ক্লাসে সব সময় একজন থাকে যে ক্লাসে পড়া পারে এবং পরিক্ষা ভালো করে।তারা কিভাবে পড়া লেখা করে। বিঃদ্রঃযারা ক্লাসে টপ করেন তারাই উত্তরটা দিবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বিষয়টা আসলে একদিনে অর্জিত হয় না। তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত অধ্যবসায়। এখন নিয়মিত অধ্যবসায় হলেই যে হয়ে যাবে ব্যাপারটা এমন না। তার জন্য প্রয়োজন যৌক্তিক অধ্যবসায়। এই যৌক্তিক অধ্যবসায়ের উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়ম বলি, সেটি খেয়াল করুন এবং মেনে চলুন, ইন শা আল্লাহ সফল হবেন বলে আশা করি।

১. কোন বিষয় মুখস্ত করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলুন, কেননা তা আপনার স্মৃতি শক্তির উপর প্রচন্ড চাপ তৈরী করে এবং পড়াশুনা থেকে আগ্রহ হারিয়ে যায়। শ্রেণি শিক্ষক যে লেকচার প্রদান করেন তা মনযোগ দিয়ে শুনুন ও খাতায় নোট করুন। আর প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন পড়ুন। কোন অবস্থাতেই ফেলে রাখবেন না। মনে রাখবেন আজকে ফেলে রাখলেন তো আগামি কাল আপনাকে ২ দিনের পড়া পড়তে হবে। 
২. যে কোন বিষয় (সেটা হতে পারে বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধ্ররম, বাংলা, ইংরেজি অর্থাৎ যে কোন বিষয়) পড়া শুরু করার পুর্বে সে বিষয়ের উপর যে প্রশ্নগুলো থাকে প্রথমে সে প্রশ্নগুলো পড়ুন তারপর সে বিষয়টি পড়া শুরু করুন এবং সেই সাথে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন এবং সাথে সাথে খাতায় নোট করে ফেলুন। সেই সাথে নোটটি বার কয়েক পড়ুন। একদিন দুইদিন নয়, প্রায় সময়ই তা পুনরায় পুনরায় পড়ার চেষ্টা করুন।
৩. ইংরেজিতে ভাল করতে চাইলে ভোকাবুলারি শক্তিশালি করুন। তার জন্য ভোকাবুলারি মুখস্ত করতে যাবেন না। নিয়মিত বা প্রতিদিন ২০-২৫ টা করে পড়ুন। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে আপনার পাঠকৃত শব্দ গুলোর অধিকাংশই আপনার মনে আছে কেবল কয়েকটি মনে নেই। সেগুলো চিহ্নিত করুন ও বারকয়েক কিংবা টানা কয়েকদিন রিভাইস দিন। সাধারণ জ্ঞান পাঠ করার সময়ও একই পদ্ধতি অনুসরন করুন। ইংরেজি ছোট ছোট গল্পের বই যেমন বাচ্চাদের জন্য কমিকস টাইপের বই পড়ে ইংরেজি গল্প পাঠের অভ্যাস তৈরী করুন। 
৪. স্বল্প সময়ের জন্য হলেও (কমপক্ষে দৈনিক ৩০ মিনিট) দৈনিক খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস করুন। প্রতি মাসে কারেন্ট ওয়ার্ল্ড বা এফেয়ার্স টাইপের বই পড়ুন।
৫. পাঠ্য বইয়ের বাহিরের বই পড়ুন (এটা হতে পারে আপনার ধর্মিয় কোন বই, হতে পারে সায়েন্স ফিকশন, হতে পারে তিন গোয়েন্দা বা মাসুদ রানা, অনুবাদ, হতে পারে বিভিন্ন লেখকের ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক প্রভৃতি। তবে এক্ষেত্রে নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, মানিক বন্ধোপাধ্যায় অর্থাৎ পুরাতন মৌলিক লেখকদের প্রাধান্য দিন।
৬. খবরের কাগজের সম্পাদকিয়, মতামত, আন্ত্ররজাতিক ও অর্থনীতির খবর গুলো একটু বেশি মনযোগ দিয়ে পড়ুন। খেলাধুলার পাতায় সময় কম ব্যয় করুন।
৭. খেলাধুলার জন্যও প্রতিদিন সময় বরাদ্দ রাখুন। মাঝেমাঝে নাটক, সিনেমা, আত্মিয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধ্ববদের জন্যও সময় বরাদ্দ রাখুন।
এভাবে আপনার দৈনন্দিন জীবন পরিচালিত করুন। দেখুন মেধা নয় অধ্যবসায় দিয়েই আপনি মেধাবি হয়ে উঠবেন। আর আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন আপনার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চটুকু পালন করার চেষ্টা করুন।
ধন্যবাদ


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ