শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
nbc

Call

নিয়ন্ত্রণকারী অংশ এবং সাহায্যকারী অংশ নিয়ে অপারেটিং সিস্টেম গঠিত হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ধরা যাক আপনার মডেলটি হাত নাড়ানো । তার অথ হাত নামক হাডওয়্যারটির সঞ্চালন আপনি দেখলেন ।কিন্তু হাত নাড়ানোর উদ্দীপনা বা নিদেশ কে দিল । এই নিদেশটি এসেছে মানুষের মাথা থেকে ।

মাথার ভিতরে সুস্পষ্টভাবে বিশেষ নিদেশ লিখিত আছে হাত নাড়াতে হলে  কি পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে । আমরা এই নিদেশনা দেখছি না দেখছি তার ফলাফল । আর এই নিদেশনাই হচ্ছে সফটওয়্যার ।

এই ভাবে মানুষের শরীরের সকল অঙ্গপ্রতঙ্গ নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিস্কে রক্ষিত সফটওয়্যার দ্বারা । এই সফটওয়্যারে  কোন গোলমাল হলে মানুষ অসংলগ্ন আচরণ করতে পারে । তাকে আমরা সহজেই পাগল বলে থাকি ।

আবার মানুষের কোন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্হ হলে তা হবে হাডওয়্যারগত সমস্যা ।সে সময় মস্তিষ্ক সঠিক নিদেশ পাঠালেও উক্ত অঙ্গ কাজ নাও করতে পারে । সুতরাং সহজেই আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে আমাদের মডেল মানুষ হচ্ছে হাডওয়্যার ও সফটওয়্যারের একটি সম্মিলিত ও সমন্বিত রূপ ।

কম্পিউটারের প্রোগ্রাম মানূষ লিখেছে । আর মানুষ বা অন্যান্য প্রাণী  উদ্ভিদের প্রোগ্রাম প্রকৃতির দ্বারা লিখিত । মাবন শিশুকে আমরা যখন প্রথম লিখাপড়া শিখাই তখন মস্তিস্কে ওই শিক্ষার বিষয়টি লিখা হয়ে যায় ।

দীঘ দিনের ক্রমাগত প্রচেষ্টায় মানুষের মস্তিস্কে একটি এ্যাপ্লিকশান সফটওয়্যারের জন্ম নেয় । যার দ্বারা মানুষ পরবতী সময়ে লিখতে পড়তে পারে । কম্পিউটারের ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার আলাদা করে লিখে কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয় ।

কম্পিউটার নিমাতারা প্রথমে প্রয়োজনীয় যন্তাংশ জুড়ে একটি পুরো কম্পিউটার তৈরি করেন । এরপর এর ভিতরে অপারেটিং সিসটেম প্রবেশ করান । মানুষ এই অপারেটিং সিস্টেম পায় জন্মগত সূত্রে ।

কম্পিউটারে যখন লিখালেখির উপযোগী পরিবেশ আনার জন্য কোন ওয়াড প্রসেসর যুক্ত করা হয় তখন কম্পিউটারে ওয়াডপ্রসেসর নামক  এ্যাপ্লিকেশান সফটওয়্যার প্রবেশ করিয়ে দেয় । কম্পিউটারের ভাষায় একে বলে ইনস্টলেশান ।

মানুষের মাথায় সরাসরি এইরূপ সফটওয়্যার ইনস্টলেশান পদ্ধতি নেই তাই তাকে সব কিছুই ধীরে ধীরে শিখে নিতে হয় । অথাৎ মানুষের মাথায় এ্যাপ্লিকেশান সফটওয়্যারের উন্নয়ন ঘটে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের দ্বারা ।

তা হলে উপরের আলোচনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে পুরো কম্পিউটার সিস্টেম হলো দুটি সাব সিস্টেমের সমম্বিতরূপ । একে বলা হয় কম্পিউটার আকিটেকচারের ভাষায় স্তর । কম্পিউটার সিস্টেম প্রধান তিনটি স্তরের সমম্বয়ে গড়ে উঠে । এই স্তর তিনটি হলো –

ক ।  হাডওয়্যার স্তর ।

খ ।  স্মৃতি-স্তর ।

গ ।  সফটওয়্যার স্তর ।

হাডওয়্যার স্তর :- কম্পিউটারের যন্তাংশ নিয়ে এই  সাব সিস্টেম গঠিত । কম্পিউটারের অপর সাব সিস্টেম হলো সফটওয়্যার সিস্টেম । এই দুটি সিস্টেমের সমম্বয়ে কম্পিউটার কাযকরী হয় ।

হাডওয়্যার সামগ্রী স্পশযোগ্য । অথাৎ হাত দিয়ে স্পশ করা যায় । এর মধ্যে কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিট মনিটর,কীবোড,প্রিন্টার,স্ক্যানার এর সবই ধরা হয় । কম্পিউটারের সাথে সম্পকিত এই সকল বড় বড় উপাদানগুলো বিশেষ উদ্দেশ্যে একক ভূমিকা পালন করে ।

কিন্তু এমন কিছু যন্ত্র আছে-যেগুলো সিস্টেমর অংশ কিন্তু পৃথক একটি ইউনিট হিসাবে কাজ করে না । যেমন –একটি ট্র্যানজিস্টার ।

স্মৃতি স্তর :- অত্যাবশ্যকীয় কিছু হাডওয়্যার উপকরণ দিয়ে কম্পিউটার তৈরি করা হয় । কিন্তু কম্পিউটারকে কাজের উপযোগী করার প্রাথমিক পযায়ে কিছু প্রোগ্রামের প্রয়োজন হয় । এই প্রোগ্রাম রম নামক একটি ডিভাইসে লিখিত থাকে ।

এই প্রোগ্রামকে বলা হয় ফামওয়্যার । এই স্তরটি পার না হলে কম্পিউটারের পরবতী স্তরে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না । এছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম হাডডিস্ক ,ফ্লপিডিস্ক,সিডিরম ইত্যাদিতে অস্হায়ী স্মৃতি হিসাবে রক্ষিত হয় ।

সফটওয়্যার স্তর :- কম্পিউটার প্রোগ্রাম বিশেষ ।  এর সাহায্যে কম্পিউটারের যন্তাংকে কাযোপযোগী করা হয় । কম্পিউটারে প্রধানত দুই ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে । এর একটি হলো অপারেটিং সফটওয়্যার যেমন :- ডস, উইন্ডোজ, ইউনিক্স ইত্যাদি ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ