এক ওয়াক্তের জন্য ওজু করার পর যদি ওজু না ভাঙে তবে একাধিক ওয়াক্ত নামাজ পড়া যাবে। আবার ওজু থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য আলাদা-আলাদা ওজু করা যাবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই ওজুতে সব নামাজ আদায় করেছেন। এ ব্যাপারে হাদিসে পাকে রয়েছে সুস্পষ্ট বর্ণনা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই ওজুতে সকল নামাজ আদায় করেছেন প্রসঙ্গেঃ
সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (বুরাইদা) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি ওয়াক্তের নামাজের জন্য নতুন ভাবে ওজু করতেন। তিনি মক্কা বিজয়ের দিন একই ওজু দিয়ে সব ওয়াক্তের নামাজ আদায় করলেন এবং মোজার উপর মাসাহ করলেন। উমার (রাঃ) বললেনঃ আপনি এমন একটি কাজ করলেন যা ইতোপূর্বে কখনও করেননি। তিনি 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম' বলেন, আমি ইচ্ছা করেই এটা করলাম।
(সূনান আত তিরমিজী, অধ্যায়ঃ ১/, হাদিস নম্বরঃ ৬১ ইবনু মাজাহঃ ৫১০ হাদিসের মানঃ সহিহ)।
বিদ্বানদের মতামত হল ওজু যে পর্যন্ত নষ্ট না হবে, সে পর্যন্ত একই ওজুতে একাধিক ওয়াক্তের নামাজ আদায় করা যাবে। তাদের কেউ কেউ ফযিলত লাভের আশায় প্রত্যেক নামাজে র জন্য নতুনভাবে ওজু করাটা মুস্তাহাব মনে করেছেন।
আফরীকী হতে বর্ণিত আছে, তিনি গুতাইফ হতে তিনি ইবনু উমার হতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ "যে ব্যক্তি ওজু থাকা অবস্থায় ওজু করে আল্লাহ তার জন্য দশটি সাওয়াব লিখেন।" হাদিসের সনদ যঈফ।
এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত একটি হাদীস রয়েছেঃ “নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই ওজুতে যুহর এবং আসরের নামাজ আদায় করেছেন।”
পরিশেষে, যেহেতু উভয় ভাবে নামাজ আদায়ে হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, তাই এক ওজুতে একাধিক ওয়াক্ত নামাজ যেমন পড়া যাবে তেমনি প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য ওজু থাকলেও নতুনভাবে ওজু করা যাবে। তাতে কোনো বিধি-নিষেধ নেই।
তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের জন্য নতুনভাবে ওজু করতেন। সুতরাং সমস্যা না থাকলে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য নতুনভাবে ওজু করাই উত্তম।