শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

স্বপ্ন ঘুমের ঘরে এক চিন্তা চিন্তা হলেও স্বপ্ন আপনার ভবিষ্যৎ। এইসব স্বপ্নের কোন বাস্তবতা আছে কিনা এ ব্যাপারে ধর্মীয় গবেষক এবং দার্শনিকদের মাঝে কিছু মতপার্থক্য রয়েছে।


স্বপ্নের কথা বলা নিয়ে রাসুল (সা.) যা বলেছেন

দার্শনিকদের মতে মানুষের চিন্তা ভাবনার একটি প্রতিচ্ছবি তার ঘুমের মাঝে ফুটে ওঠে। যা শুধু ধারণা ও চিন্তা প্রসূত। বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই। তবে ইসলামের জ্ঞান সম্পন্ন আলেমরা এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের বক্তব্য হলো স্বপ্নই মানুষের ধারণাপ্রসূত নয় বরং অনেক স্বপ্ন রয়েছে যা অর্থবোধক। হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- স্বপ্ন তিন প্রকার
রুহিয়া হে সালেহা বা ভাল স্বপ্ন যা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কোন সুসংবাদ হিসেবে যা বিবেচ্য।
রুহিয়া হে শায়াতিন যা শয়তান কর্তৃক প্রতারণামূলক স্বপ্ন
রুইয়া হে নাফসানি তথা মানুষের চিন্তা চেতনার কল্পনা চিত্র


এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যদি কেউ ভয় বা খারাপ স্বপ্ন দেখে তা হলে সে যেন তাড়াতাড়ি অজু করে নামাজে দাড়িয়ে যায়। নবীজী বলেন স্বপ্ন হচ্ছে আমার নবুয়তের 46 ভাগের এক ভাগ। স্বপ্ন সত্য হতে পারে যদি রাত বারোটার পরে দেখা হয় এবং ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত কেউ পবিত্র অবস্থায় ডান কাঁধে শুয়ে থাকে। তাহলে খুব দ্রুতই সে স্বপ্ন সত্যি হতে পারে। যদি কেউ স্বপ্নে নামাজ পড়তে দেখা তাহলে তার আশা পূরণ হবে। ইনশাআল্লাহ।

স্বপ্নে নামাজ পড়িতে দেখার ব্যাখ্যা

যদি কেউ শুয়ে নামাজ পড়তে দেখে তাহলে তার মনে করতে হবে তার মৃত্যু খুব শীঘ্রই এসে গেছে। এই ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। যদি কেউ নামাজ বসে পড়তে দেখে তাহলে সে দ্রুতই রোগাক্রান্ত হবে। যদি পশ্চিম দিকে কেউ নামাজ পড়তে দেখে তাহলে ধর্মের দিক দিয়ে সে উদাসীন হবে। যদি নামাজ কোন বড় জামাতের সাথে পড়তে দেখে তাহলে তার নিকট আল্লাহর রহমত অবারিত পড়তে থাকে। আর যদি নিজেই ইমামতি করতে দেখে তাহলে জাতীয় নেতৃত্ব লাভ করার সম্ভাবনা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ