সোনা বা Gold এটি পর্যায় সারণির একটি মৌল। এটি মূল্যবান হওয়ার অন্যতম কারন হচ্ছে, প্রকৃতিতে এটি লোহা বা তামার মত খুব বেশি Available না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এর মূল্য অন্যান্য মৌলের চেয়ে বেশি।
এছাড়াও,
* এটি অলংকার হিসেবে অনেকের প্রথম চয়েস।
* অপরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য।
* চকচকে বর্ণ।
* বিনিময়ের সহজ মাধ্যম।
* সহজে ক্ষয় হয় না।
* কাঠামোর স্থায়ীত্বের কারণে এটি অতি মূল্যবান ধাতু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই।
সোনা অলংকার হিসাবে ব্যবহৃত হ এবং এটি অন্যান্য ধাতু যেমন লোহা তমার ইত্যাদির মতন সহজপ্রাপ্য নয় । তাছাড়া সোনা সংরক্ষণের জন্য বেশি ব্যয় হয় । সোনা পর্যায় সরণির এমন একটু মৌল যেটি সহজে অন্য কোনো যৌগ বা মৌলের সাথে বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না, বিক্রিয়ার জন্য অধিক তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়, উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়না, দুষ্প্রাপ্য ইত্যাদি কারণে এটি মূল্যবোধ ধাতু হিসাবে পরিগণিত হয় । ধন্যবাদ ।
সোনা কেন এত মূল্যবান তার পেছনে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, সৌরজগৎ তৈরির বহু আগে এক সুপারনোভা ও নিউট্রন স্টারের সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীর যাবতীয় সোনার উদ্ভব হয়েছিল। সোনা উৎপত্তির সেই মহাজাগতিক প্রক্রিয়া বিজ্ঞানীদের কাছে আর-প্রোসেস নামে পরিচিত।
মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘যারা সোনা-রূপা সঞ্চয় করে রাখে এবং আল্লাহর রাস্তায় তা খরচ করে না; অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন, অতি যন্ত্রণাময় শাস্তির। যা সেদিন ঘটবে, যেদিন জাহান্নামের অগ্নিতে সেগুলোকে উত্তপ্ত করা হবে, অতঃপর সেগুলো দ্বারা তাদের ললাটসমূহে এবং তাদের পার্শ্বদেশসমূহে এবং তাদের পৃষ্ঠসমূহে দাগ দেয়া হবে, এটা তা-ই যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে, সুতরাং এখন স্বাদ গ্রহণ কর নিজেদের সঞ্চয়ের।’’ (আত্-তাওবাহঃ ৩৪-৩৫)