকগণ! তোমরা বিতর সলাত আদায় করো। কেননা আল্লাহ বেজোড়, তাই তিনি বেজোড়কে ভালবাসেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪১৬)।
তাছাড়াও, বিতর নামাজের ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল (সঃ) আরও বলেছেন, "বিতর তোমাদের রাতের শেষ সলাতে পরিণত করবে।" (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪৩৮)।
রাসূল (সঃ) আরও বলেছেন, "বিতরের সলাত প্রত্যেক মুসলিমের আদায় করা কর্তব্য।" (আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১২৬৫)। তাই, উক্ত হাদীস সমূহের ভাষ্য অনুযায়ী বলা যায়, বিতর নামাজ ওয়াজিব। রাসূল (সঃ) এটি আদায় করতে সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু, রাসূল (সঃ) এটির ক্ষেত্রে নির্দেশ দিয়েছেন, তাই এটি আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। নতুবা, রাসূলের সুন্নাহ না মানলে গুনাহ হতে পারে।
হানাফী মাযহাবের গ্রহণযোগ্য মতানুসারে বিতর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।তাই বিতর নামাজ আদায় করা না হলে গুনাহ হবে। এবিষয়ে তাদের দলীল হলো; মুসনাদে আহমাদের একটি হাদিস যেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর নামাজ ইশা ও ফজরের মাঝে যেকোন সময় পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন; যেটি ওয়াজিব হওয়াকে বুঝায়।হাদিসটি লক্ষ্য করি,مسند أحمد
أن عمرو بن العاص خطب الناس يوم الجمعة، فقال : إن أبا بصرة حدثني أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " إن الله زادكم صلاة، وهي الوتر، فصلوها فيما بين صلاة العشاء إلى صلاة الفجر ". قال أبو تميم : فأخذ بيدي أبو ذر، فسار في المسجد إلى أبي بصرة، فقال له : أنت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما قال عمرو ؟ قال أبو بصرة : أنا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم.
حكم الحديث: إسناده صحيح، رجاله ثقات.