Call

আল্লাহর দরবারে ইবাদত কবুল বা গৃহীত হওয়ার জন্য তিনটি মৌলিক শর্ত রয়েছে:

১। বিশুদ্ধ ঈমান ও ইখলাস: শিরক, কুফর ও নিফাক-মুুক্ত বিশুদ্ধ ঈমান ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত। বান্দার প্রতিটি নেক আমল মাকবুল হওয়ার জন্য অন্তরে ইখলাস নিয়ে বা একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইবাদত করা।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর তাদের কেবল এ নির্দেশই দেওয়া হয়েছিল যে তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে তাঁরই জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে এবং নামাজ কায়েম করে ও জাকাত প্রদান করে। আর এটাই সঠিক দ্বীন। (সুরা : বায়্যিনাহ, আয়াত : ০৫)।

উপরন্তু ইবাদতটি পরিপূর্ণ ইখলাসের সাথে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোনো রকম উদ্দেশ্যর সামান্যতম সংমিশ্রণ থাকলে সে ইবাদত আল্লাহ কবুল করবেন না।

২। সুন্নাতের অনুসরণ: কর্মটি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাত, রীতি ও তার শিক্ষা অনুসারে পালিত হতে হবে। যদি কোনো ইবাদত তার শেখানো ও আচরিত পদ্ধতিতে পালিত না হয়, তাহলে যত ইখলাস ও আন্তরিকতা-ই থাক না কেন তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না বা তার কোনো সাওয়াব মিলবে না।

ইবাদত বা আমল কবুল হওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসরণ ও অনুকরণ জরুরি। কোনো মনগড়া পদ্ধতিতে ইবাদত করলে তা কবুল হবে না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো আর যা থেকে তিনি তোমাদের নিষেধ করেছেন তা হতে বিরত থাকো। (সূরা হাশর :৭)।

৩। হালাল ভক্ষণ: ইবাদত পালনকারীকে অবশ্যই হালাল-জীবিকা-নির্ভর হতে হবে। হারাম ভক্ষণকারীর ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।

হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। (মুসলিম, হাদিস : ২২৩৬)।

তাই দোয়া কবুল হওয়ার জন্য অবশ্যই হালাল ভক্ষণ করতে হবে। হালাল উপায়ে উপার্জন করতে হবে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ