শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

তাবিজ নিজে ব্যবহার করা এবং অন্যকে ব্যবহার করতে দেয়ার হুকুম কি হবে তা কয়েকটি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। 

(ক) যদি তাবিজ-কবচকে স্বয়ং কোনো অকল্যাণ থেকে রক্ষাকারী, বা কল্যাণ দানকারী মনে করে ব্যবহার করা হয় বা ব্যবহার করতে দেয়া হয় তাহলে তার ভেতরে যাই থাকুক না কেনো এটা স্পষ্ট শির্ক হবে। **শির্ক হলো সবচেয়ে বড়ো কবিরা গুনাহ। **

 (খ) যদি ওসিলা হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং মূল কল্যাণ দানকারী, অকল্যাণ দূরকারী হিসাবে একমাত্র আল্লাহর উপরে বিশ্বাস থাকে তাহলে তাবিজের ভিতরে কি আছে তার উপর ভিত্তি করে এর হুকুম হবে। 

(i) যদি স্পষ্ট কুরআনের আয়াত, দোয়া ইত্যাদি থাকে, কোনো অস্পষ্ট কিছু যেমন আবজাদ সংখ্যা, বিভিন্ন অর্থ না জানা চিহ্ন ইত্যাদি না থাকে তাহলে- 

(১) অনেক ওলামায়ে কেরামের মতামত হলো এটাকে ব্যবহার জায়েজ হবে না, হাদিসে নিষেধ থাকার কারণে। 

(২) কিছু সংখ্যক ওলামায়ে কেরাম বৈধ বলেছেন, যদি ব্যবহারকারী কুরআন ও দোয়া পড়তে অপারগ হয়। যেমন ছোটো বাচ্চা। *আমরা প্রথম মতটির পক্ষে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবক কুরআন ও দোয়া পড়ে তাদের গায়ে ফু দিয়ে দিবে, হাতে ফু দিয়ে গায়ে হাত বুলিয়ে দিবে। যতদ্রুত সম্ভব একটু বড়ো হলেই নিরাপত্তার আমলগুলো মুখস্থ করিয়ে দিবে। *

 (ii) এর বাইরে তাবিজে অন্য কিছু লেখা থাকলে, বা অন্য কোনো জিনিস থাকলে, যেমন কোনো পাথরের টুকরা, বিশেষ কোনো কাপড় বা সুতা, বিশেষ কোনো স্থানের মাটি, কোনো গাছের ডাল, পাতা, শিকড় ইত্যাদি থাকলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নিষিদ্ধ বা হারাম হবে। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন। আল্লাহ আমাদেরকে এবং আমাদের ঈমানকে হেফাজত করুক।। #রুকইয়াহ #হিজামা #খুলনা #RHKhulna

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ