আমার মনে হয় আপনি ইমামের পিছনে কিরাত পাঠ বলতে সূরায়ে ফাতিহা পাঠ বোঝিয়েছেন। কারণ ইসলামী ফিকহ শাস্ত্রে এটি (ইমামের পিছনে সূরায়ে ফাতিহা পাঠ) “কিরাত খালফাল ইমাম তথা ইমামের পিছনে কিরাত পাঠ বলে পরিচিত। তাই এ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করলাম।-
ইমামের পিছনে মুকতাদী সূরা ফাতিহা পড়বে না
কুরআনের বক্তব্য: মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, {وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ} [الأعراف: 204]
অর্থাৎ আর যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন তোমরা কান পেতে অত্যন্ত মনোযোগের সাথে তা শ্রবন কর এবং নীরব থাক, যেন তোমরা রহমত প্রাপ্ত হতে পার।
হাদীসের আলোকে ইমামের পিছনে মুক্তাদরি ফাতিহা না পড়া:
১- হাদীস: মুসলিম শরীফে হযরত আবূ মূসা আশ’আরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, অর্থাৎ একদা রাসূল (সা.) আমাদেরকে ওয়াজ করেন। তখন তিনি আমাদেরকে সুন্নত শিকষা দিলেন। এবং নামাযের পদ্ধতি বর্ণনা করে বললেন, যখন তোমরা নামাযে দাড়াবে তখন কাতার ঠিক করে নিবে । এরপর তোমাদেরই একজন ইমাম হবে। আর সে (ইমাম) যখন তাকবীর বলবে। তোমরাও তখন কাতবীর বলবে। তবে সে যখন কেরাত পড়বে তোমরা তখন নীরব থাকবে।
২- হাদীস: হযরত যাবের (র.) থেকে বর্ণিত, عن جابر رضی اللہ عنہ قال قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: من کان لہ امام فقراءۃ الامام لہ قراءۃ- অর্থাৎ হযরত যাবের (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সা:) বলেন, “যে ব্যক্তির ইমাম রয়েছে(অর্থাৎ যে ইমামের পিছনে নামায পড়বে) তার ইমামের কিরাতই তার কিরাতের জন্য যথেষ্ট হবে।এ হাদীসটি সম্পূর্ণ সহীহ এবং আমাদের মাসআলায় সর্বাধিক সুস্পষ্ট।
৩- হাদীস: عن جابر (رض) عن النبی سلی اللہ علیہ و سلم قال من سلی رکعۃ لم یقرا فیھا بام القرآن فلم یسل الا ان یکون وراء الامام অর্থাৎ হযরত যাবের (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকাত আদায় করে ফেলল অথচ সূরা ফাতিহা পড়ল না সে যেন নামাযই পড়ল না। তবে ইমামের পিছনে থাকলে ফাতিহা পড়বে না।