Call

সাঁওতাল

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তাহাজ্জুদ নামায সুন্নাত; রাসুল (সাঃ) যা করেছেন তার সবকিছুই সুন্নাত। সেদিক থেকে রাসুল (সাঃ) এর সমস্ত কাজই সুন্নাত।

অতিরিক্ত হিসেবে একে নফলও বলা হয়। ফরজ ও ওয়াজিবের পরবর্তী স্টেপের নাম সুন্নাত। এদিক থেকে এটাকে নফলও বলা হয়। এই নামায রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য ছিল।

আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামকে বিশেষভাবে রাতে তাহাজ্জুদ নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, হে চাদর আবৃত, রাতের সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া। (সুরা মুজাম্মিল : আয়াত ১-২)।

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর, এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (বনি ইসরাইল, আয়াত: ৭৯)।

আলোচ্য আয়াতে বিশেষভঙ্গিতে সম্বোধন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাহাজ্জুদের আদেশ করা হয়েছে। বিভিন্ন বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, আলোচ্য আয়াতস মূহ ইসলামের শুরুতে এবং কুরআন অবতরণের প্রাথমিক যুগে অবতীর্ণ হয়েছে। তখন পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয ছিল না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মেরাজের রাত্ৰিতে ফরয হয়েছিল। এই আয়াতে তাহাজ্জুদের সালাত কেবল ফরযই করা হয়নি; বরং তাতে রাত্রির কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ মশগুল থাকাও ফরয করা হয়েছে। আয়াতের মূল আদেশ হচ্ছে কিছু অংশ বাদে সমস্ত রাত্রি সালাতে মশগুল থাকা।

এই আদেশ পালনার্থে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম অধিকাংশ রাত্রি তাহাজ্জুদের সালাতে ব্যয় করতেন। ফলে তাদের পদদ্বয় ফুলে যায় এবং আদেশটি বেশ কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হয়। পূর্ণ এক বছর পর এই সূরার শেষাংশ,

فَاقْرَءُوْاٰمَاتَيَسَّرَ مِنْهُ

অবতীর্ণ হলে দীর্ঘক্ষণ সালাতে দন্ডায়মান থাকার বাধ্যবাধকতা রহিত করে দেয়া হয় এবং বিষয়টি ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিয়ে ব্যক্ত করা হয় যে, যতক্ষণ সালাত আদায় করা সহজ মনে হয়, ততক্ষণ সালাত আদায় করাই তাহাজ্জুদের জন্যে যথেষ্ট।

বনি ইসরাইল,৭৯ নাম্বার আয়াতে نَافِلَةً لَّكَ শব্দের অর্থ আপনার জন্য অতিরিক্ত, এখানে نَافِلَةً এর অর্থ নিয়ে ইমামগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।


কেউ বলেন, এটা শুধুমাত্র রাসূলের জন্য অতিরিক্ত ফরয ছিল, অন্য কারো জন্য নয়। এখানে نَافِلَةً শব্দ দ্বারা ফরযকেই বুঝানো হয়েছে।


আর কেউ বলেন, এখানে নফল দ্বারা নফলই বুঝানো হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহ অন্য কারো ওপর পাঁচ ওয়াক্ত ছাড়া কোন সালাত ফরয ছিল না।


তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওপর প্রথমে রাতের সালাত ফরয ছিল যেমন সূরা মুযযাম্মিলে বলা হয়েছে। তারপর এ আয়াত দ্বারা নফল করে দেয়া হয়।

সুতরাং তাহাজ্জুদ নামাযকে জরুরী করে দেয়া হয়নি মানুষের উপর কঠিন হয়ে যাবে বলে। তবে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যেহেতু, সর্বদা তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতেন অতএব, এটার গুরুত্ব অপরিসীম। সম্ভব হলে পড়ার চেষ্টা করা উচিত। তবে, তা না পড়লে কোন গুনাহ হবে না।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ