Microblog

Microblog

0 Views
Rated 5 / 5 based on 0 reviews

Microblog

Hi Dear আমি, জয় বোস MicroBlogBD এর Founder & Writer । বলে,রাখি আমি একজন So called কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার । সবে মাত্র আমার , ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ হলো ..এখন Digital Marketing নিয়ে কাজ করছি।

  • Male | |

Chamber

Services

Work Experience

Skills

Language

Training

Education

প্রশ্ন-উত্তর সমূহ 234 বার দেখা হয়েছে | এই মাসে 234 বার
1 টি প্রশ্ন দেখা হয়েছে 234 বার
0 টি উত্তর দেখা হয়েছে 0 বার
5 টি ব্লগ | 0 টি মন্তব্য | 0 টি প্রিয়

Recent Q&A

করোণা ভাইরাস কি সকল অজানা তথ্য

বর্তমান সময়ের সবথেকে বড় ভয়াবহ দুর্যোগ এর নাম নোভেল করোনা ভাইরাস ( কোভিড-19 ) । এই শতাব্দীর সব থেকে ভয়াবহ ভাইরাস বলা চলে। মানব ইতিহাস এ পর্যন্ত যত ভাইরাস এর আক্রমন হয়।

কোন ভাইরাসই এক সাথে এতো গুলো দেশে আক্রমন করতে পারে নি । কিন্তু এই ভাইরাস এমন একটি ভাইরাস যার প্রভাব কম বেশি সমগ্র দেশেই আছে। ইতিহাসের প্রথমবার সকল মানুষ এতো দিন ঘর বন্দি হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বাজায় রেখেছে।

চলুন জেনে নেই এই ভাইরাস এর যাবতীয় তথ্য কি এই ভাইরাস, কি দিয়ে এটা তৈরি , কি ভাবে ছড়ায়, এর ভাইরাসের উপসর্গ, এবং এর চিকিৎসা ও ঔষুধ সম্পর্কে সহজ ভাষায়.




কখনো কি ভেবেছেন মানুষ এতো কিছু তৈরি করেছে: মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট আরো কতো কি। বর্তমানে আপনি এই লেখাটি, যে ডিভাইস এ পড়ছেন ওইটাও মানুষই তৈরি করেছে।

এখন প্রশ্ন হলো মানুষ এর মাথায় এতো বুদ্ধি থাকা সত্ত্বেও কেনো করোণার ভ্যাকসিন তৈরি করতে এতো সময় লাগছে?

কেনইবা প্রত্যেকটি দেশের ইকোনোমি এর অবস্থা খারপ হওয়া সত্ত্বেও । সব দেশ লোক ডাউন কেন জারি করছে। কেনই বা সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখতে বলছে?




করোণা ভাইরাস কি?

এই ভাইরাস এই জন্য ভয়াবহ না, যে এই ভাইরাসের কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে । এই জন্য ভয়াবহ কারন এই ভাইরাস এর Transmisson power অনেক Fast । এটি Human to Human অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
কোরনা ভাইরাস Human Body to Human Body ছড়ায়।

এই ভাইরাস মানুষ এর শরীরে প্রবেশ করতে পারে তিনটি মাধ্যমে ১) চোখ ২) নাক ৩) মুখ। এই ভাইরাস শরীরে যাওয়ার পর । মানুষ এর Lung (ফুসফুস) সিস্টেম কে দূর্বল (Freez) করে দেয়। এর ফলে respiratory system Failed হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়।




How To DeFend the Virus:


এই ভাইরাস থেকে বাচার প্রাথমিক উপায় হলো । Effected লোক থেকে দূরত্ব বাজায় রাখা। আর এই কারনেই সকল দেশে লোকডাউন এবং স্যোসাল ডিস্টেন্স মেইন্টেন রাখার পরামর্শ দিচ্ছে।

কারন আপনি যত মানুষের সংস্পর্শে আসবেন তত বেশি করোণা হওয়ার চান্স থাকবে।




করোনার বিরুদ্ধে আমাদের শরীর কি ভাবে কাজ করে?

উদাহরণ স্বরুপ কম্পিউটার সিস্টেম কে বোঝানে হচ্ছেঃ

ধরুন আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটবে যখন কোন পেনড্রাইভ প্রবেশ করান । তখন আপনার কম্পিউটার এর থাকা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ওই পেন ড্রাইভটি স্ক্যান করে। আর যদি কোন ভাইরাস পেয়ে থাকে তাহলে । ওই খান থেকে রিমুভ করে দেয়।

এই একই পদ্ধতি আমাদের শরীরেও হয়ে থাকে। ভাইরাস কে প্রোটেক্ট করার জন্য আমাদের শরীরে থাকে একটি ইমিউনিটি সিস্টেম। যা শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া এর বিরুদ্ধে কাজ করে।

কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে যদি নতুন কোনো ভাইরাস তৈরি হয়। কিন্তু এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার, সেই ভাইরাস কে না চিনতে পারে । তাহলে সে ওই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারবে না। এর ফলে ওই ভাইরাস কম্পিউটার সিস্টেম কে ক্ষতি করবে।


এই একই জিনিস করোনার ভাইরাস এর ক্ষেত্রে ও হয়ে থাকে। কারন এইটা একটা নতুন ভাইরাস। তাই আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম এর বুঝতে একটু বেশি সময় লাগছে।এ ভাইরাস কে কিভাবে Defend করতে হয়।


এই ভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়তে আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম,শরীরে একটি এন্টিবডি (antibody) তৈরি করবে। এবং এই এন্টিবডি দ্বারা আমাদের শরীর করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারবে। কিন্তু এই এন্টিবডি তৈরি করতে আমাদের শরীর এর সময় লাগছে ৮-১০ দিন।


কিন্তু সব মানুষ এর ইমিউনিটি পাওয়ার এক নয় । তাই কারো ক্ষেত্রে এন্টিবডি তৈরি করতে কম/ বেশি দিন লাগতে পারে।


কিন্তু এই খানে সব থেকে বড় সমস্যা হলো । এতো দিনে করোণা ভাইরাস শরীরের প্রভাব দেখানো শুরু করে দেয়। এবং ইমিউনিটি সিস্টেম কে আরো দূর্বল করে দেয়।
তত দিনে ফুসফুস এ আক্রমন শুরু হয়ে যায়।

এই জন্য যাদের আগে থেকে ডায়বেটিস, ফুসফুস আক্রন্ত রোগী, তাদের ঝুকি বেশি কারন তাদের ইমিউনিটি সিস্টেম বেশি দুর্বল। এবং এ পযর্ন্ত দেখা গেছে যত মানুষ মারা গেছে তাদের বেশির ভাগই ডায়বেটিস, হাপানী রোগী।


বর্তমান সময়ে যেসব করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাদের ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে স্বাভবিক ফুলুতে যে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। যাতে ভাইরাস বাড়তে না পারে। আর ততক্ষন রোগীর শরীর এন্টিবডি তৈরি করার সময় পায়।

আর তাদের ইমিউনিটি সিস্টেম কে স্ট্রং করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। কারন এখন পযর্ন্ত করোনার ভ্যাকসিন এর পরিক্ষা চলছে। ভ্যাকসিন পেতে আরা কিছু দিন সময় লাগতে পারে।



ভ্যাকসিন কি ভাবে আবিষ্বার করে ?



এখন যদি বলেন এই ভ্যাকসিন কি ভাবে তৈরি করে ?

ভ্যাকসিন তৈরি হয় কোন একটি নিদিষ্ট ভাইরাস এর সেম্পল সংগ্রহ করে ।প্রথমে সেই ভাইরাস কে অনেক ছোট একটুরো করে। অথবা বলেতে পারেন সেই ভাইরাস কে Ineffective বানাবে। যাতে কারো শরীরে ওই ভাইরাস প্রবেশ করালে ওই ভাইরাস তেমন মারত্মক প্রভাব না ফেলতে পারে ।

এরপর যাদের ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো,সেই সব লোকেদের শরীরে ইনজেক্ট করা হয়। এখনে, একটা জিনিস বলে রাখি প্রথমে অন্য কোন প্রানীর উপর এ ও এটা পরিক্ষা করা হয়।

এরপর সব ঠিক থাকলে তাদের শরীরে ৮-১০ দিন এর ভিওর ।ওই ভাইরাস প্রোটেক্ট করার জন্য একটি এন্টিবডি তৈরি হয়ে যায়।

তাদের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়ে গেলে । তাদের শরীরের রক্ত সংগ্রহ করে সেই খান থেকে এন্টিবডি নিয়ে গবেষণা কর হয়। আর এই এন্টিবডির উপর ভিত্তি করে গবেষকরা ভ্যাকসিন তৈরি করে থাকে। যতটা সহজ করে বল্লাম ততটা সহজ নয় এটা।

কোন ভ্যাকসিন তৈরি করতে ৪টি আলাদা আলাদা ধাপ থাকে। এই ধাপ গুলো পেরিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হয়। তাই করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে এতো বেশি সময় লাগছে।

মানব ইতিহাসে আজ পযর্ন্ত এমন কোন ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি যা, ১- ১.৫ বছরের ভিওর আবিষ্কার হয়েছে । কিন্তু বর্তমানে করোণার যে পরিস্থিতি, তাতে ভ্যাকসিন যত দ্রুত সম্ভব তৈরির চেষ্টা করছে অনেক গুলো দেশ।


করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে সময় লাগারন কারন:
কোন ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য অনেক গুলো ধাপ পার করতে হয় আর প্রতিটি ধাপে সময় লাগে ৩ মাস এর মতো । প্রথমে, ভাইরাসটি নিয়ে Analyis করবে। তারপর ভাইরাস টিকে আরো ছোট টুকরো করে Neutralize করবে।যাকে বলা হয় এন্টিজেনিক (antigenic)। যা ভাইরাস টির ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেবে। এরপর সেই ভাইরাস কোন প্রানীর শরীরে প্রদান করে।

৮-১০ দিন এর ভিওর যখন সেই প্রানীর শরীরের এন্টিবডি তৈরি হবে। সেই এন্টিবডি নিয়ে অন্য কোন প্রানীর শরীরে প্রদান করা হবে। যদি এই ধাপ সফল ভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে এবার মানব শরীরের প্রদান করা হবে ওই ভাইরাস টি।

এরপর মানব দেহে যখন ওই ভাইরাস এর এন্টিবডি তৈরি হয় । ওই এন্টিবডি আবার অন্য কোন মানব দেহে প্রবেশ করিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হয়। ওই ভাইরাস প্রবেশ করানোর পর মানব শরীরের আর কোন সাইড ইফেক্ট হয় কি না?

অন্য কোন রোগের সাথে ওই এন্টিবডি কি ভাবে রিয়াক্ট করে। অন্য কোন ক্যামিকাল এর সাথে কি ভাবে রিয়েক্ট করে। আরো অনেক কিছু বিশ্লেষণ করা হয়।

এরপর ওই এন্টিবডি থেকেই এন্টিডোর / ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। এরপর ওই ভ্যাকসিন বিভিন্ন বয়সের মানুষ এর উপর পরিক্ষা করে দেখবে, বিভিন্ন দেশের মানুষ এর উপর পরিক্ষা করে দেখবে।

এরপর সবকিছু ঠিক থাকলে ,সেই সব রির্সাচ এর ফাইল জমা দিতে হয় WHO(World Health Orgination) এর কাছে। WHO সব কিছু বিচার বিবেচনা এবং পরিক্ষা করে দেখবে সব ঠিক আছে কি না। ঠিক থাকলে ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার অনুমতি দিবে।


করোনা কি?



২০১৯ সালের ডিসেম্বার এর সময় হঠ্যাৎ করে মধ্য চীনের উহানে ,নিমোনিয়া ভাইরাস এর আক্রমন বাড়তে থাকে । কিন্তু অনেক রির্সাচ করার পর পাওয়া যায় এটা আগের কোন পরিচিত ভাইরাস। যা নাম করন করা হয় নভেল করোনা ভাইরাস।করোনা ভাইরাস ১৯৩০ সালে সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয়। এটা বড় একটা ভাইরাস এর গুচ্ছ। এই ভাইরাসের গঠন গত দিক থেকে মনে হয় ।এটা কোন মুকুট (crown) এর মতো আর crown ল্যাটিন ভাষায় করোনা বলা হয়। এখান থেকেই এর নাম করন।




কোভিড-১৯ (COVID-19) কি?

তাহলে এই কোভিড-১৯ আবার কি? করোণা আর কোভিড-১৯ এর পার্থক্যই কি?
না কোভিড -১৯ আর করোনার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কোভিড-১৯ (covid-19) কো অর্থ কোরনা , ভি এর অর্থ ভাইরাস , ডি এর অর্থ ডিজিজ আর যেহেতু এটা ২০১৯ এ আবিষ্কার হয়েছে তাই এর নাম করন করা হয়: Covid-19 বা করোনা। এই ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করে ,শ্বাসনালীতে সংক্রামন ঘটায়।যার ফলে মানুষের স্বাভাবিক শ্বাস প্রশাস এর ব্যাঘাত ঘটায়। এর ফলে রোগীর মৃত্যুর ঝুকি বাড়ে। বিশেষ করে যাদের শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার দূর্বল তাদের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।

করোনা ভাইরাস এর গঠন?

আগেই বলা হয়েছে করোনা ভাইরাস একটা বড় ভাইরাসের সংগঠিত রুপ। এই ভাইরাস অনেক গুলো অংশ নিয়ে গঠিত।ভাইরাসটির তিনটি প্রধান উপাদান থাকে।

এই ভাইরাসের আছে বিশাল একটা RNA (রাইবো নিউক্লিক এসিড) । যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০-১৬০ Nanometers in Dia meters। এর কাজ হলো কোন জীবন্ত কোষ এ প্রবেশ করে ,ভাইরাস এর বংশ বৃদ্ধিতে সাহয্যে করা। এই সুবিশাল RNA এর কারনেই ভাইরাস এতো দ্রুত মানব দেহে ছড়ায় (প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে)।

দ্বিতীয় উপাদানটি হলো প্রোটিন। এই প্রোটিন অন্য জিবন্ত কোষে আটকে গিয়ে সংক্রামিত করে। এবং কোষের ক্ষতি করে কোষে কে দূর্বল করে দেয়।
করোনা ৫ ধরনের প্রোটিন নিয়ে গঠিত :
১) ‍S Protine(Spike).
২) N Protine (Neucleocapsid)
৩) E Protine (Envelope)
৪) M Protine (Membrane)
৫) HE Protine (Hemaglutine Estersase)

*Spike Protine আর HE Protine হিউম্যান সেলে ভাইরাস প্রবেশ করতে সাহায্যে করে। এই প্রোটিন এর গঠন দেখতে মুকুট (crown)এর মতো হয়।



তৃতীয় উপাদন টি হলো Enveloped particles যা ভাইরাসের অনান্য অংশ গুলো সুসজ্জিত রাখতে সাহায্যে করে।


করোনা ভাইরাস এর ইতিহাস

করোনা ভাইরাসটি প্রথম আবিষ্কার হয় ১৯৩০ সালে। প্রথমদিকে এটি প্রানীর দেহে পাওয়া যায়। মুরগির মধ্যে পাওয়া যায় ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে। এরপর প্রথম বার ২০ এর দশকে মাথা নাড়া দেয়।



২০১৯ সালে প্রথমবার চীনের উহান শহরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত করে। অনেকেই ধারনা করে, এই ভাইরাস টি এতো দশক ধরে প্রানীর দেহ থেকে প্রানীর দেহে ছড়িয়েছে। আর এই প্রানী দেহ থেকেই
মানুষ এর দেহে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। কারন চীনের ওই খাদ্যা অভ্যাসের কারনে।

ধারনা করা যায় বাদুড় থেকেই এই ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করেছে। কারন উহান এর ওই শহরে বাদুড়, খরগোশ,সাপ বিক্রি হতো।

আবার অনেকে মনে করেন, এটা চীন সরকারের একটা চাল মাত্র তারা চেয়েছিল তাদের দেশের গরিব জনগনকে শেষ করে দিতে। তাই তারা কৃত্রিম ভাবে এই ভাইরাস তৈরি করেছে। এরপর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও চীনের বিরুদ্ধে এমন কোন প্রমান এখনো পাওয়া যায় নি।কিন্তু অনেকের কাছে এটা চায়না ভাইরাস নামেও পরিচিত।

২০০৩ সালে এই ভাইরাসটির একটি প্রজাতি পাওয়া যায় SARS-COV । ২০০৪ সালে পাওয়া যায় HCOV-NL63। ২০০৫ সালে পাওয়া যায় HKU1। ২০১২ সালে ভাইরাসটির আর একটি প্রজাতি পাওয়া যায় MERS-COV। ২০১৯ সালে এসে আবার চীনে SARS-COV 2 পাওয়া যায় । যা বর্তমানে নোভেল করোনা নামে পরিচিত।



ভাইরাসের প্রকার ভেদ:
করোনা ভাইরাসের অনেক গলো প্রজাতি আছে। এর ভিওর মাত্র ৭টি প্রজাতি মানব দেহে রোগ সংক্রমণ করতে পারে। করোন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। একটি হলো i) Respiratory
আর একটি হলো 2) Gastrointestinal।

Respiratory এর symptoms সর্দি, হাঁচি-কাশি , নিমোনিয়া । Respiratory এর প্রজাতির মধ্যে আছে 229E(আলফা করোনা ভাইরাস ), NL63 (আলফা করোনা ভাইরাস ),OC43(বিটা করোনা ভাইরাস),HKU1(বিটা করোনা ভাইরাস)

এই চারটি প্রজাতির করোনা ভাইরাস মানবদেহে সর্দি ,কাশি,নিমোনিয়ার উপর্সগ সৃষ্টি করে। ২০০৩ সালে করোনার এক প্রজাতি চীনে ছড়িয়েছিল SARS-COV(Severe acute respiratory Syndrome)। তাছাড় middle east এ ২০১২ সালে করোনার আর এক প্রজাতি MERS-COV(Middle East Respiratory Syndrome)।

আর বর্তমানে চীনে যে প্রজাতি পাওয়া গেছে ওটা হলো SARS-COV2। যা নাম করন করা হয় নোভেল করনা ভাইরাস।

করোনা ভাইরাস কি কি লক্ষণ

করোনা রোগীদের observ করে কিছু common লক্ষন দেখা গেছে। তা হলো
* জ্বর।
*শুষ্ক কাশি।
*অবসাদ।

আরো যে,Symptoms দেখা যায়।
*গলা ব্যাথা।
* শ্বাসকষ্ট।
*মাথা ব্যাথা।
* স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা হারানো।
*অঙ্গ বিকল হওয়া।
*ডায়রিয়া।
* শরীর ব্যাথা করা।
*পায়ের পাতা বর্নহীন হওয়া।
*ত্বকে ফুসকড়ি পরা।


করোনার উপসর্গ এর সাথে সাধারন ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু) এর সাথে অনেকটা মিল পাওয়া যায়। তাই চিকিৎসকে রা প্রথমদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা এর ক্ষেত্রে যে ঔষুধ ব্যবহার করেতে সেই সব ঔষুধ দিয়েই চিকিৎসা চালায়। কিন্তু তেমন কোন ফল পায় নি। এই ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করার পর আক্রমন শুরু করে দেয়। প্রথমদিকে এর উপসর্গ খুব কম দেখা যায়। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।



করোনা ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়:

করোনা ভাইরাস Human 2 HuMan ছড়ায়। Droplet Transmission এর মাধ্যমে করোনার রোগীর হাচি,কাশি, স্পর্শ থেকে ছড়ায়। ভাইরাস এর Transmission ক্ষমতা অনেক বেশি। এই ভাইরাস অনেক তাড়া-তাড়ি মানব দেহে কোষে ঢুকে বংশবৃদ্ধি করে। Multiply হতে পারে। এবং তা হাচি, কাশি এর মাধ্যমে চারদিকে ছড়িয়ে যেতে পারে।


নিজেকে সুস্থ রাখতে করনীয়:

১) প্রথমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারো সাথে যদি কথাও বলতে যান তাহলে অন্তত ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
২) নিজের নাক, মুখ, চোখ বার বার স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩) বাহিরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে।
৪) বাহির থেকে এসে ১০-১৫ সেকেন্ড পযর্ন্ত হাত ধুতে হবে।
৫) অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
৬) শরীরের ভিটামিন ডি বৃদ্ধি করার জন্য । রোদ লাগতে হবে।
৭) বাহির থেকে আনা শাক সবজি গুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৮) শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করার জন্য পরিমান মতো শাক সবজি খেতে হবে।
শাক সবজি বেশি তাপমাত্রায় রান্না করা যাবে না। কারন বেশি তাপমাত্রায় রান্না করা হলে সাক শবজির ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়।

৯) যতটা সম্ভব বাসায় থাকার চেষ্ট করতে হবে।
করোনা হলে করনীয়:

১) গুরুতর অবস্থা হলে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। তা না হলে বাসায় থাকুন।
২) আপনার নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন। হাচিঁ কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যাবহার করুন।
৩) বার বার স্পর্শ করতে হয়। এমন প্রোয়জনীয় বস্তু জীবাণু নাশক দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
৪) নিদিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলুন।
৫) গরম পানি পান করতে পারেন।
যথেষ্ট বিশ্রাম নেন
উষ্ণ থাকেন
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন
গরম পানি দিয়ে গোছল ও গলা ব্যথার জন্য গড়গড়া করেন


ব্লাক ফাঙ্গাস

করোনাভাইরাস: কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে



করোনা রোগীর হাচিঁ-কাশি এর সময় যে, সূক্ষ জলের ফোটা তৈরি হয়। তাকে এরোসল বলা হয়। এর এই এরোসল এর মাধ্যমে ভাইরাসটি Transmission হয়। এখন করোনা ভাইরাস কোথায় কতোক্ষন বেচে থাকে এই নিয়ে ইংল্যান্ড র্জানাল অব মেডিসিন এর প্রতিবেদন থেকে পাওয়া যায়। ভুপৃষ্ঠে ও বাতাসে বেচেঁ থাকার ক্ষমতা রয়েছে ভাইরাসটির।

ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাতাসে তিন ঘন্টা, তামাতে ৪ঘন্টা, কার্ডবোর্ডে ২৪ ঘন্টা ,প্লাষ্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলে ২-৩ দিন জিবত থাকতে পারে ভাইরাসটি। যেহেতু কার্ডবোর্ড ও জামা-কাপড় এর উভয়ের মধ্যেই আর্দ্রতা শোষণকারী আশ বা সুতো থকে।

তাই জমা-কাপড়েও ভাইরাসটি ২৪ ঘন্টা বেচেঁ থাকার ক্ষমতা থাকে। কারন ভাইরাসটির বেচেঁ থাকার জন্য আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়। তাই প্রোয়জনীয় জিনিস গুলো রোদে শুকানো ভালো। এর ফলে ভাইরাসটি দ্রুত শুকিয়ে মারা যায়।

করোনা ভাইরাস কিভাবে পরীক্ষা করা হয়?

করোনা পরিক্ষা করার জন্য নিকটবর্তী কোন হাসপালে যাবেন ,যেখানে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে। হাসপাতাল গুলো করোনা পরিক্ষার জন্য প্রথমে রোগীর নাক ও গলার ভেওর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।
এরপর নমুনা গুলো ঢাকা পাঠায়। ঢাকার গবেষণাগারে নমুনা পরিক্ষা-নীরিক্ষা করতে। আর পরিক্ষার ফল জানতে সময় লাগে কিছু দিন । তাছাড়াও করোনার অফিসিয়াল ওয়েব সাইড থেকেও বিস্তারিত জানতে ও সাহায্য পেতে ভিজিট করুন: https://corona.gov.bd/

করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি

প্লাজমা থেরাপি নতুন কোন চিকিৎসা না। অনেক আগে থেকেই এই ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রায় ১০০ বছর আগে থেকে। এই প্লাজমা থেরাপি কনভালসেন্ট থেরাপি নামেও পরিচিতি। ১৯১৮ এর দিকে স্প্যানিশ ফ্লু এর
এর সময় এর ব্যবহার করা হতো। পরবতৃীতে ১৯৩০ এর দিকে হাম এর চিকিৎসার জন্য এই পদ্ধতি এর ব্যবহার করা হতো। এরপর অনান্য ভাইরাস এর ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার হতো,ইবোলা, সার্স ইত্যাদি।

এখন প্রশ্ন হলো এই প্লাজমা থেরাপি আসলে কি? প্লাজমা হলো মানুষের রক্তের জলীয় অংশ বা রক্ত রস। এটা রক্তের একটা অংশ হলুদাভ রঙের। যারা করোনা ভাইরাস কে মোকাবেলা করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের শরীরে ভাইরাসটি প্রতিরোধ করার জন্য একটি এন্টিবডি বা ওই ভাইরাসটি প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হয়। এবং তাদের শরীর থেকে ওই এন্টিবডি বা প্লাজমা এর সেম্পল বের করে । অনান্য রোগীকে দেওয়া হয়।

একজন এর কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে দুই-তিন জন রোগীকে দেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু হ্যা, সব রোগীর ক্ষেত্রে এই থেরাপী কাজ করে না।


ব্লাক ফাঙ্গাস সম্পর্কে জানতে

0 likes | 1625 views

পিংক হিমালয়ান সল্ট এর ইতিহাস: কেনো এতো বেশি দামী হয়।

লবণ: রন্ধনশিল্পী ব্যবহৃত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সামগ্রিক। যা মূলত সোডিয়াম ক্লোরাইড সমৃদ্ধ (crystalline mineral)। সমুদ্রের লবনাক্ত পানিকে (evaporation)বাষ্পীভবন করে লবন প্রস্তত করা হয় যা: সি সল্ট (sea salt) নামে পরিচিত।

এছাড়া পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলে মাটির নিচে রক (Rock) ফর্মেও লবন পাওয়া যায় যাকে (Rock Salt) বলা হয়। পিংক হিমালয়ান (Pink Himalayan) সল্ট তেমনি একটি রক সল্ট।

পিংক হিমালয়ান সল্ট মূলত এক প্রকার গোলাপি বর্ণের লবন যা হিমালয়ের পাদ দেশে থেকে মাইনিং করে বের করা হয় ।

৯৫% ভাগ সোডিয়াম ক্লোরাইড এর পাশা-পাশি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম থাকায় এই লবনের রং গোলাপি হয়ে থাকে।

তাছাড়া এই লবনে: মানব দেহে থাকা ৮৪টি মিনারেল পাওয়া যায়। যার ফলে সাধারন টেবিল সল্ট এর থেকে পিংক হিমালয়ান সল্টকে বেশি স্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়।প্রতি ১০০ গ্রাম লবনের দাম ৫ ডলার হতে ৮ ডলার পযর্ন্ত হয়ে থাকে। যা সাধারন টেবিল সল্ট এর তুলনায় প্রায় ২০ গুন বেশি দামী।


রন্ধন শিল্প ছাড়াও ,স্পা, বেডিং সল্ট এমনকি শোপিস হিসেবে হিমালয়ান সল্ট ব্যবহার হয়ে থাকে। যার দরুন 2025 সালের মধ্যে পিংকি হিমালয়ান সল্ট এর ভ্যালু গ্লোবাল মার্কেটে ১৩ মিলিয়ন ডলার হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

পিংক হিমালয়ান সল্ট এর ইতিহাস:

পৃথিবীতে প্রধানত তিন ধরনের লবণ পাওয়া যায়। সমুদ্রের একেবারে তলদেশে ডিপ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি বের করে তা পিউরিফাইং প্লান্টের রিফাইন করে টেবিল সল্ট প্রস্তুত করা হয়। এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সমুদ্রের পানিকে (evaporation) বাষ্পীভবন মাধ্যমে সি সল্ট প্রস্তুত করা হয়।

কিন্তু দুই প্রক্রিয়াতে ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস এর কারণে বেশ কিছু প্রাকৃতিক মিনারেল হারিয়ে যায়। অন্যদিকে রক সল্ট মূলত কয়েক হাজার বছর আগে শুকিয়ে যাওয়া সমুদ্রের পানি যা লম্বা সময় ধরে ভৌগোলিক পরিবর্তনের ফলে মাটির গভীরে চাপা পড়ে যাওয়ার রক ফর্ম ধারণ করে।

বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলের মাটির হাজারো ফিট গভীরে রক সল্ট পাওয়া যায়।পরবর্তীতে এ ধরনের লবণকে মাইনিং এর মাধ্যমে উত্তোলন এবং প্রক্রিয়াজাত করে খাবার উপযোগী করা হয়। সব রক সল্টই মূলত সি সল্ট।

কিংবদন্তি অনুসারে আলেকজান্ডার দি গ্রেট এশিয়া জয় করার লক্ষ্যে পাকিস্তান পৌছান। পাকিস্তানের খেওয়ারতে (khewra) যাত্রা বিরতি কালে তার ঘোড়া গুলো আশপাশে থাকা গোলাপি রঙের পাথর চাটতে শুরু করে।

প্রাণী হিসেবে ঘোড়া লবণ খুবই পছন্দ করে বিধায় সৈনিকরা পাথরগুলোকে পরীক্ষা করে সেগুলোতে লবণের সন্ধান পায়।


১২০০ শতাব্দীর দিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জানজুয়া গোত্রের লোকেরা প্রথমেই লবণের মাইনিং শুরু করে। মূলত পাকিস্তানের হিমালয়া পথহর মালভূমির দক্ষিণ প্রান্তে প্রায় 300 কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বৃস্তিত সল্ট রেঞ্জ এর 6 টি খনি থেকে লবণ মাইনিং করা হয়।

যদিও ক্যানাডার সিফটো সল্ট মাইন (Sifto Salt Mine) পৃথিবীর সবচাইতে বড় সল্ট মাইন। যা ১৮০০ ফিট গভীর যা একশো ১৫০ তলা ভবনের সমান। তবে পাকিস্তানের খেওড়া সল্ট মাইন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সল্ট মাইন হলেও।পিংক হিমালায়ান সল্ট মাইনের দিক থেকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সল্ট মাইন।

মাইনটি প্রায় ৭৪৮ ফিট গভীর যা একটি ১১ তলা বিল্ডিং এর সমান। মাইনটিতে প্রায় ৬.৭ বিলয়ন টন রক সল্ট আছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পিংক রক সল্ট প্রস্তত কারক হয়েও পাকিস্তানের অবস্থান : ২০তম যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারত ৭তম অবস্থানে রয়েছে। কারন পাকিস্তান মাইনিং থেকে প্রাপ্ত রক সল্ট গুলো খাবার উপযোগী না করেই রক ফর্মেই রপ্তানী করে থাকে।

পিংক হিমালয়ান সল্ট কেন দামী?

বাংলাদেশের সাধারন খাবার লবণ কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ।সেখানে মাত্র ১০০ গ্রাম হিমালয়ান পিংক সল্ট এর দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

যা কেজি হিসেবে দুই হাজার থেকে ২৫ শো টাকা। অন্যদিকে বিজনেস ইনসাইডারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী। প্রতি ১০০ গ্রাম হিমালয়ান সল্ট এর দাম ৫ থেকে ৮ ডলার অর্থাৎ ১ কেজি লবণের দাম ব্র্যান্ডভেদে ৫০ থেকে ৮০ ডলার হয়ে থাকে। কিন্তু কেন পিংক হিমালয়ান সল্ট এর দাম এত বেশি?

দুষ্প্রাপ্যতা:

পিংক হিমালয়ান সল্ট এর উচ্চমূল্যের: কারণগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে খনির দুষ্প্রাপ্যতার। কেননা পিংক হিমালয়ান সল্ট এর খনিগুলো শুধুমাত্র পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অবস্থিত। এই খনি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়: খেওরা সল্ট মাইন। প্রতি বছর প্রায় 4 লক্ষ টন লবণ উৎপাদন করে থাকে।

মাইনিং এর সমস্যার কারনে:

পাকিস্তানের সল্ট রেঞ্চ এর খনি থেকে মাইনিং এর মাধ্যমে পিংক সল্ট উত্তোলন করা হয়। উত্তোলনের ক্ষেত্রে উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় না বিধায় পিংক সল্ট মাইনিং বেস লেবার ইনটেনসিভ একটি কাজ।

খনি উত্তোলন এর কাজে চেম্বার এন্ড পিলার মেথড (Chamber & Pillar Method) ব্যবহার করা হয়।.
এই প্রসেসটি বেশ রিস্কি এবং সময় সাপেক্ষ হয় বিধায় পিংক সল্ট বেশ এক্সপেন্সিভ।




ডিমান্ড বেশি থাকায়:

হিমালায়ান সল্ট মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় ফসফরাস, ব্রোমিন, বরন এবং জিংক এর মতো ৮৪টি মিনারেল রয়েছে। বিভিন্ন মিনারেল এর উপস্থিতির কারণে রোগ নিরাময়ে এই লবন বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।তাছাড়ও ভোজনরসিকদের দাবি লবণের ব্যবহারে খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ে।

এছাড়া এ্যাজমা রোগীদের (Breathing) সুবিধার্থে পিংক সল্ট রক দিয়ে তৈরি ল্যান্ড হোল্ডার সহ বিভিন্ন শোপিস অনেক চাহিদা রয়েছে। এর পাশাপাশি স্পা থেকে শুরু পারর্সোনাল কেয়ার ও বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিতে এর ব্যবহার রয়েছে।

এই সল্ট এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু খনির সল্পতা এবং অনুন্নত মাইনিং এর ফলে হিমালয়ান সল্ট এর প্রোডাকশন সিমীত হয়ে থাকে।যেহেতু এটি একটি প্রাকৃতিক খনিজ তাই চাইলেও এর প্রোডাকশন বাড়ানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা ।


প্রোসেসিং মেথড:

পাকিস্তান মূলত পিংক হিমালয়ান সল্টের রক ফর্ম প্রসেসিং বিভিন্ন দেশের স্বল্পমুল্যের রপ্তানি করে থাকে। সেই রক সল্টকে প্রসেসিং এর মাধ্যমে খাবার উপযোগী লবণের রূপান্তরিত করা হয়।

রক সল্টে থাকা মেটাল, ম্যাগনেটিক কন্টামিনিশন, প্লান্ট ম্যাটার ও ফাইবার এর মতো ক্ষতিকর ম্যাটেরিয়াল রিমুভ করতে যে সকল মেথড ব্যবহার করা হয় তা খুবই ব্যয়বহুল।

প্রসেস হওয়া লবনটি পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পুনরায় রপ্তানি করা হয় যার ফলে: হিমালায়ান সল্ট এর মূল্য আরো বেড়ে যায় ।

পাকিস্তান বিভিন্ন দেশের রক সল্ট স্বল্পমূল্যের রপ্তানি করার ফলে। বিশ্বের সবচাইতে বড় পিংক সল্ট এর প্রস্তুতকারক হয়েও রপ্তানিকারক পাকিস্তান, ভারত ও চায়না থেকেও অনেক বেশি পিছিয়ে.

কেননা পাকিস্তানে রকসল্ট প্রসেসিং করার মতো নিজস্ব কোন ফ্যাসিলিটি নেই। যেখানে মাত্র ১০০ গ্রাম পিংকি সল্ট এর দাম ৫ থেকে ৮ ডলার সেখানে পাকিস্তান ভারতের কাছে প্রতি টন মাত্র চল্লিশ ডলার এর বিনিময়ে রপ্তানি করে।


মাইক্রো ব্লগ বিডি



0 likes | 1651 views

পিংক হিমালয়ান সল্ট এর ইতিহাস। কেন এতো দামী

লবণ: রন্ধনশিল্পী ব্যবহৃত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সামগ্রিক। যা মূলত সোডিয়াম ক্লোরাইড সমৃদ্ধ (crystalline mineral)। সমুদ্রের লবনাক্ত পানিকে (evaporation)বাষ্পীভবন করে লবন প্রস্তত করা হয় যা: সি সল্ট (sea salt) নামে পরিচিত।

এছাড়া পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলে মাটির নিচে রক (Rock) ফর্মেও লবন পাওয়া যায় যাকে (Rock Salt) বলা হয়। পিংক হিমালয়ান (Pink Himalayan) সল্ট তেমনি একটি রক সল্ট।

পিংক হিমালয়ান সল্ট মূলত এক প্রকার গোলাপি বর্ণের লবন যা হিমালয়ের পাদ দেশে থেকে মাইনিং করে বের করা হয় ।

৯৫% ভাগ সোডিয়াম ক্লোরাইড এর পাশা-পাশি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম থাকায় এই লবনের রং গোলাপি হয়ে থাকে।

তাছাড়া এই লবনে: মানব দেহে থাকা ৮৪টি মিনারেল পাওয়া যায়। যার ফলে সাধারন টেবিল সল্ট এর থেকে পিংক হিমালয়ান সল্টকে বেশি স্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়।প্রতি ১০০ গ্রাম লবনের দাম ৫ ডলার হতে ৮ ডলার পযর্ন্ত হয়ে থাকে। যা সাধারন টেবিল সল্ট এর তুলনায় প্রায় ২০ গুন বেশি দামী।


রন্ধন শিল্প ছাড়াও ,স্পা, বেডিং সল্ট এমনকি শোপিস হিসেবে হিমালয়ান সল্ট ব্যবহার হয়ে থাকে। যার দরুন 2025 সালের মধ্যে পিংকি হিমালয়ান সল্ট এর ভ্যালু গ্লোবাল মার্কেটে ১৩ মিলিয়ন ডলার হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

পিংক হিমালয়ান সল্ট এর ইতিহাস:

পৃথিবীতে প্রধানত তিন ধরনের লবণ পাওয়া যায়। সমুদ্রের একেবারে তলদেশে ডিপ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি বের করে তা পিউরিফাইং প্লান্টের রিফাইন করে টেবিল সল্ট প্রস্তুত করা হয়। এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সমুদ্রের পানিকে (evaporation) বাষ্পীভবন মাধ্যমে সি সল্ট প্রস্তুত করা হয়।

কিন্তু দুই প্রক্রিয়াতে ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস এর কারণে বেশ কিছু প্রাকৃতিক মিনারেল হারিয়ে যায়। অন্যদিকে রক সল্ট মূলত কয়েক হাজার বছর আগে শুকিয়ে যাওয়া সমুদ্রের পানি যা লম্বা সময় ধরে ভৌগোলিক পরিবর্তনের ফলে মাটির গভীরে চাপা পড়ে যাওয়ার রক ফর্ম ধারণ করে।

বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলের মাটির হাজারো ফিট গভীরে রক সল্ট পাওয়া যায়।পরবর্তীতে এ ধরনের লবণকে মাইনিং এর মাধ্যমে উত্তোলন এবং প্রক্রিয়াজাত করে খাবার উপযোগী করা হয়। সব রক সল্টই মূলত সি সল্ট।

কিংবদন্তি অনুসারে আলেকজান্ডার দি গ্রেট এশিয়া জয় করার লক্ষ্যে পাকিস্তান পৌছান। পাকিস্তানের খেওয়ারতে (khewra) যাত্রা বিরতি কালে তার ঘোড়া গুলো আশপাশে থাকা গোলাপি রঙের পাথর চাটতে শুরু করে।

প্রাণী হিসেবে ঘোড়া লবণ খুবই পছন্দ করে বিধায় সৈনিকরা পাথরগুলোকে পরীক্ষা করে সেগুলোতে লবণের সন্ধান পায়।


১২০০ শতাব্দীর দিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জানজুয়া গোত্রের লোকেরা প্রথমেই লবণের মাইনিং শুরু করে। মূলত পাকিস্তানের হিমালয়া পথহর মালভূমির দক্ষিণ প্রান্তে প্রায় 300 কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বৃস্তিত সল্ট রেঞ্জ এর 6 টি খনি থেকে লবণ মাইনিং করা হয়।

যদিও ক্যানাডার সিফটো সল্ট মাইন (Sifto Salt Mine) পৃথিবীর সবচাইতে বড় সল্ট মাইন। যা ১৮০০ ফিট গভীর যা একশো ১৫০ তলা ভবনের সমান। তবে পাকিস্তানের খেওড়া সল্ট মাইন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সল্ট মাইন হলেও।পিংক হিমালায়ান সল্ট মাইনের দিক থেকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সল্ট মাইন।

মাইনটি প্রায় ৭৪৮ ফিট গভীর যা একটি ১১ তলা বিল্ডিং এর সমান। মাইনটিতে প্রায় ৬.৭ বিলয়ন টন রক সল্ট আছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পিংক রক সল্ট প্রস্তত কারক হয়েও পাকিস্তানের অবস্থান : ২০তম যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারত ৭তম অবস্থানে রয়েছে। কারন পাকিস্তান মাইনিং থেকে প্রাপ্ত রক সল্ট গুলো খাবার উপযোগী না করেই রক ফর্মেই রপ্তানী করে থাকে।

পিংক হিমালয়ান সল্ট কেন দামী?

বাংলাদেশের সাধারন খাবার লবণ কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ।সেখানে মাত্র ১০০ গ্রাম হিমালয়ান পিংক সল্ট এর দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

যা কেজি হিসেবে দুই হাজার থেকে ২৫ শো টাকা। অন্যদিকে বিজনেস ইনসাইডারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী। প্রতি ১০০ গ্রাম হিমালয়ান সল্ট এর দাম ৫ থেকে ৮ ডলার অর্থাৎ ১ কেজি লবণের দাম ব্র্যান্ডভেদে ৫০ থেকে ৮০ ডলার হয়ে থাকে। কিন্তু কেন পিংক হিমালয়ান সল্ট এর দাম এত বেশি?

দুষ্প্রাপ্যতা:

পিংক হিমালয়ান সল্ট এর উচ্চমূল্যের: কারণগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে খনির দুষ্প্রাপ্যতার। কেননা পিংক হিমালয়ান সল্ট এর খনিগুলো শুধুমাত্র পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অবস্থিত। এই খনি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়: খেওরা সল্ট মাইন। প্রতি বছর প্রায় 4 লক্ষ টন লবণ উৎপাদন করে থাকে।

মাইনিং এর সমস্যার কারনে:

পাকিস্তানের সল্ট রেঞ্চ এর খনি থেকে মাইনিং এর মাধ্যমে পিংক সল্ট উত্তোলন করা হয়। উত্তোলনের ক্ষেত্রে উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় না বিধায় পিংক সল্ট মাইনিং বেস লেবার ইনটেনসিভ একটি কাজ।

খনি উত্তোলন এর কাজে চেম্বার এন্ড পিলার মেথড (Chamber & Pillar Method) ব্যবহার করা হয়।.
এই প্রসেসটি বেশ রিস্কি এবং সময় সাপেক্ষ হয় বিধায় পিংক সল্ট বেশ এক্সপেন্সিভ।




ডিমান্ড বেশি থাকায়:

হিমালায়ান সল্ট মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় ফসফরাস, ব্রোমিন, বরন এবং জিংক এর মতো ৮৪টি মিনারেল রয়েছে। বিভিন্ন মিনারেল এর উপস্থিতির কারণে রোগ নিরাময়ে এই লবন বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।তাছাড়ও ভোজনরসিকদের দাবি লবণের ব্যবহারে খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ে।

এছাড়া এ্যাজমা রোগীদের (Breathing) সুবিধার্থে পিংক সল্ট রক দিয়ে তৈরি ল্যান্ড হোল্ডার সহ বিভিন্ন শোপিস অনেক চাহিদা রয়েছে। এর পাশাপাশি স্পা থেকে শুরু পারর্সোনাল কেয়ার ও বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিতে এর ব্যবহার রয়েছে।

এই সল্ট এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু খনির সল্পতা এবং অনুন্নত মাইনিং এর ফলে হিমালয়ান সল্ট এর প্রোডাকশন সিমীত হয়ে থাকে।যেহেতু এটি একটি প্রাকৃতিক খনিজ তাই চাইলেও এর প্রোডাকশন বাড়ানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা ।


প্রোসেসিং মেথড:

পাকিস্তান মূলত পিংক হিমালয়ান সল্টের রক ফর্ম প্রসেসিং বিভিন্ন দেশের স্বল্পমুল্যের রপ্তানি করে থাকে। সেই রক সল্টকে প্রসেসিং এর মাধ্যমে খাবার উপযোগী লবণের রূপান্তরিত করা হয়।

রক সল্টে থাকা মেটাল, ম্যাগনেটিক কন্টামিনিশন, প্লান্ট ম্যাটার ও ফাইবার এর মতো ক্ষতিকর ম্যাটেরিয়াল রিমুভ করতে যে সকল মেথড ব্যবহার করা হয় তা খুবই ব্যয়বহুল।

প্রসেস হওয়া লবনটি পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পুনরায় রপ্তানি করা হয় যার ফলে: হিমালায়ান সল্ট এর মূল্য আরো বেড়ে যায় ।

পাকিস্তান বিভিন্ন দেশের রক সল্ট স্বল্পমূল্যের রপ্তানি করার ফলে। বিশ্বের সবচাইতে বড় পিংক সল্ট এর প্রস্তুতকারক হয়েও রপ্তানিকারক পাকিস্তান, ভারত ও চায়না থেকেও অনেক বেশি পিছিয়ে.

কেননা পাকিস্তানে রকসল্ট প্রসেসিং করার মতো নিজস্ব কোন ফ্যাসিলিটি নেই। যেখানে মাত্র ১০০ গ্রাম পিংকি সল্ট এর দাম ৫ থেকে ৮ ডলার সেখানে পাকিস্তান ভারতের কাছে প্রতি টন মাত্র চল্লিশ ডলার এর বিনিময়ে রপ্তানি করে।


মাইক্রো ব্লগ বিডি



1 likes | 1919 views

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ১০টি বই

    উদ্যোক্তাদের জন্য ১০টি বই

  1. জিরো টু ওয়ান.
  2. রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড.
  3. হাউ টু উইন ফ্রেন্ড্র এন্ড ইনফুলেন্স পিপল.
  4. স্টার্ট উইথ হোয়াই.
  5. দ্যা সেভেন ডে স্টার্টআপ.
  6. দ্যা লিন স্টার্টআপ.
  7. দ্যা সেভেন হেবিট অফ হাইল ইফেক্টটিভ পিপল.
  8. গুড টু গ্রেড.
  9. দ্যা টিপিং পয়েন্ট .
  10. থিংক এবং গ্রো রিচ.

জিরো টু ওয়ান (Zero to One)
এন্টারপ্রেনার-শীপ(Entrepreneur-Ship) নিয়ে লেখা বইয়ের, কথা বলতে গেলে, সবার আগে চলে আসে 2014 সালে, প্রকাশিত।

আমেরিকান এন্টারপ্রেনার এবং ইনভেস্টর পিটার থিল (Peter Thiel) এবং ব্লেইক মাস্টার্স (Blake Master`s) এর লেখা । জিরো টু ওয়ান (Zero to One) বইটি।

একজন এন্টারপ্রেনার কিভাবে ক্রিয়েটিভ থিংককিং (Creative Thinking) এবং ইনোভেশন (Innovation) এর মাধ্যমে, যেকোন আইডিয়াকে নতুন ভাবে উপস্থাপন করে।

তা বাস্তবায়ন এর উপায় খুজবে এবং এর পাশাপাশি নিজের স্টার্টআপ (Start-up) এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সবসময় ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারবে। বইটিতে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।

বইটি পড়ে একজন উদ্যোক্তা কিভাবে ইউনিক আইডিয়া জেনারেট করে এবং তা থেকে স্টার্টআপ এর ফিউচার প্রগ্রেস নিশ্চিত করে,মনোপলি ক্রিয়েট (Monopoly Create) করতে হয় তা জানতে পারবে ।

এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে স্টার্টআপটি বিজনেস ওর্য়াল্ডে কি ধরনের ফুটপৃন্ট রাখতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোক্তার কনসেপ্টে ক্লিয়ার করতে সাহায্য করবে।

সর্বমোট একজন উদ্যোক্তার জানার আগ্রহকে বাড়ানোর পাশাপাশি যে কোনো স্টার্টআপ এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

বিষয় গুলো যেমন: সেলস স্ট্র্যাটেজি ,মার্কেটিং এবং বিজনেস প্ল্যান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।

রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড (Rich Dad, Poor Dad]
রবার্ট কিয়োসাকি (Robert Kiyosaki) এর রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড (Rich Dad, Poor Dad) বইটি ১৯৯৭ সালে,প্রকাশিত হয়।

বইটিতে এন্টারপ্রেনার দের, Financial Literacy (ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি) বা আর্থিক সাক্ষরতা , Financial Independence (ফিন্যান্সিয়াল ইন্ডিপেনডেন্টসি) বা আথির্ক নিভর্রতার পাশাপাশি ইনভেস্টিং (Investing) বিষয়েও উৎসাহিত করা হয়েছে।

বইটি মূলত রবার্ট কিয়োসাকির জিবনের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। বইটিতে একজন ধনী , আর একজন মিডেল ক্লাস পিতার মধ্যেকার চিন্তা-ভাবনার পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে।

কিয়োসাকির মতে, বিত্তবানরা ,তাদের সন্তানকে ট্রাডিশনাল শিক্ষার পাশাপাশি , ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি এবং ইন্ডিপেনডেন্টস দেওয়ার মাধ্যমে ইনভেস্টমেন্ট স্কিল ডেভলপ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।

অন্যদিকে, মধ্যেবিত্ত পরিবারের বাবারা তাদের সন্তানের ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটির জন্য,ট্রাডিশনাল স্ট্যাডি শেষে জব করাটাকে বেশি প্রাধান্য দেয়।

কেননা তারা এন্টারপ্রেনার হওয়ার রিস্ক নিতে চায় না।

ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে ,বিভিন্ন ধারা মানুষের চিন্তা ভাবনার এই পার্থক্যেকেই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

এন্টারপ্রেনারশীপে আগ্রহী মানুষের জন্য বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ন।কেননা বইটি পড়ার পর একজন উদ্যোক্তার ইনার-এন্টারপ্রেনার সেলফ কে রিস্ক নিতে উদ্বদ্ধ করবে।

(হাউ টু উইন ফ্রেন্ড্র এন্ড ইনফুলেন্স পিপল) How to Win Friends and Influence People


আমেরিকার বিখ্যাত লেখক ডেল কানের্গি (Dale Carnegie) এর বই (হাউ টু উইন ফ্রেন্ড্র এন্ড ইনফুলেন্স পিপল) How to Win Friends and Influence People. বইটি ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় ।

যা একটি ক্লাসিক সেলফ ডেভলপমেন্ট বই এবং লাইফের ম্যানুয়াল হিসাবে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।

বইটিতে, একজন ব্যক্তি কিভাবে তার কমিউনিকেশন স্কিল ইমপ্রুভ করার মাধ্যমে, প্রফেশনাল রিলেশনশীপ বজায় রাখার পাশা-পাশি ।

নিজের মধ্যে লিডারশীপ কোয়ালিটি বিল্ড-আপ করবে এবং পজিটিভ বিহেভিয়ার এর মাধ্যমে অন্য কাউকে ইনফ্লুয়েন্স করবে সেই সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।

একজন এন্টারপ্রেণার কে যোগ্য লিডার হয়ে ওঠার জন্য অন্যদের বেষ্ট পটেনশিয়াল(Potential) বের করে আনতে, তাদের ইনফ্লুয়েন্স(Influence) করতে হয়,

তা কি করে সম্ভব তারই ধারনা দিয়েছে কার্নেগি।

একজন এন্টারপ্রেণার এর লিডারশীপ গুনাবলি বিকাশে তার ইনফ্লূয়েন্স করার দক্ষতাকে ইনপ্রুভ করতে , এই বইটি খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

আপনি যদি, আপনার মধ্যে লিডারশীপ কোয়ালিটি ,তৈরি করে মানুষকে ইনফ্লুয়েন্স করতে চান, তাহলে আপনাকে এই বইটি অনেক সাহায্যে করবে।

সেরা ১০টি বই: বিস্তারিত জানতে

0 likes | 1628 views

প্রসেসর এর কোর কী কতো প্রকার । কিভাবে কাজ করে



যখন, আপনার নতুন কম্পিউটার অথবা মোবাইল কিনতে, যাই ।তখন সর্বপ্রথম আমার , ফিচারগুলোর উপর বেশি নজর দেই।

কম্পিউটার বা মোবাইল এর সব থেকে বড় ফিচার হলো:  ওইটার প্রসেসর। কোন কম্পিউটার বা মোবাইল এর স্পিড বা টাস্ক পুরো করার ক্ষমতা নির্ভর করে তার প্রসেসর এর উপর। 

 

প্রসেসর কে, কম্পিউটার/ মোবাইল এর ব্রেন বলা হয়ে থাকে । কারন, প্রসেসর কম্পিউটার এর যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে থাকে। 

 

একটি কম্পিউটার এর, পারফরমেন্স কেমন হবে ,তার পুরোটাই নির্ভর করে, প্রসেসর এর কোর এর উপর। প্রসেসর এর কোর (Processor Core) যত বেশি হবে, কম্পিউটার কার্যক্ষমতা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।



প্রসেসর   কি?

 

>প্রসেসর কম্পিউটার এর, সব থেকে গুরুত্বপূর্ন  অংশ । কারনটা হলো, কম্পিউটার এর ভিওর সংঘটিত হওয়া কার্যক্রম গুলোর সব খরব গুলো প্রসেসর  এর কাছে থাকে। প্রসেসর এক, সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ ক্যালকুলেশন সম্পন্ন করতে পারে। 

 

প্রসেসর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার  এর ভিওর সংঘটিত ইন্টারপ্রেটশন কে, বুঝে আমাদের সামনে আউট পুট প্রদান করে।প্রসেসর কে, সিপিউ ও বলা হয়ে থাকে। প্রসেসর , কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, ট্যাবলেট ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

একটি প্রসেসর কতটা দ্রুত কাজ করে, ওইটি পরিমাপ করা হয় , গিগাহার্জ হিসাবে।

 

কোর কি?

 

প্রসেসর হলো কম্পিউটার এর ব্রেণ , আর কোর হলো সেই প্রসেসর এর ভিওরের আর  একটি অংশ,  কোর প্রসেসর এর অংশ হলেও  , আলাদা  ভাবে একই কাজ করে থাকে ।

বলতে, পারেন কোর বলতে ,  একটি প্রসেসর এর ভিওর  আর একটি ফিজিক্যাল সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট। 

সিংগেল কোর প্রসেসর এ শুধু মাত্র একটাই , ফিজিক্যাল প্রসেসিং ইউনিট থাকে।  আবার ধরুন, ডুয়েল কোর প্রসেসর এর ভিওর. দুটি আলাদা আলাদা  ফিজিক্যাল সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট থাকে। যার ফলে কাজে স্পিড কে দ্বিগুন করে দেয়। 

 

কোর এর সংখ্যার উপর, নির্ভর করে একটি প্রসেসর কতো গুলো কাজ করার ক্ষমতা রাখে।  কোর হলো, সিপিউ এর একটি কম্পিউটেশনাল ইউনিট। যা, ALU (Arithmetic Logic Unit) এর সাহায্যে,  কোন পার্টিকুলার অপারেশন এর জন্য ইন্সট্রাকশন কে  পড়ে থাকে।

 

কোন সিপিউ এ যদি, মাত্র ১টি কোর থাকে, এর মানে হলো সিপিউতে, একটিই মাত্র প্রসেসর ইউনিট আছে। 

আর এর সাহায্যে মাল্টিপল কাজ গুলো একসাথে করা সম্ভব নয়।  ধরুন, আপনি আপনার কম্পিউটার এর সাহয্যে,   গান শুনতে চান, সাথে গেম খেলতে চান, এবং ডাউনলোডও করতে চান।

 

ত্যাদি কাজ গুলো একসাথে করতে চাইলে, একটি সিংগেল কোর প্রসেসর এর পক্ষে, সব গুলো প্রোগ্রাম প্রসেস করা অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার বলতে পারেন।

 

এতো গুলো কাজ এক সাথে করলে , হ্যাং হওয়ার সম্ভবনা আছে।এই জন্যই ,কম্পিউটার এর পারফরমেন্স বৃদ্ধি করার জন্য, প্রসেসর এর এক এর অধিক কোর ব্যবহার করা হয়।



এক এর অধিক কোর যুক্ত প্রসেসর,  অনেক গুলো প্রসেস   একই সাথে অনেক দ্রুতার সাথে সম্পন্ন করতে পারে  ।

 

যার ফলে কম্পিউটার এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। একের অধিক, কোর যুক্ত প্রসেসর কে, (Multicore Processor) মাল্টিকোর প্রসেসর বলা হয়ে থাকে।

 

কম্পিউটার আবিষ্কার এর, শুরু দিকে (৯০ দশক ) সিংগেল কোর প্রসেসর ব্যবহার করা হতো। যার ফলে, সেই সময়ের কম্পিউটার এর কার্যক্ষমতা অনেক কম ছিলো। তখন একটি সময়ে মাত্র ,একটি পার্টিকুলার কাজ করা সম্ভব ছিলো। 

 

কিন্তু বর্তমানে, মাল্টিকোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়।  মাল্টিকোর প্রসেসর এর সাহায্যে , একটি প্রসেসর একই সাথে মাল্টিপল প্রসেস সম্পন্ন করতে পারে। যার ফলে ,কম্পিউটার অনেক ফার্স্ট হয়।





কোর প্রকারভেদ:

 

কোর অনেক প্রকার এর হয়ে থাকে, প্রসেসর এর ক্যাপাসিটি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কোর হয়ে থাকে। 

*সিংগেল কোর -  মাত্র একটি সিপিউ ইউনিট ব্যবাহার করা হয়।

*ডুয়েল কোর-  দুটি সিপিউ ইউনিট ব্যবহার করা হয়।

*কোয়াড কোর- চারটি সিপিউ ইউনিট ব্যবহার করা হয়।

*হেক্সা কোর - ছয়টি সিপিউ ইউনিট ব্যবহার করা হয়।

*অক্টা কোর-  আটটি সিপিউ  ইউনিট ব্যবহার করা হয়।

*ডেকা কোর- দশটি সিপিউ ইউনিট ব্যবহার করা হয়।

 

চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই:

 

সিংগেল কোর প্রসেসর:

 

সিংগেল কোর প্রসেসর , সব থেকে পুরানো প্রসেসর  বলতে পারেন, ৯০ এর দশকে এটি ব্যবহার করা হতো। সিংগেল কোর প্রসেসর কে, বেসিক প্রসেসর ও বলা হয়ে থাকে।

 

সিংগেল কোর প্রসেসর,  একবারে শুধু মাত্র ,একটাই কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তাই এই প্রসেসর এর সাহায্যে মাল্টি-টাস্ককিং করা অনেক কষ্টকর ছিলো।

 

এই প্রসেসর এর সাহায্যে, একই সময়ে, একাধিক এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হলে, সিস্টেম স্লো / হ্যাং হয়ে যেত। একটি প্রসেস, সম্পূর্ন হওয়ার পরেই আর একটি প্রসেস ,শুরু করা যেত।

 

ডুয়েল কোর প্রসেসর:

 

>ডুয়েল কোর প্রসেসর হলো, একটি প্রসেসর যার ভিওর দুইট কোর (Core) ব্যবহার করা হয়। বলতে,পারেন একটি সিংগেল প্রসেসর এর ভিওর দুইটি ( সিপিউ ইউনিট) ব্যবহার করা হয়।

ডুয়েল কোর প্রসেসর, এর সাহায্যে মাল্টি-টাস্ককিং অনেক সহজেই করা সম্ভব।

 

ডুয়েল কোর প্রসেসর ,এর সাহায্যে কম্পিউটার এর প্রসেস টাস্ক গুলো দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এবং ওই টাস্কগুলো প্রসেসর এর , দুটি কোর আলাদা আলাদা ভাবে ,সম্পূর্ন করে থাকে।

এই Dual Core Processor ২০০৫ এর দিকে কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো।  সেই সময়ের দিক থেকে , এর পারফরমেন্স অনেকটা ভালো ছিলো ।

 

কিন্তু বর্তমানের , Heavy task গুলো, এই প্রসেসর এর মাধ্যমে প্রসেস করা অনেকষ্টকর।  Core i3 প্রসেসর ,এ এটি  ব্যবহার করা হয়।

 

কোয়াড কোর প্রসেসর:

 

>কোয়াড কোর প্রসেসর একটি মাল্টি প্রসেসর আর্কিটেকচার। এই প্রসেসর টি ডিজাইন করা হয়েছে, অনেক দ্রুত প্রসেস সম্পন্ন করার জন্য। 

 

এই প্রসেসর এ ব্যবহার করা হয়েছে, ৪টি কোর অর্থ্যাৎ এইপ্রসেসর এর ভিওর আছে , ৪টি সিপিউ ইউনিট। 

 

বলতে পারেন, ডুয়েল কোর প্রসেসর   এর দ্বিগুন সিপিউ ইউনিট । তাই এর কার্যক্ষমতাও ডুয়েল কোর প্রসেসর এর থেকে দ্বিগুন হয়ে থাকে।

যেহেতু, এই কোয়াড কোর প্রসেস এর ৪টি কোর ব্যবহার করা হয়। তাই কোন প্রসেস কে, চারটি ভাগে ভাগ করে, অনেক দ্রুত সম্পন্ন করতে পারে। 

 

অথবা, প্রতিটি কোর  কোন আলাদা আলাদা ইন্সট্রাকশনকে প্রসেস করতে পারে।  তো বলতে, পারেন এই প্রসেসর  এর সাহায্যে মাল্টি-টাস্ককিং সম্ভব।

এই প্রসেসর ব্যবহার করা হতো ২০০৯ এর দিকে।  বর্তমানের, Core i5 এর প্রসেসর এ , এটি ব্যবহার করা হয়। 

 

হেক্সাকোর প্রসেসর:

>হেক্সাকোর  আর একটি মাল্টি কোর প্রসেসর (Multi core processor) । এই প্রসেসর এ ৬টি কোর বা সিপিউ ইউনিট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 

যেহেতু,  এই প্রসেসর এ, ৬টি কোর ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাই  এই প্রসেসর টি, ডুয়েল কোর এবং কোয়াড কোর প্রসেসর এর থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। 

 

এই প্রসেসর টি ব্যবহার করা হতো ২০১০ এর দিক এর দিয়ে।  বর্তমান Core i7 এর প্রসেসর গুলোতে  এটি   ব্যবহার হয় ।মাল্টি-টাস্কিং এর জন্য অনেক ভালো একটি অপশন ।

 

অক্টাকোর প্রসেসর:

 

>অক্টাকোর প্রসেসর আর একটি জনপ্রিয় প্রসেসর।  অক্টাকোর প্রসেসর এ ৮টি কোর বা সিপিউ ইউনিট ব্যবহার করা হয়। 

 মাইক্রো ব্লগ

বুঝতেই পারছেন, ৮টি কোর ব্যবহার করা হয়। তাই এর স্পিডও অনেক বেশি হয়। এই প্রসেসর অনেক দ্রুত মাল্টি টাস্কিং সম্পূর্ন করতে পারে।  এই অক্টাকোর প্রসেসর এর স্পিড কোয়াড কোর প্রসেসর এর থেকে দ্বিগুন ।

এই অক্টাকোর প্রসেসর , Core i9 এ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 




ডেকাকোর প্রসেসর:

 

>ডেকাকোর কোর প্রসেসর , একই প্রসেসর এর ভিওর ১০টি কোর বা সিপিউ ইউনিট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা অনান্য প্রসেসর এর তুলনায় ১০গুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর। 

যেহেতু, দিন দিন মাল্টি টাস্ককিং বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই , প্রসেসর এর কোর এর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।  যাতে মাল্টি টাস্কিং সহজ হয়।




প্রসেসর এর কোর নিয়ে, অনেক রিসার্চ এবং ডেভলপমেন্ট হচ্ছে । যাতে কম্পিউটার এর স্পিড আরো বাড়ানো সম্ভব হয় । যেসব কোম্পানি, এই প্রসেসর/কোর তৈরি করে  তারা হলো:

Intel, AMD, Qualcomm, Nvidia, IBM, Motorola, HP ইত্যাদি কিন্তু এদের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় হলো Intel এবং AMD এর প্রসেসর।




আরো বিস্তারিত জানতে


1 likes | 1764 views