বিড়ি, সিগারেট ও তামাক জাতীয় সব বস্তু হারাম। আর তাতে রয়েছে উৎকৃষ্ট দুৰ্গন্ধ- যা পরিত্যাগ করা প্রত্যেক মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক।
সিগারেট নেশাজাতীয় জিনিস। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক আর প্রত্যেক নেশার জিনিসই হারাম। (মুসলিমঃ ২০০৩)
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যা অধিক সেবন করলে নেশার সৃষ্টি হয় তা কম সেবন করাও হারাম। (তিরমিযিঃ ১৮৬৫, আবু দাঊদঃ ৩৬৮১)
সিগারেট অপবিত্র জিনিস এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল ও অপবিত্র বস্তু হারাম করা হয়েছে। (আল আরাফঃ ১৫৭)
শরীয়তের বিধানের সকল কিছুর স্পষ্ট দলীল নেই। আর না থাকলে কোন জিনিস যে হালাল, তা নয়। শরীয়তের স্পষ্ট উক্তিসমুহ থেকে ফকীহগন এমন কিছু নীতি নির্ণয় করেন, যার দ্বারা বলা যায় কোনটা হালাল, আর কোনটা হারাম, কোনটা মাকরুহ। যে সকল নীতির মাধ্যমে বিড়ি-সিগারেটকে হারাম করা হয়, তার কিছু নিম্নরুপঃ-
(ক) এতে রয়েছে অনর্থক অর্থ অপচয়। আর ইসলামে অপচয় হারাম।
(খ) এতে রয়েছে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি। আর যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ইসলামে তা হারাম।
(গ) বেশি পরিমাণ পান করলে, তাতে জ্ঞানশূন্যতা আসতে পারে। আর যাতে নেশা, মাদকতা ও জ্ঞানশূন্যতা আসে, ইসলামে তা হারাম।
(ঘ) এতে দুর্গন্ধ আছে। এর দুর্গন্ধে অধূমপায়ীরা কষ্ট পায়। সুতরাং তা পবিত্র জিনিস নয়। আর ইসলাম পবিত্র জিনিস খাওয়াকে হালাল এবং অপবিত্র জিনিস খাওয়াকে হারাম ঘোষণা করেছে।
সাবির ইসলাম অত্যন্ত ধর্মীয় জ্ঞান পিপাসু এক জ্ঞানান্বেষী। জ্ঞান অন্বেষণ চেতনায় জাগ্রতময়। আপন জ্ঞানকে আরো সমুন্নত করার ইচ্ছা নিয়েই তথ্য প্রযুক্তির জগতে যুক্ত হয়েছেন নিজে জানতে এবং অন্যকে জানাতে।
লক্ষ কোটি মানুষের নীরব আলাপনের তীর্থ ক্ষেত্রে যুক্ত আছেন একজন সমন্বয়ক হিসেবে।