
➽ দাওয়াত-দাওয়াহ এর অর্থ ধর্মপ্রচার বা ইসলামের প্রচার। দাওয়াত এর আক্ষরিক অর্থ হলো একটা সমন জারি করা বা একটি আমন্ত্রণের কাজ করা।
একজন মুসলিম যিনি দাওয়াতের কাজ করেন, একজন ধর্মীয় কর্মী হিসাবে বা স্বেচ্ছাসেবী সাম্প্রদায়ীক প্রচেষ্টা হিসাবে, যেভাবেই হোক তাকে বলা হয় একজন দাঈ।
সুতরাং দাওয়াহ হলো আল্লাহর পথে আহ্বান। আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে রিসালাতের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে আখিরাতের পাথেয় অর্জনের জন্য একক আনুগত্যের দিকে খিলাফাত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেকে সংশোধনের মাধ্যমে মানুষকে আহ্বান করাই হলো দাওয়াহ।
➽ ই’দাদ হচ্ছে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ই’দাদ একটি শরয়ী ওয়াজিব। আল্লাহ তাআলা ই’দাদ এর আদেশ করেছেন। আদেশ করেছেন নবী (সাঃ) এর উম্মতকে।
শত্রুদের বিরুদ্ধে যথাযথ অস্ত্র, সরঞ্জামাদি ও শারীরিক যোগ্যতা প্রস্তুত রাখা মু’মিনদের জন্য ওয়াজিব।
আল্লাহ বলেন, আর তোমরা তাদের মুকাবিলার জন্য যথাসাধ্য প্রস্তুত রাখ শক্তি ও অশ্ব বাহিনী, তা দিয়ে তোমরা ভীত-সন্ত্রস্ত করবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে এবং এরা ছাড়া অন্যদেরকে যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ তাদেরকে জানেন । আল্লাহ্র পথে তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তার পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি যুলুম করা হবে না। (আনফালঃ ৬০)
যার উপর ই’দাদ ফরজে আইন হয়েছে তার জন্য এর মধ্যে শেথিল্য করা গুনাহ।
সুতরাং মানুষ গুনাহগার হবে, যখন তার উপর ই’দাদ ওয়াজিব হওয়া সত্ত্বেও সে ইদাদ গ্রহণ করবে না। আর গুনাহের জন্য তাওবা ও ইস্তেগফার করতে হয়। তাওবা ইস্তেগফার ও আমল।
➽ জিহাদ যার অর্থ সংগ্রাম; কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য লাভের জন্য সমগ্র শক্তি নিয়োগ করাকে বোঝানো হয়।
ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষে এবং একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য কুফরী তথা ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মুমিনের সকল প্রচেষ্টা নিয়োজিত করাকে জিহাদ বলে।