শুনেছি মোবাইলের ব্যাটারি দ্বারা লাইট তৈরি সমাজে সব রেজিস্টার ব্যবহার করা হয় সেগুলো বোঝার জন্য নাকি নানা রকম কোডের প্রয়োজন এসব ব্যবহারের সময় নানারকম কোড জানা লাগে এবং এর কালার দেখে অনেক কিছু চেনা জানা যায় আমি সেগুলোই জানতে চাই কিভাবে সবগুলি বিস্তারিত সম্পর্কে জানতে পারব? কোন রেজিস্টার এর দাম কত টাকা এবং সেটা কি কাজে লাগে কখন ব্যবহার করলে সেটি উপযুক্ত হবে সে সব কিছু জানতে চাই?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার সকল প্রশ্নোত্তর উত্তর আমার কাছে আছে। কিন্তু সবগুলো একসঙ্গে বল্লে কিছুই বুঝবেন না। এগুলো বুঝতে হলে এর আগের বুঝতে হবে কারেন্ট কি, ভোল্টেজ কি, রেজিষ্টান্স কি, ওহোম কি ইত্যাদি। যাইহোক আপাততঃ রেজিষ্টরের কালারের বিষয়টা বলি বাকিগুলো অন্যদিন বলব। কাল, বাদামী, লাল, কমলা, হলুদ, নীল, বেগুনী ,ধুসর, সাদা, সোনালী, রোপালী। এই কালার গুলো ব্যাবহার হয়। আমি কেলার গুলো সাজিয়ে লিখেছি। এবার ০ থেকে ৯ পর্যযন্ত মান বসিয়ে নিলেই হবে। যেমন: কাল = ০, বাদামী = ১, লাল = ২ ....................­..... সাদা = ৯। বাকি থাকলো সোনালী = ০.১, রুপালী = ০.০১। এবার বলি কিভাবে মান নির্ণয় করবেন। একই উপাদানের তৈরি ৩ রকম রেজিষ্টর আছে কিছু রয়েছে ৪ কালার, কিছু আছে ৫ ও কিছু রয়েছে ৬ কালার। আমরা আজ জানবো ৪ ও ৫ কালার রেজিষ্টরের মান বেরকরা। ৬ কালারের এটা কম ব্যাবহার হয় এবং একটু জটিল তাই এটা পরে জানবো। এবার পদ্ধতি টি জানবো। ধরুন ৪ কালার একটি রেজিষ্ট্রি রয়েছে আপনার হাতে যার ১ম কালার লাল ২য় হলুদ ৩য় বাদামি ৪র্থ সোনালী। (লালের মান ২, হলুদ ৩ আর বাদামী ১) প্রথম ২ টি মান পাশাপাশি বসাবো তারপর ×১ দেবো তারপর ৩ নং কালারের মান অনুযায়ী ০ বসাবো।  ২৩×১০ = ২৩০ ওহম। এটাই এর মান। (৩ য় কালার যদি লাল হতো তবে ০০০ বসতো, যদি সবুজ হতো তবে ০০০০০ বসতো।) বাকি রইলো সোনালী। (এই রেজিষ্টরে ৪র্থ কালার হচ্ছে টলারেন্স। সোনালী হলে ৫% রুপালী হলে ১০%) যদি ৫ কালার হয় তাহলে প্রথম ৩ টি মান পাশাপাশি বসিয়ে আগের নিয়মে হিসেব করবেন। যেমন লাল, লাল, বাদামী, হলুদ। তাহলে হচ্ছে এমন ২২১×১০০০ = ২২১০০০ ওহোম। এবার দেখুন যদি ১০০০ এর উপরে কোনো মান পাওয়া যায় তবে তাকে ১০০০ দ্বারা ভাগ করতে হবে। তাহলে ২২১০০০÷১০০০ = ২২১k ohm (কিলো ওহোম) আজ এপর্যন্তই থাক। না বুঝলে মন্তব্য করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ