হিন্দু ধর্মে গরুকে 'পবিত্র মাতা' বলা হয়ে থাকে। গরু নানাভাবে মানুষের উপকার করে বলে হিন্দু ধর্মে গো- হত্যা নিষিদ্ধ। তবে আজব হলেও সত্য- গরুর চামড়া দিয়ে যে জুতো তৈরী করে তা ব্যবহার করা কিন্তু হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ নয় ! গরু মানুষের অনেক উপকারে আসে এটা অস্বীকার করার কিছুই নেই। কিন্তু গরুই একমাত্র প্রাণী নয় যা মানুষের উপকারে আসে। প্রশ্ন ওঠে- গরু কি গাছের চেয়েও বেশি উপকারী? গাছ মানুষের কি কি উপকারে আসে তা বর্ণনা করার প্রয়োজন পড়ে না। গরু না থাকলেও মানুষের জীবন ধারনে কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু গাছ না থাকলে ১ মিনিট বেচে থাকা দুরুহ। সেই গাছ কাটতে হিন্দুদের কোন আপত্তি নেই। অথচ শুধু গরুর বেলাতেই তাদের যত আপত্তি। আসলে এই ধর্মটির যত নিয়ম কানুন, রীতিনীতি আছে তার A-Z সবই সংস্কার থেকে সৃষ্ট। হিন্দু ধর্ম একটি হুজুগে ধর্ম ছাড়া আর কিছুই নয়। কুসংস্কার ও গোড়ামী হল এই ধর্মের মূলভিত্তি। জেনে রাখা ভাল- বৌদ্ধ যুগের আগ পর্যন্ত হিন্দুরা প্রচুর গোমাংস ভক্ষণ করতো। ব্যাসঋষী স্বয়ং বলেছেন, 'রন্তিদেবীর যজ্ঞে একদিন পাচক ব্রাক্ষ্মণগণ চিৎকার করে ভোজনকারীদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন,মহাশয়গণ! অদ্য অধিক মাংস ভক্ষণ করবেন না, কারণ অদ্য অতি অল্পই গো- হত্যা করা হয়েছে; কেবলমাত্র ২১ হাজার গোহত্যা করা হয়েছে। (সাহিত্য সংহিতা-৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৪৭৬) বৌদ্ধযুগের পূর্ব পর্যন্ত হিন্দুরা যে প্রচুর গরু গোশত খেতেন ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রণীত Beef in Ancient India গ্রন্থে, স্বামী ভুমানন্দ প্রণীত 'সোহংগীত', 'সোহং সংহিতা, 'সোহং স্বামী' গ্রন্থগুলোতে, আচার্য্য প্রফুলস্ন চন্দ্র রায়ের 'জাতি গঠনে বাধা' গ্রন্থে উলেস্নখ আছে। এসব গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বৌদ্ধযুগের আগ পর্যনত্দ গো-হত্যা, গো-ভক্ষণ মোটেই নিষিদ্ধ ছিল না। মধু ও গো-মাংস না খাওয়ালে তখন অতিথি আপ্যায়নই অপূর্ন থেকে যেতো। এখন প্রশ্ন হলো-ধর্মীয় গ্রন্থে গো- মাংস ভক্ষণের প্রমাণাদি থাকার পরও হিন্দুরা গো-মাংস ভক্ষণ করে না কেন? কেবল মুসলমানরা গরুর গোশত খায় বলে? না। মূল কারন আমি আগেই বলেছি- কুসংস্কার। হিন্দু ধর্ম পুরোটাই একটা কুসংস্কার।
হিন্দুরা কেন গো-মাংস ভক্ষণ করে না এই বিষয় নিয়ে অনেক দিনের দি:মত হয়ে আসছে। হিন্দুধর্মে গো হত্যা নিষিদ্ধ নয়, পূর্বে হিন্দুরা গো মাংস ভক্ষণ করত এসব কথা গুলি বলে হিন্দুদের বিভ্রান্ত করতে ব্যস্ত ধর্মান্ধরা । চলুন প্রথমেই দেখা যাক আমাদের আদি ধর্মগ্রন্থ বেদে গো-হত্যা ও ভক্ষণের ব্যাপারে কি বলে, ১. Ghrtam duhaanaamaditimjanaayaagne maa himsiheeh (Yajurveda 13.49) Do not kill cows and bulls who always deserve to be protected. ২. Aare gohaa nrhaa vadho vo astu (Rigveda 7.56.) ঋগবেদে গোহত্যাকে মানুষ হত্যার সমকক্ষ বলা হয়েছে ও এর সাথে জড়িতদের শাস্তি দিতে বলা হয়েছে । ৩. Sooyavasaad bhagavatee hi bhooyaa atho vayam bhagvantah syaama Addhi trnamaghnye vishwadaaneem piba shuddhamudakamaachar antee (Rigveda 1.164.40 or Atharv 7.73.11 or Atharv 9.10.) The Aghnya cows – which are not to be killed under any circumstances– may keep themselves healthy by use of pure water and green grass, so that we may be endowed with virtues, knowledge and wealth. বেদে আঘ্ন্যা . অহি , ও অদিতি হচ্ছে গরুর সমপদ । আঘ্ন্যা মানে যাকে হত্যা করা উচিত নয় । অহি মানে যার গলা কাটা / জবাই করা উচিত নয় । অদিতি মানে যাকে টুকরো টুকরো করা উচিত নয় । (Source: Yaska the commentator on Nighantu) এখানে স্পষ্ট বলা আছে, গো-হত্যা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বলবে, হত্যা করতে নিষেধ করেছে, খেতে তো নিষেধ করে না !!!!! যেখানে হত্যা করতেই নিষেধ করা হয়েছে সেখানে ভক্ষণ করার প্রশ্নই ওঠে না । এছাড়া আমরা জানি, শ্রীমদ্ভগবদগীতায় কেবল গরু নয় আমিষ খাবার গ্রহণই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যারা আমিষ খাবার গ্রহণ করে তাদের পিশাচের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । আমরা জানি, আমিষ খাবার শরীরের জন্য যেটুকু উপকারী তার চেয়ে বহুগুণ ক্ষতিকর । এছাড়া নিরামিষ খাবার আমিষের চাহিদা পূরণে সক্ষম । বর্তমানে শুধু হিন্দু নয় অনেক বিধর্মীও কেবল নিরামিশ খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। (সংগৃহীত - ইন্টারনেট)
@হিন্দু ধর্ম তার অনুসারিদের আমিষ(গরুর মাংস) খাওয়ার অনুমতি দেয়!@ মনুস্মৃতির ৫ম অধ্যায় ৩০ অনুচ্ছেদে আছে-যেটা তোমাকে খেতে বলা হয়েছে,সেটা খেলে কোনো রকম পাপ হবে না! কারণ ঈশ্বরের নিয়মে কেউ খাদ্য খাবে আর কেউ খাদ্য হবে! মনুস্মৃতির ৫ম অধ্যায় ৩১ অনুচ্ছেদে আছে বলিদানের উদ্দেশ্যে পশু হত্যা করলে কোন রকম পাপ হবে না! কারণ ঈশ্বর কিছু প্রাণী এই জন্যেই বানিয়েছেন! মহাভারতের ৮৮ পর্বে দেখবেন বিশ্ব বলেছেন পূর্ব পুরুষদের সন্তুষ্ট করতে হলে,যদি শাকসবজি দাও ১মাস,যদি মাছ দাও ২মাস,যদি ভেড়া দাও ৩ মাস,যদি খরগোশ দাও ৪মাস,যদি ছাগলের মাংস দাও ৫মাস,যদিশুকর দাও ৬মাস,যদি পাখি দাও ৭মাস, এভাবে যদি দাও আরো অনেক আছে...যদি মহিষ দাও ১১মাস, %+যদি গরু দাও পুরো ১ বছর*% যদি গন্ডারের মাংস বা ছাগলের লাল মাংস দাও তাহলে পূর্ব পুরুষেরা সন্তুষ্ঠ থাকবে সারা জীবন! তাহলে বুঝা গেল হিন্দু ধর্মে গরুর গোশত বা গরু বলি দেয়ার অনুমতি আছে!