শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sumya Akter

Call

কনস্টবল পদে নিয়োগের জন্য শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষার সময় অনেকটা কাছাকাছি। শারীরিক পরীক্ষাতে উত্তীর্ণরাই কেবল লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ পরীক্ষায় পাশ করতে হলে প্রয়োজন নিয়মিত অধ্যবসায়।

পুলিশ কনস্টবলে পরীক্ষা পদ্ধতি: সাধারণত কয়েকটি ধাপে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে।তার মধ্যে থাকছে শারীরিক পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা।

শারীরিক পরীক্ষা: শারীরিক পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে দৌড়, রোপিং ও জাম্পিং ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

পুলিশ কনস্টবল লিখিত পরীক্ষা প্রশ্ন

লিখিত পরীক্ষাঃ শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ০১.৩০ মিনিটের ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে (নূন্যতম ৪৫% মার্ক প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে)।

মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষাঃ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

পুলিশ কনস্টবলে পরীক্ষার প্রস্তুতি: লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে ডিএমপি নিউজের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ।

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: লিখিত পরীক্ষার জন্য বীজগণিত, পাটিগণিত, বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ, ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ, বাংলা গ্রামার, বাংলা রচনা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিন।বিশেষ করে ইংরেজী ও গণিতের ওপর জোর দিন।

মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতিঃ মৌখিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণ জ্ঞানের ওপর গুরুত্ব দিন।সাধারণ জ্ঞানের জন্য  বাজার থেকে ভালো মানের যেকোন সাধারণ জ্ঞানের বই সংগ্রহ করুন ও পড়তে শুরু করুন। নিজ জেলা ও বিভাগ সম্পর্কে ধারণা রাখুন।পাশাপাশি চোখ রাখুন সম-সাময়িক বিষয়াবলীর ওপর। মৌখিক পরীক্ষা দিতে পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি পোষাকে আসুন।

লিখিত মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

১। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূল কপি।

২। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটিকর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূল কপি।

৩। প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি (যদি না থাকে মাতা/পিতার পরিচয় পত্রের মূল  কপি)।

৪। সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গীন ছবি।

৫। পরীক্ষার ফি ১০০/-(একশত) টাকা। ১-২২১১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমাপূর্বক চালানের কপি আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।

৬। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতা/পিতামহ/ মাতামহের নামে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের মূল কপি যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও প্রতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।

৭। পুলিশ পোষ্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতার নাম, পদবী, বিপি নম্বরসহ কর্মরত ইউনিটের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি।

৮। আনসার ও ভিডিপি কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪২ দিন মেয়াদী প্রশিক্ষণের মূল সনদপত্র আনতে হবে।

প্রার্থীর বয়স সাধারণ/অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর । মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর।

আপনার একটি সুন্দর ভবিষৎ গড়তে একটু অধ্যবসায়তো করতেই হবে। তাই আসন্ন পরীক্ষার আগে, আজ থেকে শুরু করুন আপনার একাগ্রচিত্তে পড়াশুনা।এই কটা দিন নিয়মমতো পড়াশুনা করলে অবশ্যই সুফল পাওয়া সম্ভব।সবার জন্য শুভ কামনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ