কেয়ামতের ভয়াবহ ও সঙ্কটময় কালে সাধারণ মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্ত ও ভীত- সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, তখন কেবল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলবেন, হে আল্লাহ পাক! আপনি আমার উম্মতকে মাফ করুন। তিনিই সর্বপ্রথম শাফায়াত করার অনুমতি প্রাপ্ত হবেন।
এটাই শাফায়াতে কুবরা। যেমন মহান আল্লাহ পাক বলেন, কে সে, যে তার অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে। (বাকারা-আয়াতঃ ২৫৫)।
আম্বিয়া, আউলিয়া, শুহাদা, বুযুর্গ, পীর দরবেশ, সাধারণ মোমিনদের শাফায়াত। উনারাও আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে শাফায়াত করার অনুমতিপ্রাপ্ত হবেন। এটাকে শাফায়াতে সুগরা বা শাফায়াতে আম্মা বলা হয়।
কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ সেদিন শাফায়াত কার্যকর হবে না, অবশ্য স্বয়ং রহমান কাউকে উহার অনুমতি দিলে এবং তার কথা শুনতে পছন্দ করলে অন্য কথা। (সূরা ত্বাহাঃ ১০৯)
তিনি যার উপর সন্তুষ্ট তিনি ছাড়া আর কেউ তাঁর নিকট সুপারিশ করতে সক্ষম নয়। (সূরা আম্বিয়া, ২১-২৮)
যেদিন ‘রূহ’ ও ফিরিস্তারা কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াবে, কেহই কোন কথা বলবে না- সে ব্যতীত, যাকে পরম দয়াময় অনুমতি দিবেন এবং যে যথাযথ কথা বলবে। (সূরা নাবাঃ ৩৮)
দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না। (সূরা ত্বোহাঃ ১০৯)
শাফায়াতের জন্য ৩ টি শর্ত রয়েছে।
১. শাফায়াত কারীর উপর আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকা।
২. যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তার উপরও আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকা।
৩. শাফায়াতকারীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শাফায়াত করার অনুমতি থাকা। যা আল্লাহ পাক কুরআনে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন।