Jakir Hosen

Call

ব্রিটিশ সরকার বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন ১৯১৫ সালে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Sakib Ahmed

Call

হজরত আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যখন বান্দা কোনো কিছুর ওপর অভিসম্পাত করে তখন সে অভিসম্পাত বাক্যটি আসমানের দিকে উড়ে যায়; কিন্তু এর জন্য আসমানের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর তা জমিনের দিকে ফিরে আসে এবং জমিনের দরজাগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতঃপর তা ডানদিকে যায় এবং বামদিকে যায়। আর যখন এভাবে কোনো দিকেই স্থান না পায় তখন তার দিকে ফিরে আসে যার ওপর অভিসম্পাত করা হয়েছে। যদি সে অভিসম্পাতের উপযোগী না হয় তাহলে খোদ অভিসম্পাতকারীর দিকেই তা প্রত্যাবর্তন করে (আবু দাউদ)। হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা একে অপরে এভাবে অভিসম্পাত করবে না যে, তোমার ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত, আল্লাহর গজব পতিত হোক এবং তুমি দোজখি হও। এভাবে বদদোয়াও করবে না। অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, তোমাকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হোক। এরূপ বলেও বদদোয়া করবে না (তিরমিজি, আবু দাউদ)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমানদার ব্যক্তি কখনো অভিসম্পাতকারী, অশ্লীল বাক্য ব্যবহারকারী এবং গালমন্দকারী এবং লজ্জাহীন হতে পারে না। তিরমিজি, বায়হাকি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। একদা বায়ু এক ব্যক্তির চাদর উড়িয়ে নিল। তখন সে ব্যক্তি বায়ুকে অভিসম্পাত করল। তা শুনে রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, বায়ুকে অভিসম্পাত করিও না, কেননা তা তো (আল্লাহর) আদিষ্ট। বস্তুত যে ব্যক্তি এরূপ কোনো কিছুকে অভিসম্পাত করল যা অভিসম্পাতের উপযোগী নয়, তখন ওই অভিসম্পাত তার নিজের ওপরই ফিরে আসবে (তিরমিজি, আবু দাউদ)। নবী (সা.) নিজেও এমন কথা শুনতে চাইতেন না যেখানে একে অন্যের বিরুদ্ধে গালমন্দ বা অভিশাপ রয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমার সাহাবিদের মধ্যে কেউ কারও কোনো খারাপ বিষয় আমাকে জানাবে না। কেননা আমি এটাই পছন্দ করি যে, আমি তোমাদের কাছে এমন অবস্থায় উপস্থিত হই, তখন আমার অন্তর প্রশান্ত এবং স্বচ্ছ থাকবে। (আবু দাউদ)।

এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে লানত বা অভিশাপ দেওয়া সর্বাবস্থায় হারাম। এমনকি নির্দিষ্ট কোনো অমুসলিমকেও লানত করা যাবে না, যতক্ষণ না কুফরি অবস্থায় তার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হবে। এ ব্যাপারে নবী করিম (সা.)-এর বক্তব্য নিম্নরূপ : যে বিদ্রূপ করে, লানত করে ও অশ্লীল কথা বলে, সে মুমিন নয়। (তিরমিজি)

তবে কুফরি অবস্থায় কোনো ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত জানা থাকলে তার ওপর লানত করা জায়েজ। যেমন—আবু জাহেল, আবু লাহাব প্রমুখ। (শামি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৮৩৬)

আবার কারো নাম উল্লেখ না করে এভাবে লানত করা জায়েজ যে জালিমের ওপর কিংবা মিথ্যাবাদীদের ওপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ