পুদিনা এক প্রকারের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। তাছাড়াও পুদিনা পাতার রয়েছে ঔষধি গুনাবলী যেমন-

১। পেটের পীড়ায় :-
এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম [ আইবিএস- IBS ] এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রন করে।

২। অ্যাজমা :-
পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরীতে বাধা দেয়, ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরীতে বাধা দেয়, তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।

৩। এন্টিক্যান্সার :-
পুদিনায় রয়েছে মনোটারপিন নামক উপাদান। এটি স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সার হওয়া প্রতিরোধ করে। নিয়মিত পুদিনা পাতা খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৪। পুদিনার ভেষজ গুণাবলী :-
পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর।

এছাড়াও আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো:

১। পুদিনার তাজা পাতার রস মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তা হলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায় ও ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।

২। পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।

৩। কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন, দেখবেন জ্ঞান ফিরে পেয়েছে লোকটি।

৪। পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করেন । যাদের চুলে উকুন আছে, তারা খুব উপকার পাবেন।

৫। শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।

৬। মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।

৭। যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন, দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে