Russell Biswas is an experienced practicing Advocate at District & Sessions Judges' Court, Chattogram. His areas of expertise include Civil, Criminal, Family & Labour Laws related matters. He did his graduation with a first-class honours degree in Law. When he was practicing as an apprentice lawyer, he worked with & under the supervision of various prominent learned senior advocates at Judges' Court, Chittagong. As a Law grad-student, he's an in-depth knowledge of law. Read more advrbiswas.wordpress.com
হিন্দু ধর্মমতে বিবাহ হচ্ছে স্বামী ও স্ত্রী’র মধ্যে এমন এক পবিত্র বন্ধন যা মৃত্যুর পরও অটুট থাকে। হিন্দু বিবাহ কোনো চুক্তি নয়; হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আদিকাল থেকেই শাস্ত্র মোতাবেক প্রচলিত প্রথা ও রীতি অনুযায়ী বিবাহ সুসম্পন্ন হয়ে আসছে। ফলে অতীতে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধনেরও কোন বিধান ছিল না। সময়ের পরিবর্তনে ও সমাজের চাহিদার তাগিদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শাস্ত্রীয় বিবাহের দালিলিক প্রমাণ সুরক্ষার লক্ষ্যে ২০১২ সালে বাংলাদেশে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ প্রণীত হয়।
হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ এর ৪ ধারা অনুসারে, “হিন্দু বিবাহ নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে, সরকার, সিটি কর্পোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে তদ্কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত এলাকা, এবং সিটি কর্পোরেশন বহির্ভূত এলাকার ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলা এলাকায় একজন ব্যক্তিকে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করিবেন।” অর্থাৎ হিন্দু বিবাহের দালিলিক প্রমাণ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে সিটি কর্পোরেশন এবং সিটি কর্পোরেশন বহির্ভূত এলাকার ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলায় সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত হিন্দু বিবাহ নিবন্ধকের নিকট বিবাহ নিবন্ধন করা যাবে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোন হিন্দু পুরুষ বা নারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তা এই আইনের অধীন নিবন্ধনযোগ্য হবে না।
বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। এই আইনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে হিন্দু বিবাহের দালিলিক প্রমাণ সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এই আইনের ৩(২) ধারা মোতাবেক কোন হিন্দু বিবাহ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত না হলেও কোন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সম্পন্ন বিবাহের বৈধতা ক্ষুণ্ন হবে না।
হিন্দু বিবাহ নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন সরকারি চাকুরী হিসেবে গণ্য হবে না। তবু্ও যদি কোন হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক তাহার দায়িত্ব পালনে কোন অসদাচরণের জন্য দায়ী হয়, তাহলে সরকার যথাযথ কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করে তার নিয়োগ অনধিক দুই বৎসরের জন্য স্থগিত বা বাতিল করতে পারে।
~ Russell Biswas
Advocate,
Judges’ Court, Chittagong
Mo - 01746-022550
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনকারীদের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ নামে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করেন।
এই আইনের ১০৫ ধারায় বলা হয়েছে, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত হলে কিংবা মারা গেলে, তৎসংক্রান্ত অপরাধসমূহ বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আরও বলা হয়েছে যে, দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০৪খ তে যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হলে কিংবা তার প্রাণহানি ঘটলে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০৪খ ধারায় বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনায় গুরুতর আহত করা বা মৃত্যু ঘটানোর ক্ষেত্রে মাত্র ৩ বৎসর কারাদণ্ড উল্লেখ আছে বিধায় মামলার ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে প্রণীত আইনের ১০৫ ধারা প্রাধান্য পাবে।
সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ এর ৯৮ ধারা অনুসারে, “যদি নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে কোনো দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট মোটরযানের চালক বা কন্ডাক্টর বা সহায়তাকারী ব্যক্তির অনুরূপ মোটরযান চালনা হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।”
উক্ত আইনে অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের জন্যে দণ্ডের পাশাপাশি অপরাধ পুনঃ সংঘটনের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনের ধারা ৮৪, ৯৮ ও ১০৫ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ জামিন-অযোগ্য; এবং ধারা ৬৬, ৭২, ৭৫, ৮৭, ৮৯ এবং ৯২ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ আপোষযোগ্য। আঞ্চলিক এখতিয়ারসম্পন্ন কোনো জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী বা অন্যূন অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বা সম-মর্যাদাসম্পন্ন কোনো পুলিশ অফিসার এই আইনের অধীন আপোষযোগ্য অপরাধসমূহ আপোষ-মীমাংসা করতে পারবেন।
~ Russell Biswas
Advocate,
Judges’ Court, Chittagong
Mo – 01746-022550
ডিভোর্স বা তালাক কিভাবে দিতে হয়?
ডিভোর্স শব্দের অর্থ হচ্ছে তালাক বা বিবাহ-বিচ্ছেদ। যখন কোনো দম্পতির ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন কারণে একে অপরের সাথে কথিত সংসার নামীয় কারাগারে বাস করা বিষময় হয়ে ওঠে, তখন পরস্পর বিবাহ-বিচ্ছেদ কিংবা আলাদা বসবাসের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী কিভাবে তালাক দিতে পারে?
ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোনো দম্পতি একে অপরকে তালাক দিতে চাইলে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ৭ ধারার বিধান মোতাবেক তালাকের নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে তালাক দিতে পারে। স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদানের ক্ষেত্রে মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭ ধারা এবং স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষেত্রে ৭(১) ধারা অনুসারে তালাক নোটিশ প্রদান করতে হয়। আইন-আদালত চর্চায় দেখা যায় যে, তালাক নোটিশ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিবাহ-বিচ্ছেদের কারণ উল্লেখ করে একটি বিবাহ-বিচ্ছেদের এফিডেভিড সম্পাদন পূর্বক নোটারী করে তার একটি কপি নোটিশের সাথে সংযুক্ত করে এ/ডি সহ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রেরণ করা। উল্লেখ্য যে, তালাক নোটিশের একটি কপি তালাক গ্রহীতার স্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় অথবা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয় বরাবর প্রেরণ করতে হবে। আইনানুসারে বিবাহ-বিচ্ছেদ কার্যকর অর্থাৎ ইদ্দতকাল অতিবাহিত না হওয়া অব্দি তালাক দাতা কিংবা গ্রহীতা কেউই তৃতীয় কোনো নারী কিংবা পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী কিভাবে ডিভোর্স দিতে পারে?
হিন্দু ধর্মাবলম্বীর ক্ষেত্রে ডিভোর্স প্রসংগে আইনে কিছুই স্পষ্ট করে বলা নেই। এরপরেও বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে বিবাহ-বিচ্ছেদের হলফনামা সম্পাদন পূর্বক আইনী নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ডিভোর্স প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে আদালত চর্চায় সনাতন নিয়ম হচ্ছে ফ্যামিলি কোর্টে সেপারেশন তথা পৃথক বসবাসের মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতের আদেশ মোতাবেক পরস্পর ডিভোর্স দিতে পারে।
~ Russell Biswas
Advocate,
Chittagong Judges’ Court.
Mo – 01746022550
আপনি কি আইনি সমস্যায় ভুগছেন? আইনি পরামর্শ কিংবা আইনগত সহায়তা প্রয়োজন? ফৌজদারি, দেওয়ানি, পারিবারিক ও ক্ষতিপূরণের জন্য শ্রম মামলা যেকোনো আইনি সমস্যার কথা বিনা সংকোচে জানান আমাদের। আপনাদের সমস্ত আইনি জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
আপনার সমস্যার কথা লিখে পাঠান আমাদের এই ঠিকানায় :- [email protected]
অথবা
আমাদের ফোন করুন :- 01746022550
0 likes | 4 viewsকোর্ট ম্যারেজ বলতে আমরা সাধারণত কি বুঝি? এখানে "কোর্ট" শব্দের অর্থ হচ্ছে "আদালত" এবং "ম্যারেজ" অর্থ "বিয়ে"; তাহলে কোর্ট ম্যারেজ শব্দযুগল দ্বারা আমরা বুঝি আদালতে বিয়ে। কিন্তু কোর্ট ম্যারেজ বা আদালতে বিয়ে বলতে আইনে কিছু নেই। এরপরেও কোর্ট ম্যারেজের চর্চা আদালতে রয়ে গেছে বা বলা যায় আদালত পাড়ায় এর চর্চা হরহামেশাই হয়ে আসছে।
দেখা যায় যে, দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ-মহিলা আদালতে এসে একজন বিজ্ঞ এডভোকেট অর্থাৎ একজন সনদধারী আইনজীবীর শরণাপন্ন হন। বিজ্ঞ আইনজীবী নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আলাদা আলাদা দুটি বিবাহের এভিডেভিড বা হলফনামা কিংবা যৌথ বিবাহের একটি এভিডেভিড বা হলফনামা সম্পাদনা করে দস্তখত নিয়ে নোটারী পাবলিক বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা বিয়ে করিয়ে থাকেন।
বিজ্ঞ আইনজীবীগণ আবার ধর্মমতে অর্থাৎ ধর্মীয় আইন-অনুশাসন, রীতি-নীতি ও প্রচলিত প্রথা অনুসারে এভিডেভিড সম্পাদনের পর উক্ত বিয়েকে বিবাহের পবিত্রতা ও আইনগত ভিত্তি মজবুত করার উদ্দেশ্যে কাজী কিংবা পুরোহিতের দ্বারস্থ হন। ইসলাম ধর্মানুসারে কাজীর মাধ্যমে দোয়া-দরুদ পড়িয়ে কাবিননামা সম্পাদনা করান এবং হিন্দু ধর্মমতে মন্দিরে মন্ত্রপাঠ, মালা-বদল ইত্যাদির মাধ্যমে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। হিন্দু বিবাহের ক্ষেত্রে আবশ্যিক নয় যে, হিন্দু বিবাহ নিবন্ধকের মাধ্যমে বিবাহ নিবন্ধন করাতে হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ দুইজন নর-নারী আলাদা আলাদা ধর্মানুসারী হলে সেইক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী স্পেশাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এর মাধ্যমে নিবন্ধন করিয়ে থাকেন।
~ Russell Biswas
Advocate,
Chittagong Judges' Court.
Mo - 01746022550