শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ভূমিকম্প সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। 

১. আগ্নেয় বা ভলকানিক ২. ভূ-গাঠনিক বা টেকটনিক এবং ৩. মানবসৃষ্ট বা কৃত্রিম। 

ভূমিকম্পের কারণ সম্পর্কে আধুনিক বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন ব্যাখ্যা বিদ্যমান আছে তার মধ্যে প্লেটগতির তারতম্য অন্যতম কারণ। এটি হলো,পৃথিবী ছোট-বড় অনেকগুলো প্লেট বা খণ্ডে বিভক্ত। 

এই প্লেটগুলো সর্বদাই গতিশীল যদি কোনো কারণে এর নিয়মিত গতির ব্যত্যয় ঘটে তাহলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। যেমন যদি দু’টি পাশাপাশি প্লেট দুইদিকে সরে যায় তাহলে প্লেটসীমানায় ফাটলের সৃষ্টি হয়ে ভূ-অভ্যন্তরস্থ বাষ্পীয়, গলিত পদার্থসমূহ সবেগে বেরিয়ে আসে যাকে অগ্ন্যুত্পাত বলে। ফলে উভয় প্লেটের সীমানাবর্তী তলদেশে প্রচণ্ড ধাক্কা দেয় এবং ভূমিকম্প হয়। আবার যদি একটি প্লেট অন্যটির মধ্যে ঢুকে যায় তাহলে প্লেট সীমানাবর্তী এলাকার ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে পর্বত সৃষ্টি হয় এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের আরেকটি কারণ হলো স্থিতিসাম্যতার তারতম্য। এটি হলো পৃথিবীর কোনো স্থানে যদি অধিক পরিমাণে পাহাড় কাটে বা গাছপালা কেটে বনাঞ্চল ধ্বংস করে অথবা পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায় ফলে ভূমির স্থিতিসাম্যতার তারতম্য ঘটে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ