একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ খুন হলেন। এলাকার মানুষের মনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হল, এবং সেখানে একটি থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হল। থানায় খবর দেয়া হল। থানা থেকে কিছু পুলিশ এসে খুনের স্পট টিকে ঘিরে ফেললেন, এবং এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হল। সেদিন আবার বাংলাদেশ বনান ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপ এর ফাইনাল খেলার তারিখ। তাই থানার বড়বাবু খেলা দেখতে যাবেন বলে অন্য কাউকে খুনের তদন্ত করার জন্য পাঠালেন। তিনি এক হাবিলদার কে বললেন যাও তুমি খুনের তদন্ত করে এসে আমাকে রিপট দিও। হাবিলদার বললে ঠিক আছে স্যার, আমি তদন্ত করে সম্পুর্ন রিপট আপনাকে দিব। এই বলে হাবিলদার চলে গেলেন। আর বড়বাবু চললেন ইন্ডিয়া বনাব বাংলাদেশ এর ফাইনাল খেলা দেখার জন্য। এদিকে হাবিলদাও খেলা দেখার জন্য অগ্রীম টিকেট কেটে রেখেছিল। সে মনে মনে বললো সারা জীবন অনেক কাজ করেছি, অাপনার বাসার সবজি বহন করেছি, কোন প্রমশন হয়নি, কাজ করার অনেক সময় পাবো কিন্তু এই খেলা চলে গেলে আর ফেরত পাবো না তাই আমি খেলা দেখতেই যাবো। সে এই বলে তদন্ত করতে না গিয়ে খেলা দেখতে চলে গেল। খেলা শেষে বড়বাবু থানায় এলেন, এসে হবিলদারকে বললেন, "বলো সেখানে তুমি কি দেখলে?" হাবিলদার বললেন, স্যার সেখানে সত্যি একজন রাজনীতিবিদ খুন হয়েছেন। তিনি এলাকায় একজন গন্যমান্য ব্যাক্তি। এলাকায় প্রচুর সুনাম তার। তিনি তার রুমেই খুন হয়েছেন। খুন হবার আগে মনে হয় তিনি পত্রিকা পড়ছিলেন, তাকে চাকু দিয়ে খুন করা হয়েছে, চাকু তার পিছনে ঢুকানো ছিল, খুনের পর তিনি টেবিলের উপর মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন, পত্রিকাটি তার পাশেই পড়ে ছিল, পত্রিকার ৭ নং পাতায় রক্তের ফোটা লেগে আছে, টেবিলের উপর একটি বইও ছিল, বইটির ২১ এবং ২২ নং পাতায় একটি কলম ঢুকানো ছিল, আর মনে হয় তিনি সেসময় চাও খাচ্ছিলেন, একটি সাদা চায়ের কাপ টেবিলের উপর ছিল, এতে কিছু চাও ছিল। আলমারিটির তারা ভাঙ্গা, ডয়ারে কিছু নেই, মনে হয় কোন গুরুত্বপুর্ণ ফাইল এর জন্য তাকে খুন করা হয়েছে, কেননা তার সিন্দুকেরও তালা ভাঙ্গা ছিল আর সিন্দুকে অনেক টাকাও রয়েছে। তার রুমের জানালার কাঁচ ভাঙ্গা, জানালার পাশেই তার ছোট বুক সেল্ফ সেখানে অনেক বই রয়েছে, বইগুলি ছড়ানো ছিটানো। হবিলদার এসব কথা বলতেছিল। ঠিক সেই সময় বড়বাবু বললেন, "তুমি তদন্ত করতে যাওনি।" প্রশ্ন হলো হাবিলদার যে তদন্ত করতে যায়নি বড়বাবু তা কিকরে বুঝলেন????