শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sumya Akter

Call

ম্পিউটার পরিচালনার জন্য অপারেটিং সিস্টেম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে থাকে। নিচে উল্লেখযােগ্য কয়েকটি কাজ সম্পর্কে আলােচনা করা হলোঃ


 

কম্পিউটার চালু করা ও পরিচালনা করাঃ কম্পিউটারের পাওয়ার বাটনে চাপ দেয়ার পর বিদ্যুৎ প্রবাহ দ্বারা অপারেটিং সিস্টেম প্রাথমিক ধাপে র‌্যামে লােড হয়। এর পরের ধাপে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত সকল পেরিফেরাল ডিভাইসসমূহ ঠিক আছে কি না তা একে একে পরীক্ষা করতে থাকে। তৃতীয় ধাপে এপ্লিকেশন প্রােগ্রাম লােড করতে শুরু করে ও তারপর ব্যবহারকারীর নির্দেশ গ্রহণের জন্য কমান্ড প্রম্পট বা ডেস্কটপে এসে স্থির হয়।

এপ্লিকেশন প্রােগ্রাম পরিচালনা করাঃ এপ্লিকেশন প্রােগ্রাম পরিচালনা করা অপারেটিং সিস্টেমের একটি প্রধান কাজ। কোন প্রােগ্রাম পরিচালনার জন্য যে সকল রুটিন ও ফাংশন প্রােগ্রাম প্রয়ােজন হয় অপারেটিং সিস্টেম তা সরবরাহ করে থাকে।

ইনপুট/আউটপুট অপারেশনঃ ব্যবহারকারীর প্রােগ্রাম সরাসরি কোন ইনপুট বা আউটপুট ডিভাইস পরিচালনা করতে পারে না, তাই অপারেটিং সিস্টেম-এ সকল সুবিধা প্রদান করে থাকে।
ফাইল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণঃ ফাইল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করা অপারেটিং সিস্টেমের আর একটি প্রধান কাজ। অপারেটিং সিস্টেমই স্টোরেজ ডিভাইসে ফাইল সিস্টেমের সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বয় সাধন করে থাকে।
কার্যাবস্থায় সমস্যার রিপাের্ট করা ও সমাধান দেয়াঃ প্রতিটি নির্দিষ্ট ত্রুটির জন্য অপারেটিং সিস্টেম সঠিক পদক্ষেপ নেয়, প্রয়ােজনে রিপাের্ট করে এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ত্রুটি সারানােরও ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
রিসাের্স ম্যানেজমেন্টঃ কম্পিউটার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অপারেটিং সিস্টেম প্রােগ্রাম এবং হার্ডওয়্যার রিসাের্স (Resource) সবার মাঝে গুরুত্ব অনুসারে বণ্টন করে।
একাউন্টিংঃ অনেক সময় ব্যবহারকারী কতটকু পরিমাণে সিস্টেমের কোন অংশ ব্যবহার করেছে তা নির্ণয় করার প্রয়ােজন দেখা দেয়। এ তথ্য সংরক্ষণ কাজও অপারেটিং সিস্টেম করে থাকে।
তত্ত্বাবধানঃ একাধিক রকম বিভিন্ন কাজ একই সাথে পরিচালনা করার সময় যেন একটি কাজ অপরটির কাজে কোনরুপ বিঘ্ন সৃষ্টি না করে তা অপারেটিং সিস্টেম নিশ্চিত করে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করাঃ অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের রিসাের্সকে অনির্দিষ্ট কেউ যাতে ডেটা চুরি করতে না পারে, প্রােগ্রামের কোন ক্ষতি করতে না পারে তার ব্যাপারে সতর্ক থাকে। এমনকি ব্যবহারকারী যদি ভুলে কোন গুরুতৃপূর্ণ ফাইল মুছে দিয়ে থাকেন তবে তা প্রতিহত করার জন্য বিশেষ প্রােগ্রাম অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে দেয়া থাকে।
নেটওয়ার্কিংঃ আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম এক কম্পিউটারের সাথে অন্য এক বা একাধিক কম্পিউটার কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত হওয়ার যাবতীয় কাজ করে থাকে। এই সংযুক্তি বা নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের সুবিধা (ডেটা ট্রান্সফার, রিসাের্স শেয়ারিং ইত্যাদি) পেয়ে থাকেন।
ইউজার ইন্টারফেসঃ অপারেটিং সিস্টেমের এমন একটি অংশ যা ব্যবহারকারীর সাথে বিভিন্ন সফটওয়্যারের সংযােগ, সমম্বয় সাধন, পরিচালনা এবং নির্দেশ গ্রহণে সহায়তা প্রদান করে। তাছাড়া সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন প্রােগ্রাম লােভ করা ও কাজ করার সুযােগ সৃষ্টি করে।
রিসাের্স ম্যানেজমেন্টঃ কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার যেমন ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসগুলাের (মাউস, কী-বাের্ড, প্রিন্টার, মনিটর ইত্যাদি) নিয়ন্ত্রণ এবং সমম্বয় সাধন করে।
সিকিউরিটিঃ অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার রিসাের্সকে অনাদিষ্ট ব্যবহারকারীর হাত থেকে রক্ষা করে। এটি ডেটা ও ইনফরমেশন চুরি থেকেও রক্ষা করে।
টাস্ক ম্যানেজমেন্টঃ অপারেটিং সিস্টেমের টাস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রােগ্রাম ব্যবহারকারীর নির্দেশ গ্রহণ এবং বিশ্লেষণ করে। সিপিইউ টাইম স্লাইমকে বিভিন্ন টাস্কের মধ্যে বন্টন এবং কন্ট্রোল করে যাতে সকল টাস্কই সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।
ফাইল ম্যানেজমেন্টঃ অপারেটিং সিস্টেম ফাইল ম্যানেজমেন্ট যেমন ফাইল তৈরি, ডিলিট, অ্যাকসেস, কপি, মুভ, সংরক্ষণ ইত্যাদি কাজ করে থাকে। তাছাড়া ডেটা ও প্রােগ্রামিং ম্যানিপুলেশন (Manipulation) যেমন- ডেটা আদান-প্রদান, স্থানান্তর ও সংরক্ষণের কাজ করে থাকে।
ইউটিলিটিসঃ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা যেমন- ফাইল ডিফ্রাগমেন্টেশন, ডেটা কম্প্রেশন, ব্যাক আপ, ডেটা রিকোভারি, অ্যান্টিভাইরাস ইত্যাদি ইউটিলিটিস প্রদান করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mahadi

Call

অভিকর্ষের দরুন আদর্শ ত্বরণকে অর্থাৎ মুক্তভাবে পতনজনিত আদর্শ ত্বরণকে আদর্শ অভিকর্ষ বলা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ