দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের সার্বিক দামস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়াকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়।
মুদ্রাস্ফীতি বলতে দ্রব্যমূল্যের দীর্ঘকালীন ঊর্ধ্বগতিকে বোঝায়। উৎপাদন বৃদ্ধি না পেয়ে অর্থের জোগান বৃদ্ধি পেলে এরূপ হয়। যদি দ্রব্যসামগ্রীর জোগান বৃদ্ধি না পেয়ে অর্থের জোগান বৃদ্ধি পায়, তবে মুদ্রার অর্থের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। অর্থের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার এরূপ প্রবণতাকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়। অধ্যাপক ফুলবর্ণ বলেন, যখন অত্যাধিক পরিমান অর্থ অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিমান দ্রব্য সামগ্রীর দিকে ধাওয়া করে, তখন মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। অধ্যাপক গ্রেগরি বলেন, ‘ক্রয়ক্ষমতার অস্বাভাবিক পরিমাণ বৃদ্ধিকেই মুদ্রাস্ফীতি বলা যায়।’ অধ্যাপক পিগুর মতে, ‘যখন আয়-উৎপাদনশীল কার্য অপেক্ষা আর্থিক আয় অধিক হারে বৃদ্ধি পায়, তখনই মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়।’ সুতরাং বলা যায়, দ্রব্যসামগ্রীর জোগানের তুলনায় অর্থের প্রচলন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দামস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। একেই অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি বলে।