Call
  • কথাটি সত্য নয়। এমনকি এটি একটি নিছক মিথ্যাচার।
  • আল্লাহ তাআলা বলেন: “তারা সৎকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ত, আর তারা আগ্রহ ও ভীতির সাথে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে ভীত-অবনত।”[সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৯০]
  • ইবনে জারীর তাবারী বলেন: “আগ্রহ” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- তারা তাঁর ইবাদত করত তাঁর রহমত ও অনুগ্রহ পাওয়ার আশা আগ্রহ নিয়ে। “ভীতির সাথে” অর্থাৎ তাঁর ইবাদত বর্জন ও নিষেধ লঙ্ঘন করত না তাঁর শাস্তির ভয়ে। আমরা যে তাফসির করেছি এ তাফসির অপরাপর তাফসিরকারকগণ উল্লেখ করেছেন।[তাফসিরে তাবারী (১৮/৫২১)]
  • তবে এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে শুধুমাত্র জান্নাত লাভের আশায় ইবাদত না করে আল্লাহকে রাজি-খুশি করার নিয়তে ইবাদত করা চাই এমনকি আল্লাহকে রাজি-খুশি করার নিয়তে ইবাদত করাই সর্বোত্তম। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Waruf

Call

কে দোযখ বা কে বেহেশত লাভ করবে সে বিচার আমরা করতে পারিনা। আমরা শুধু ভাল ও মন্দ কাজের উপর আলোচনা করে ধারনা লাভ করতে পারি। জান্নাতের আশা তো সবার থাকে। কিন্তু কথা হচ্ছে আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদাত করার জন্য। কাজেই মানুষের পরম কাজ হচ্ছে বিনা প্রশ্নে, বিনা কারনে, বিনা আশায় শুধু আল্লাহুর সন্তষ্টি লাভের আশায় ইবাদাত করা। শুধু জান্নাতকে লক্ষ করে ইবাদাত করলে তা এক প্রকার দেয়া নেয়া ব্যবসা হবার সম্ভাবনা থাকে। আর নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের একাজের জন্য সৃষ্টি করেননি। কারন এ ধরনের দেয়া নেয়া টার্গেট থাকলে মন পুরা আন্তরিক হয়না। মনে হবে যে আমি দশ বছর ইবাদাত করেছি। দুদিন না করলে সমস্যা নাই জান্নাত পেয়ে যাবো। এই দুদিন সমস্যা নাই এর অর্থ এটাই যে জান্নাত পাওয়ার মত হয়ে গেছে, আর দরকার নাই। তাই জান্নাত না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখানে ব্যক্তি পুর্ন সজাগ থাকেন তাই আল্লাহ ভুল ত্রুটি কিভাবে ক্ষমা করবেন একটি বিষয় থাকে। তথাপি কেউ এমন টার্গেট না করে অল্প হলেও মন থেকে আন্তরিক ভাবে কোন মোহ ছাড়াই যদি আল্লাহুর ইবাদাত করে তবে সেই ব্যক্তি জান্নাত পাবার সম্ভাবনা থাকে। কারন আল্লাহ এটি দেখবেন যে, ব্যক্তি অনেকটা সময় আমার ইবাদাত করেনি, সে ভুল পথে ছিল, অজ্ঞ ছিল। ক্ষমা করা যেতেই পারে। ব্যক্তি যখনই বুঝেছে আমাকে ইবাদাত করার চেষ্টা করেছে। কাজেই আল্লাহ ইচ্ছা করলেই তাকে জান্নাত দিতে পারেন। এই হচ্ছে ব্যাখ্যা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ