আমি ভুলে  আমার মায়ের নামে শপথ করে ফেলেছি, এখন শপথটা রাখতে পারিনি এর ফলে আমার পরিমাণ কি হবে? এবং ক্ষমার কোনো রাস্তা আছে কিনা? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ওয়াদা বা শপথ ভঙ্গ করা মুনাফিকের লক্ষণ। আর মুনাফিকের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্থানে। তথ্যসূত্র: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (নবম-দশম) ক্ষমা চান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রথম কথা মায়ের নামে কোন শপথ হয় না। দ্বিতিয়ত শপথ ভঙ্গ করলে ভেঙ্গে গেলে, শপথ ভঙ্গের কফফারা তিন ধরনের। ১: দশজন ফকির ম বা মিসকিন কে মধ্যম ধরনের খাদ্য বা বস্ত্র দান। ১:দাস মুক্তি ৩:তিনদিন সিয়াম পালন। তবে সমর্থের উপর ভিত্তি করে প্রথমে দশজনের খাদ্য দানে যে অক্ষম সে রোযা রাখতে পারবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

কসমের মূল কথা হচ্ছে কসমকৃত বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ এবং স্রষ্টার প্রতি সম্মান প্রদর্শন। এ কারণেই একমাত্র আল্লাহর নামে কসম করা ওয়াজিব করা হয়েছে। আর গাইরুল্লাহর নামে কসম করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার প্রতি পূর্ণ সম্মানের দাবী হচ্ছে আল্লাহর নামে সত্য কসম করা এবং অধিক কসম না করে তাঁর নামের ইজ্জত করা। কেননা মিথ্যা কসম এবং অধিক কসম উভয়টাই তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পরিপন্থী। অথচ আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনই হচ্ছে তাওহীদের প্রাণশক্তি।

কসম /শপথ দুই প্রকার।
(এক) আল্লাহ তাআলার কোন সৃষ্টি নিয়ে শপথ করা
যেমন- কাবা শরীফ, নবী, আমানত, জীবন, প্রতিমা অথবা আউলিয়া। এ প্রকার শপথ হারাম ও শির্‌ক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
(শুনে রাখ; আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে বাপ-দাদার নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। তোমাদের কেউ শপথ করলে আল্লাহ্‌র নামেই করবে অথবা নীরবতা অবলম্বন করবে। [বুখারি ৬১৫৫])
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :
যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহ্‌র নামে কসম করল সে শির্‌ক করল। [আবু দাউদঃ ২৮২৯]
এ ধরনের হারাম কসম ভঙ্গ করলে কোন কাফফারা নেই। কেননা গাইরুল্লাহ্‌র নামে শপথ করা শিরক। আর তা ভঙ্গ করা তাওহীদ। এ কারণেই যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহ্‌র নামে শপথ করে তার তওবা করা উচিৎ।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : যে ব্যক্তি লাত ও উয্‌যার শপথ করল তার বলা উচিৎ-لا إله إلا الله - তাছাড়া আল্লাহ তাআলার নাম ও সিফাতসমূহের সম্মান রক্ষার্থে তার নামে কসম করে ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অন্য কোন বস্তু তার সমকক্ষ নয়।
দুই-আল্লাহর শিফাত/আল্লাহর নামে শপথ করা!এসব আলোচনা এখানে প্রয়োজন নেই৷ শুধু মনে রাখুন দ্বিতীয় প্রকার কসমের কাফফারা আছে৷ 
আল্লাহ হেদায়েত এর মালিক৷       
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শপথ ভঙ্গকারী মুনাফিকে পরিণত হয় । আর মুনাফিকদের দুনিয়াতে কেউই পছন্দ করেন না এবং আখিরাতে রয়েছে তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ