আমার বয়স ১৮ কিন্তু আমার মুখে একটুও দড়ি নেই আমি দাড়ি রাখতে চাই এখন উপাই কি? আমার দাড়ি রাখার খুব শখ আমি শুনেছি জিনগত কারনে আর হরমনের কারনে দাড়ি হয় । এখন বিষয় হচ্ছে আমার বাপ দাদার মুখেও কিন্তু তেমন দাড়ি নেই । তাহলে আমার কি দাড়ি হবে । প্লিজ বিস্তারিত জানাবেন ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সাধারণত বয়সন্ধিকালের বা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ পুরুষলোকের দাড়ি গজায় | একজন পুরুষের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বয়স সাধারণত ১৩ থেকে ১৪ বছর অর্থাৎ এই বয়সেই পুরুষের শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে, যার একটি হচ্ছে দাড়ি-গোঁফ ওঠা | এক্ষেত্রে পুরুষ হরমোন টেস্টস্টেরনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ | টেস্টোস্টেরন পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান স্টেরয়েড হরমোন যা এন্ড্রোজেন গ্রুপের| মানুষ সহ সকল স্তন্যপায়ী,পাখি সরীসৃপ প্রাণীর শুক্রাশয়ে এটি উৎপন্ন হয়|স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাশয় এবং নারীর ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয়,যদিও স্বল্প পরিমাণ অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়। এটি প্রধান পুরুষ হরমোন যা শুক্রাশয়ের লিডিগ কোষ (Leydig Cell) থেকে উৎপন্ন হয়। পুরুষের জন্য টেস্টোস্টেরন প্রজনন অঙ্গ যেমন শুক্রাশয় (Testis) বর্ধনের পাশাপাশি গৌণ বৈশিষ্ট্য যেমন মাংসপেশি,শরীরের লোম বৃদ্ধি করে। পুরুষদের মাঝে টেস্টোস্টেরন বিপাক হার নারীদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি। পুরুষদের বয়োঃসন্ধিকালে মুখমন্ডলের লোমকূপে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনের উদ্দীপনার কারণে দাড়ি গজায় | ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন টেস্টোস্টেরন হতে নিঃসৃত হয়, যার মাত্রা বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন হয়। ফলে গ্রীষ্মকালে দাড়ি দ্রুত বাড়ে | এই টেস্টোস্টেরন হরমোন সমস্যার কারণে আবার অনেকের প্রকৃত বয়সের পরে দাড়ি গোঁফ গজায় | বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পারিবারিক বা জন্মগত কারণেও দাড়ি-গোঁফ কারো কারো কম বা দেরিতে ওঠে | তবে তা যদি অনেক বেশি দেরি হয়ে যায় তাহলে এটিকে শারীরিক সমস্যা বলে অভিহিত করা যায়। এমতাবস্থায় অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। তথ্য :-প্রিয় উত্তর

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
TarikAziz

Call

হুমম, বেশ অনেকটাই জিন এবং হরমোনের

উপর নির্ভর করে, তকে আপনাকে

কয়েকটি উপায় দেখিয়ে দিচ্ছি, আপনার

কাজে আসতে  পারে।  


১. আমলকীর তেল দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট আমলকীর তেল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

২. দিনে দুবার মৃদু ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুতে হবে। মুখ ধোয়ার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। পরিষ্কার ত্বক দাড়ির বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দেবে। 

৩. ইউক্যালিপটাস দাড়ি বড় করতে সাহায্য করে। ইউক্যালিপটাস সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন।

৪. দাড়ি ভালোভাবে এবং দ্রুত গজানোর জন্য কিন্তু ভালোভাবে ঘুম হওয়া জরুরি। এটি ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

৫. কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

৬. প্রতিদিন ২ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এটি চুল গজাতে কাজে দেবে। তবে যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।  

৭. মানসিক চাপ কম থাকলে দাড়ি দ্রুত গজায়। তাই ধ্যান করে বা যোগব্যায়াম করে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।  

৮. প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। মাছ, মাংস, ডিম বাদাম ইত্যাদি খান। এতে দাড়ি দ্রুত গজাবে।

৯. মুখের ম্যাসাজ রক্তের চলাচলকে বাড়ায়। এটি চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই প্রায়ই মুখে ম্যাসাজ করুন। এ ছাড়া ছয় মাস পরপর দাড়ি ট্রিমিং করুন।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ